ফ্রিজ এখন প্রতিটি বাড়ির জরুরি জিনিস। খাবার সংরক্ষণ থেকে শুরু করে পানীয় ঠান্ডা রাখা সবকিছুতে ফ্রিজ লাগে। বাংলাদেশে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর এখন অনেক জনপ্রিয়। এই ব্র্যান্ড মানের পণ্য তৈরি করে। দাম ও কোয়ালিটি দুটোই চমৎকার। ২০২৫ সালে ওয়ালটনের নতুন মডেল এসেছে। এসব ফ্রিজে প্রযুক্তি আধুনিক। বিদ্যুৎ খরচও কম হয়। আজকের লেখায় আমরা ওয়ালটন ফ্রিজ নিয়ে বিস্তারিত জানব। দাম, বৈশিষ্ট্য এবং রিভিউ সব আলোচনা করব।
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর দাম ২০২৫

২০২৫ সালে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম বেশ সাশ্রয়ী। ছোট ফ্রিজ থেকে বড় ফ্রিজ সব পাওয়া যায়। দাম নির্ভর করে সাইজ ও ফিচারের উপর। সাধারণত ৮ সিএফটি ফ্রিজের দাম ১৫,০০০ টাকা থেকে শুরু। ১২ সিএফটি ফ্রিজের দাম পড়বে ২৫,০০০ টাকার মতো। বড় পরিবারের জন্য ১৬ সিএফটি বা তার বেশি আছে। এসব ফ্রিজের দাম ৩৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা। ইনভার্টার টেকনোলজি থাকলে দাম একটু বেশি হয়। তবে দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ বিল কম আসে। অফার সময়ে দাম আরও কম পাবেন। অনলাইনে এবং শোরুমে দাম প্রায় একই। কিস্তিতেও কেনা যায় অনেক জায়গায়। ওয়ালটনের দাম অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে কম। বাজেট ফ্রেন্ডলি অপশন খুঁজলে ওয়ালটন সেরা।
ওয়ালটন ফ্রিজ প্রাইস ইন বাংলাদেশ
বাংলাদেশে ওয়ালটন ফ্রিজ প্রাইস অনেক প্রতিযোগিতামূলক। দেশীয় ব্র্যান্ড হওয়ায় দাম কম রাখা সম্ভব হয়। আমদানি খরচ নেই বলে দাম সাশ্রয়ী। ছোট্ট রুমের জন্য ৬ সিএফটি ফ্রিজ পাওয়া যায়। এর দাম ১২,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা। মাঝারি আকারের ফ্রিজ বেশি বিক্রি হয়। ১০ থেকে ১২ সিএফটি ফ্রিজ জনপ্রিয়। দাম পড়বে ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা। বড় পরিবারের জন্য ১৬ সিএফটি বা বেশি দরকার। এসব মডেলের দাম ৪০,০০০ টাকার মতো। সাইড বাই সাইড ফ্রিজও আছে ওয়ালটনের। এগুলো আরও দামী হয় স্বাভাবিকভাবে। দাম শুরু হয় ৬০,০০০ টাকা থেকে। প্রতিটি মডেলে আধুনিক ফিচার যুক্ত। দাম অনুযায়ী মান ভালো পাবেন। বাজারে সবচেয়ে সস্তা ও টেকসই ফ্রিজ ওয়ালটন।
পুরনো ফ্রিজ এক্সচেঞ্জ করে নতুন কেনা যায়
পকেট ফ্রেন্ডলি দাম রেঞ্জ সবার জন্য উপযুক্ত
ডাউন পেমেন্ট ছাড়াই কিস্তি সুবিধা পাওয়া যায়
অফার সময়ে ক্যাশব্যাক এবং ডিসকাউন্ট মেলে
শোরুম ও অনলাইন দুই জায়গায় একই দাম
মাঝেমধ্যে বিশেষ ইএমআই অফার আসে
হোম ডেলিভারি সার্ভিস একদম ফ্রি
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর ১২ cft দাম
১২ সিএফটি ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর মাঝারি পরিবারের জন্য আদর্শ। এই সাইজ সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। তিন থেকে পাঁচ সদস্যের পরিবারে যথেষ্ট। দাম শুরু হয় ২৩,০০০ টাকা থেকে। নন ফ্রস্ট মডেল একটু দামী হয়। এসব মডেলে বরফ জমে না। দাম পড়বে ২৮,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা। ডাইরেক্ট কুল মডেল সস্তা হয়। তবে মাঝেমধ্যে বরফ সরাতে হয়। ইনভার্টার কম্প্রেসার থাকলে দাম বাড়ে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিল অনেক কম আসে। স্মার্ট ফিচার যুক্ত মডেলও আছে। এসব মডেল একটু প্রিমিয়াম ক্যাটাগরিতে পড়ে। দাম ৪০,০০০ টাকা পর্যন্ত যেতে পারে। তবে মান এবং স্থায়িত্ব খুব ভালো। ১২ সিএফটি ফ্রিজে জায়গা পর্যাপ্ত। সবজি, ফল, মাছ, মাংস সব রাখা যায়। ওয়ালটনের এই মডেল খুবই জনপ্রিয়।
ওয়ালটন ডিপ ফ্রিজ প্রাইস বাংলাদেশ
দোকানদার এবং ব্যবসায়ীদের ডিপ ফ্রিজ দরকার হয়। ওয়ালটন ডিপ ফ্রিজ এক্ষেত্রে দারুণ অপশন। বাড়িতেও অনেকে বড় ডিপ ফ্রিজ রাখেন। বেশি খাবার সংরক্ষণ করতে হলে দরকার। ওয়ালটনের ডিপ ফ্রিজ দাম শুরু হয় ১৮,০০০ টাকা থেকে। ছোট সাইজ ১০০ লিটারের মতো হয়। মাঝারি সাইজ ২০০ থেকে ৩০০ লিটার। এসব মডেল দাম ৩০,০০০ থেকে ৪৫,০০০ টাকা। বড় কমার্শিয়াল ডিপ ফ্রিজ আরও দামী। ৫০০ লিটার বা তার বেশি ক্যাপাসিটি পাওয়া যায়। দাম পড়ে ৬০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা। সব ডিপ ফ্রিজ কম বিদ্যুৎ খরচ করে। লক সিস্টেম থাকে নিরাপত্তার জন্য। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় সহজে। আইসক্রিম, মাছ, মাংস সংরক্ষণে পারফেক্ট। বাজারে ওয়ালটন ডিপ ফ্রিজের চাহিদা বেশি।
- বিভিন্ন সাইজে পাওয়া যায় ব্যবসার জন্য
- হাই কুলিং ক্যাপাসিটি খাবার দীর্ঘদিন ভালো রাখে
- দুইটা কম্পার্টমেন্ট থাকে অনেক মডেলে
- এনার্জি সেভিং টেকনোলজি বিল কমায়
- টপ ওপেনিং ডিজাইন ব্যবহার সহজ করে
- শক্তিশালী বডি দীর্ঘস্থায়ী ও মজবুত
- ওয়ারেন্টি সুবিধা ভালো মেলে সবসময়
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর ৮ cft দাম
ছোট পরিবার বা ব্যাচেলরদের জন্য ৮ সিএফটি আদর্শ। ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর ৮ cft দাম খুবই কম। বাজেটে সহজে কেনা যায়। দাম শুরু হয় ১৫,০০০ টাকা থেকে। সাধারণ মডেল ১৮,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। নন ফ্রস্ট মডেল একটু দামী। দাম পড়ে ২২,০০০ থেকে ২৮,০০০ টাকা। ডাইরেক্ট কুল মডেল সবচেয়ে সস্তা। দাম ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা। ছোট হলেও জায়গা যথেষ্ট থাকে। দুই থেকে তিন জনের খাবার রাখা যায়। ফ্রিজার অংশ আলাদা থাকে। বরফ জমাতে সুবিধা হয়। সবজি ও ফল রাখার ড্রয়ার আছে। ডিজাইন আধুনিক ও আকর্ষণীয়। রঙের অপশন বেশ ভালো। বিদ্যুৎ খরচ খুব কম হয়। মাসে ৫০০ টাকার মতো বিল আসে। ছোট রুম বা অফিসে পারফেক্ট।
| মডেল নাম | সাইজ | দাম | বিশেষত্ব |
| WFD-2A8-0101 | ৮ cft | ১৫,৫০০ টাকা | ডাইরেক্ট কুল, কম খরচ |
| WFE-2B8-GDXX | ৮ cft | ১৯,৯০০ টাকা | গ্লাস ডোর, স্টাইলিশ |
| WFN-2F8-RXXX | ৮ cft | ২৩,৫০০ টাকা | নন ফ্রস্ট, বরফ জমে না |
| WFI-2C8-EDCL | ৮ cft | ২৫,৯০০ টাকা | ইনভার্টার, বিল সাশ্রয়ী |
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর ১০ cft দাম
১০ সিএফটি সাইজ ছোট থেকে মাঝারি পরিবারে চলে। ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর ১০ cft দাম মাঝামাঝি রেঞ্জে। তিন থেকে চার সদস্যের পরিবারে যথেষ্ট। দাম শুরু হয় ১৮,০০০ টাকা থেকে। সাধারণ মডেল ২২,০০০ টাকার মধ্যে পাবেন। নন ফ্রস্ট মডেল ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা। ডাইরেক্ট কুল সবচেয়ে সাশ্রয়ী মডেল। এর দাম ১৮,০০০ থেকে ২৩,০০০ টাকা। ইনভার্টার টেকনোলজি থাকলে দাম বাড়ে। তবে বিদ্যুৎ সাশ্রয় অনেক বেশি হয়। স্মার্ট ফ্রিজার সেকশন থাকে সবগুলোতে। ভেজিটেবল ক্রিস্পার সুবিধা আছে। বোতল রাখার জায়গা পর্যাপ্ত। ডিজাইন মডার্ন এবং সুন্দর। রঙের অপশনও বেশ ভালো। হ্যান্ডেল শক্ত ও আকর্ষণীয়। এনার্জি সেভিং মোড থাকে অনেক মডেলে। মাসিক বিদ্যুৎ খরচ ৬০০ টাকার মতো।
ওয়ালটন ফ্রিজের নতুন মডেল ২০২৫
২০২৫ সালে ওয়ালটন বেশ কয়েকটা নতুন মডেল এনেছে। ওয়ালটন ফ্রিজের নতুন মডেল অনেক উন্নত ফিচার নিয়ে এসেছে। স্মার্ট ইনভার্টার টেকনোলজি যুক্ত হয়েছে। মাল্টি এয়ার ফ্লো সিস্টেম আছে। ফলে ঠান্ডা সমান ভাবে ছড়ায়। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল কোটিং দেওয়া হয়েছে। খাবার বেশি দিন ভালো থাকে। টাচ কন্ট্রোল প্যানেল এসেছে কিছু মডেলে। ডিজিটাল ডিসপ্লে তাপমাত্রা দেখায়। এলইডি লাইট ভেতরে উজ্জ্বল আলো দেয়। টেম্পারড গ্লাস শেলফ শক্ত ও মজবুত। ডিপ ফ্রিজার ক্যাপাসিটি বাড়ানো হয়েছে। সবজি তাজা রাখার প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে। ডোর অ্যালার্ম সিস্টেম থাকে নতুন মডেলে। খোলা রেখে দিলে বিপ বাজে। নয়েজ লেভেল অনেক কম করা হয়েছে। চুপচাপ কাজ করে নতুন ফ্রিজগুলো। পাওয়ার কাট মেমরি ফাংশন আছে। ডিজাইন স্লিম এবং স্টাইলিশ হয়েছে।
- আইওটি এনাবলড স্মার্ট ফিচার যুক্ত হয়েছে কিছুতে
- মোবাইল অ্যাপ থেকে কন্ট্রোল করা যায়
- এনার্জি রেটিং আরও ভালো হয়েছে
- কম্প্রেসার ১০ বছরের ওয়ারেন্টি পাওয়া যাচ্ছে
- ইকো ফ্রেন্ডলি রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা হয়
- ডুয়াল কুলিং সিস্টেম এসেছে কিছু মডেলে
- চাইল্ড লক ফিচার নিরাপত্তা বাড়ায়
ওয়ালটন ইনভার্টার রেফ্রিজারেটর দাম
ইনভার্টার টেকনোলজি বিদ্যুৎ খরচ অনেক কমায়। ওয়ালটন ইনভার্টার রেফ্রিজারেটর দাম একটু বেশি হলেও লাভজনক। লং রানে বিল সাশ্রয় হয় অনেক। ৮ সিএফটি ইনভার্টার মডেল ২৪,০০০ টাকা থেকে। ১০ সিএফটি ইনভার্টার মডেল ২৮,০০০ টাকা থেকে শুরু। ১২ সিএফটি মডেল দাম ৩২,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকা। বড় সাইজ ১৬ সিএফটি হলে ৪৫,০০০ টাকা লাগবে। ইনভার্টার কম্প্রেসার স্মার্ট কাজ করে। চাহিদা অনুযায়ী শক্তি ব্যবহার করে। ফলে বিদ্যুৎ অপচয় হয় না। সাধারণ ফ্রিজের চেয়ে ৪০% কম বিল আসে। শব্দও অনেক কম করে। রাতে ঘুমের সমস্যা হয় না। তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকে সবসময়। খাবার ভালো থাকে দীর্ঘদিন। ভোল্টেজ ওঠানামায়ও নিরাপদ। কম্প্রেসারের আয়ু বেশি হয়। ওয়ালটনের ইনভার্টার মডেল বেস্ট চয়েস।
| সাইজ | ইনভার্টার মডেল দাম | সাধারণ মডেল দাম | বার্ষিক সাশ্রয় |
| ৮ cft | ২৪,০০০ টাকা | ১৬,০০০ টাকা | ৩,৬০০ টাকা |
| ১০ cft | ২৮,০০০ টাকা | ২০,০০০ টাকা | ৪,২০০ টাকা |
| ১২ cft | ৩৫,০০০ টাকা | ২৫,০০০ টাকা | ৫,০০০ টাকা |
| ১৬ cft | ৪৫,০০০ টাকা | ৩৫,০০০ টাকা | ৬,৫০০ টাকা |
ওয়ালটন ফ্রিজের বিদ্যুৎ খরচ কত
বিদ্যুৎ খরচ ফ্রিজ কেনার আগে জানা দরকার। ওয়ালটন ফ্রিজের বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম। ছোট ফ্রিজ মাসে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা বিল করে। ৮ থেকে ১০ সিএফটি ফ্রিজের মাসিক খরচ ৫০০ টাকা। মাঝারি সাইজ ১২ সিএফটি ফ্রিজ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ করে। বড় ফ্রিজ ১৬ সিএফটি হলে ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা। ইনভার্টার মডেল আরও কম বিল করে। সাধারণ ফ্রিজের চেয়ে ৩৫ থেকে ৪০% কম। নন ফ্রস্ট মডেল একটু বেশি বিদ্যুৎ খায়। তবে সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। ডাইরেক্ট কুল সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচ করে। স্টার রেটিং দেখে কেনা ভালো। ৫ স্টার রেটিং সবচেয়ে সাশ্রয়ী। এনার্জি সেভিং মোড চালু রাখা উচিত। রেগুলার মেইনটেনেন্স করলে বিল কম আসে। দরজা বারবার না খোলাই ভালো।
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের বৈশিষ্ট্য
ওয়ালটন ফ্রিজের ফিচার অনেক আধুনিক। ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের বৈশিষ্ট্য প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের সমান। নন ফ্রস্ট টেকনোলজি বরফ জমতে দেয় না। ম্যানুয়াল ডিফ্রস্টিং লাগে না। মাল্টি এয়ার ফ্লো সমান ঠান্ডা ছড়ায়। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রটেকশন জীবাণু মারে। এলইডি লাইটিং উজ্জ্বল ও সুন্দর। টেম্পারড গ্লাস শেলফ টেকসই ও মজবুত। ভেজিটেবল ক্রিস্পার তাজা রাখে সবজি। বিগ বক্স ফ্রিজার বেশি জায়গা দেয়। ডোর কুলিং সিস্টেম আছে। ইকো ফ্রেন্ডলি রেফ্রিজারেন্ট পরিবেশ বান্ধব। ভোল্টেজ প্রটেকশন কম্প্রেসার রক্ষা করে। লো নয়েজ অপারেশন শান্ত পরিবেশ দেয়। স্ট্যাবিলাইজার ফ্রি অপারেশন সুবিধাজনক। রিভার্সিবল ডোর যেকোনো দিকে খোলে। চাইল্ড লক নিরাপত্তা বাড়ায়। এনার্জি সেভিং মোড বিল কমায়।
- দুর্গন্ধ দূর করার ডিওডোরাইজার ফিল্টার থাকে
- মইশ্চার ব্যালান্স সিস্টেম তাজা রাখে
- হাই কুলিং পারফরমেন্স গরমে দারুণ কাজ করে
- ডুয়াল ফ্রেশ ব্যাক্স আলাদা সংরক্ষণ করে
- বিগ ফ্রিজার রুম বেশি জমা খাবার রাখা যায়
- ডিপ ডোর পকেট বড় বোতল রাখা সুবিধা
- স্লিম ডিজাইন কম জায়গা নেয়
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর কেমন
কোয়ালিটি নিয়ে সবার প্রশ্ন থাকে। ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর কেমন এটা জানা জরুরি। ওয়ালটন ফ্রিজ মান অনেক ভালো। দেশীয় ব্র্যান্ড হলেও মান আন্তর্জাতিক। কম্প্রেসার জাপান বা চায়না থেকে আমদানি করা। কুলিং পারফরমেন্স দারুণ কাজ করে। গরমকালেও ভালো ঠান্ডা রাখে। বিল্ড কোয়ালিটি শক্ত ও মজবুত। বডি স্টিল দিয়ে তৈরি করা। দরজা ঠিকমতো সিল করে। ঠান্ডা বাইরে বের হয় না। শেলফ টেম্পারড গ্লাসের হয়। ভারি জিনিস রাখা যায় নিরাপদে। ডিজাইন আকর্ষণীয় ও মডার্ন। রঙের অপশন ভালো পাওয়া যায়। সার্ভিস সেন্টার সারাদেশে আছে। যন্ত্রাংশ সহজে পাওয়া যায়। দাম অনুযায়ী মান সেরা বাংলাদেশে। দীর্ঘস্থায়িত্ব খুব ভালো। ১০ থেকে ১৫ বছর চলে সহজে। গ্রাহক সন্তুষ্টি উচ্চ পর্যায়ের।
ওয়ালটন ফ্রিজ কেন জনপ্রিয়
বাংলাদেশে ওয়ালটন ফ্রিজ কেন জনপ্রিয় তার কারণ অনেক। প্রথমত দাম সবার নাগালের মধ্যে। মধ্যবিত্ত পরিবার সহজে কিনতে পারে। দেশীয় ব্র্যান্ড হওয়ায় বিশ্বাসযোগ্য। সার্ভিস সাপোর্ট সারাদেশে পাওয়া যায়। যন্ত্রাংশ সহজলভ্য ও সস্তা। মেরামত খরচ অনেক কম পড়ে। প্রযুক্তি আধুনিক ও কার্যকর। বিদেশি ব্র্যান্ডের সমান ফিচার দেয়। ডিজাইন সুন্দর ও স্টাইলিশ। বাড়ির সাজসজ্জায় মানায়। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মডেল পাওয়া যায়। দীর্ঘমেয়াদে খরচ কম হয়। ওয়ারেন্টি সুবিধা ভালো মেলে। কম্প্রেসারে ১০ বছর ওয়ারেন্টি দেয়। কিস্তি সুবিধা সহজ ও নমনীয়। ডাউন পেমেন্ট কম লাগে। হোম ডেলিভারি ফ্রি দেওয়া হয়। অফার ও ডিসকাউন্ট নিয়মিত আসে।
| জনপ্রিয়তার কারণ | সুবিধা | প্রভাব |
| সাশ্রয়ী দাম | সবার নাগালে | বেশি বিক্রয় |
| দেশীয় ব্র্যান্ড | বিশ্বাসযোগ্য | আস্থা বাড়ে |
| সার্ভিস সাপোর্ট | সহজ মেরামত | চিন্তামুক্ত |
| আধুনিক প্রযুক্তি | ভালো পারফরমেন্স | সন্তুষ্টি বাড়ে |
ওয়ালটন ফ্রিজের রিভিউ

গ্রাহকদের ওয়ালটন ফ্রিজের রিভিউ বেশিরভাগ পজিটিভ। অনেকে কুলিং পারফরমেন্স নিয়ে সন্তুষ্ট। গরমকালে ভালো ঠান্ডা দেয় বলে প্রশংসা করেন। বিদ্যুৎ খরচ কম হওয়ায় খুশি। মাসিক বিল আশানুরূপ আসে। ডিজাইন নিয়ে মতামত পজিটিভ। দেখতে আকর্ষণীয় ও আধুনিক। জায়গা পর্যাপ্ত পাওয়া যায়। ছোট ফ্রিজেও অনেক কিছু রাখা যায়। শব্দ কম করে বলে সন্তুষ্ট। রাতে ঘুমের ব্যাঘাত হয় না। দাম অনুযায়ী মান ভালো পেয়েছেন। বাজেটে সেরা অপশন বলে মনে করেন। সার্ভিস নিয়ে মন্তব্য মিশ্র। কেউ কেউ দ্রুত সার্ভিস পেয়েছেন। আবার কেউ একটু দেরিতে পেয়েছেন। তবে সমস্যা সমাধান হয়েছে শেষে। স্থায়িত্ব নিয়ে আশাবাদী সবাই। কয়েক বছর ভালোভাবে চলছে। কোনো বড় সমস্যা হয়নি এখনো।
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর অফার ২০২৫
বছরব্যাপী বিভিন্ন ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর অফার আসে। ২০২৫ সালেও অনেক অফার চলছে। বৈশাখী অফারে বড় ছাড় মেলে। ৫০০০ থেকে ১০০০০ টাকা কমে যায়। ঈদের আগে মেগা সেল হয়। সব মডেলে ডিসকাউন্ট থাকে। নববর্ষে স্পেশাল অফার আসে। ক্যাশব্যাক ও গিফট পাওয়া যায়। পহেলা বৈশাখে বাম্পার অফার থাকে। ফ্রি হোম ডেলিভারি দেওয়া হয়। অনলাইন শপে এক্সক্লুসিভ ডিল মেলে। দারাজ বা এভালি থেকে কিনলে ভালো দাম। ব্যাংক কার্ড অফার থাকে মাঝেমধ্যে। ইএমআই সুবিধা জিরো ইন্টারেস্টে। পুরনো ফ্রিজ এক্সচেঞ্জ অফার আসে। ভালো দামে পুরনো ফ্রিজ নেয়। কম্বো অফারে ফ্রি গিফট পাওয়া যায়। ফ্রিজের সাথে মাইক্রোওয়েভ বা টিভি। লয়্যালটি পয়েন্ট জমানো যায় কেনাকাটায়।
- ফেসবুক পেজে নিয়মিত অফার পোস্ট হয়
- এসএমএস করলেও অফার তথ্য জানা যায়
- শোরুমে গেলে সরাসরি ডিল করা সম্ভব
- ফেস্টিভ সিজনে সবচেয়ে বড় অফার আসে
- প্রি-অর্ডারে এক্সট্রা ডিসকাউন্ট মেলে
- রেফারেল বোনাস পাওয়া যায় বন্ধু আনলে
- লাকি ড্র জিতলে ফ্রি ফ্রিজ পাওয়া যায়
ওয়ালটন ফ্রিজ সার্ভিস সেন্টার বাংলাদেশ
সারাদেশে ওয়ালটন ফ্রিজ সার্ভিস সেন্টার নেটওয়ার্ক বিশাল। ঢাকায় প্রায় সব এলাকায় সেন্টার আছে। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, উত্তরা সবখানে। চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহীতেও পাবেন। জেলা শহরগুলোতে অফিশিয়াল সেন্টার আছে। উপজেলা পর্যায়ে অনুমোদিত ডিলার আছেন। হটলাইনে ফোন করলে সার্ভিস পাবেন। নম্বর ০৯৬৭৮-৭৮৭৮৭৮ দিয়ে যোগাযোগ। অনলাইনেও সার্ভিস রিকোয়েস্ট দেওয়া যায়। ওয়েবসাইটে ফর্ম ফিলাপ করতে হয়। টেকনিশিয়ান বাসায় এসে দেখে যান। সমস্যা বুঝে ঠিক করে দেন। যন্ত্রাংশ লাগলে সাথে নিয়ে আসেন। দাম আগে থেকে জানিয়ে দেন। অরিজিনাল পার্টস ব্যবহার করেন। ওয়ারেন্টির মধ্যে ফ্রি সার্ভিস পাবেন। ওয়ারেন্টি শেষ হলেও দাম যুক্তিসংগত। সার্ভিস চার্জ ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা।
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর রিপেয়ার সার্ভিস
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর রিপেয়ার সার্ভিস দ্রুত ও কার্যকর। সমস্যা হলে হটলাইনে কল করুন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টেকনিশিয়ান আসবেন। কুলিং সমস্যা সবচেয়ে কমন। গ্যাস চার্জ করলে ঠিক হয়ে যায়। কম্প্রেসার সমস্যা হলে রিপ্লেস লাগে। দাম পড়ে ৫০০০ থেকে ৮০০০ টাকা। থার্মোস্ট্যাট খারাপ হতে পারে। এটা বদলাতে ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা। ডোর সিল নষ্ট হলে বদলাতে হয়। দাম ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা। লাইট না জ্বললে বাল্ব বদলে দেন। খুব কম খরচ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। পানি জমলে ড্রেন পাইপ পরিষ্কার করেন। এটা প্রায় ফ্রি সার্ভিস। শব্দ বেশি হলে ফ্যান চেক করেন। দরকার হলে রিপ্লেস করেন। নিয়মিত মেইনটেনেন্স করলে ভালো। বছরে একবার সার্ভিসিং করান। দীর্ঘস্থায়ী হবে ফ্রিজ।
| সমস্যা | সমাধান | আনুমানিক খরচ | সময় |
| ঠান্ডা কম | গ্যাস চার্জ | ২০০০-৩৫০০ টাকা | ২-৩ ঘণ্টা |
| কম্প্রেসার নষ্ট | রিপ্লেসমেন্ট | ৫০০০-৮০০০ টাকা | ৪-৬ ঘণ্টা |
| ডোর সিল লিক | নতুন সিল লাগানো | ৮০০-১৫০০ টাকা | ১-২ ঘণ্টা |
| লাইট না জ্বলা | বাল্ব বদল | ৩০০-৫০০ টাকা | ৩০ মিনিট |
ওয়ালটন ফ্রিজের ওয়ারেন্টি কত
ওয়ালটন ফ্রিজের ওয়ারেন্টি সুবিধা বেশ ভালো। স্ট্যান্ডার্ড ওয়ারেন্টি এক বছর থাকে। পুরো ফ্রিজে এই ওয়ারেন্টি প্রযোজ্য। কম্প্রেসারে আলাদা ওয়ারেন্টি দেয়। ১০ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়। কিছু প্রিমিয়াম মডেলে ১২ বছরও আছে। ওয়ারেন্টি কার্ড সাথে পাবেন। এটা সযত্নে রাখতে হবে। ইনভয়েস কপিও দরকার পড়বে। সার্ভিস নিতে গেলে দেখাতে হয়। ওয়ারেন্টির মধ্যে ফ্রি সার্ভিস পাবেন। যন্ত্রাংশ বদলও ফ্রি করে দেয়। তবে কিছু শর্ত মানতে হয়। ভুল ব্যবহারে ওয়ারেন্টি বাতিল হয়। ভোল্টেজ সমস্যায় নষ্ট হলে প্রযোজ্য নয়। নিজে মেরামত করলেও বাতিল হবে। অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে যেতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিন কেনার পর। এসএমএস করে বা অনলাইনে রেজিস্টার করুন।
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর কিনবেন কেন
অনেক কারণে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর কিনবেন। প্রথম কারণ দাম সাশ্রয়ী। বাজেটে সেরা অপশন এটি। দ্বিতীয় কারণ মান ভালো। দেশীয় হলেও কোয়ালিটি আন্তর্জাতিক মানের। তৃতীয় কারণ প্রযুক্তি আধুনিক। সব নতুন ফিচার পাবেন। চতুর্থ কারণ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। মাসিক বিল কম আসবে। পঞ্চম কারণ সার্ভিস সুবিধা। সারাদেশে নেটওয়ার্ক আছে। ষষ্ঠ কারণ ওয়ারেন্টি সুবিধা। লম্বা সময়ের ওয়ারেন্টি পাবেন। সপ্তম কারণ ডিজাইন সুন্দর। বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াবে। অষ্টম কারণ দীর্ঘস্থায়ী। ১০ থেকে ১৫ বছর চলবে। নবম কারণ দেশীয় ব্র্যান্ড। দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবেন। দশম কারণ কিস্তি সুবিধা। সহজ শর্তে কিস্তিতে কিনতে পারবেন। এসব কারণে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনা বুদ্ধিমানের কাজ।
- পরিবেশ বান্ধব রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার হয়
- নিরাপদ ও ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত
- মেইড ইন বাংলাদেশ হওয়ায় গর্ব করতে পারবেন
- রিসেল ভ্যালু অন্যদের চেয়ে ভালো
- বিক্রি করতে চাইলে ভালো দাম পাবেন
- লোকাল সাপোর্ট সবসময় কাছে পাবেন
- বিদেশি ব্র্যান্ডের চেয়ে সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর বনাম স্যামসাং ফ্রিজ
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর বনাম স্যামসাং ফ্রিজ তুলনা করা যাক। স্যামসাং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড। দাম অনেক বেশি হয়। ওয়ালটন দেশীয় ব্র্যান্ড। দাম অনেক কম পড়ে। ফিচার দুটোতেই প্রায় সমান। আধুনিক প্রযুক্তি দুটোতেই আছে। কুলিং পারফরমেন্স দুটোই ভালো। স্যামসাং একটু বেশি পাওয়ারফুল। ওয়ালটন যথেষ্ট ভালো পারফরম করে। বিদ্যুৎ খরচ দুটোই কম। ইনভার্টার মডেল উভয়েই আছে। ডিজাইন স্যামসাং একটু প্রিমিয়াম। ওয়ালটনও খারাপ না দেখতে। বিল্ড কোয়ালিটি স্যামসাং শক্ত। ওয়ালটনও মোটামুটি মজবুত। সার্ভিস স্যামসাং কিছু এলাকায় পাওয়া যায় না। ওয়ালটন সারাদেশে সহজ সার্ভিস। যন্ত্রাংশ স্যামসাং দামী ও দুর্লভ। ওয়ালটন সস্তা ও সহজলভ্য। দাম বিবেচনায় ওয়ালটন সেরা চয়েস।
| তুলনার বিষয় | ওয়ালটন | স্যামসাং | বিজয়ী |
| দাম | ২০,০০০-৫০,০০০ | ৪০,০০০-১,৫০,০০০ | ওয়ালটন |
| ফিচার | আধুনিক | অত্যাধুনিক | স্যামসাং |
| সার্ভিস | সারাদেশে | শহরে | ওয়ালটন |
| যন্ত্রাংশ দাম | কম | বেশি | ওয়ালটন |
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর অনলাইন দাম তালিকা
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর অনলাইন দাম তালিকা দেখে নিন। অনলাইনে কেনাকাটা এখন সহজ। দারাজ, এভালি, রকমারিতে পাবেন। ওয়ালটনের নিজস্ব ওয়েবসাইটেও অর্ডার করা যায়। ৮ সিএফটি মডেল ১৫,৫০০ থেকে ২৫,৯০০ টাকা। ১০ সিএফটি মডেল ১৮,৯০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা। ১২ সিএফটি মডেল ২৩,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকা। ১৬ সিএফটি মডেল ৩৮,০০০ থেকে ৫৫,০০০ টাকা। সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ৬৫,০০০ থেকে ১,২০,০০০ টাকা। ডিপ ফ্রিজ ১৮,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা। অনলাইনে অর্ডার করলে হোম ডেলিভারি ফ্রি। ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা আছে। কার্ডে পেমেন্ট করলে ক্যাশব্যাক মেলে। বিকাশ, নগদ, রকেটেও দিতে পারবেন। ইএমআই সুবিধা সব কার্ডে পাওয়া যায়। রিভিউ দেখে কিনতে পারবেন। রেটিং চেক করে নিন অবশ্যই। রিটার্ন পলিসি আছে ৭ দিনের।
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের ফিচার: অত্যাধুনিক প্রযুক্তি
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে অনেক আধুনিক ফিচার রয়েছে। ইনভার্টার কম্প্রেসর প্রযুক্তি বিদ্যুতের খরচ কমায়। স্মার্ট টেম্পারেচার কন্ট্রোল সিস্টেম খাবারের গুণগত মান ঠিক রাখে। মাল্টি এয়ার ফ্লো সিস্টেম পুরো ফ্রিজে সমান ঠান্ডা তাপমাত্রা নিশ্চিত করে।
ডিজিটাল ডিসপ্লে প্যানেল ব্যবহার করা সহজ করে। এর মাধ্যমে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং পাওয়ার মোড নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিছু মডেলে ওয়াইফাই কানেক্টিভিটি আছে। এর ফলে স্মার্টফোন দিয়ে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এন্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রযুক্তি খাবারে ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি রোধ করে। ভ্রুট এন্ড ভেজিটেবল ক্রিসপার আলাদা আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে শাকসবজি ও ফল বেশিদিন টাটকা থাকে। তাছাড়া, LED লাইটিং ব্যবস্থা অভ্যন্তরীণ দৃশ্যমানতা উন্নত করে।
ওয়ালটন ফ্রিজ কত প্রকার: বিভিন্ন মডেলের পরিচয়
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। সিঙ্গেল ডোর রেফ্রিজারেটর ছোট পরিবারের জন্য উপযুক্ত। ডাবল ডোর মডেল মাঝারি পরিবারের জন্য ভালো। সাইড বাই সাইড এবং ফ্রেঞ্চ ডোর মডেল বড় পরিবারের চাহিদা পূরণ করে।
ট্রিপল ডোর রেফ্রিজারেটরে আলাদা ফ্রিজার কম্পার্টমেন্ট থাকে। এতে খাবার আরো সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করা যায়। স্মার্ট রেফ্রিজারেটরে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি আছে।
নন-ফ্রস্ট প্রযুক্তি সব মডেলেই রয়েছে। এর ফলে বরফ জমে যাওয়ার সমস্যা হয় না। বিভিন্ন রঙের অপশন আছে। সিলভার, ব্ল্যাক, হোয়াইট, গোল্ড – এই রঙগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয়।
ফ্রিজ কেনার পরামর্শ: সঠিক পছন্দের গাইড
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর কেনার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। প্রথমে পরিবারের সদস্য সংখ্যা বিবেচনা করুন। ২-৩ জনের পরিবারের জন্য ১৮০-২৫০ লিটার যথেষ্ট। ৪-৫ জনের পরিবারের জন্য ৩০০-৪০০ লিটার প্রয়োজন।
এনার্জি রেটিং দেখে কিনুন। ৫ স্টার রেটিং সবচেয়ে ভালো। এতে বিদ্যুতের বিল কম আসবে। গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টির বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ালটন সাধারণত ১ বছর সম্পূর্ণ গ্যারান্টি এবং ১২ বছর কম্প্রেসর ওয়ারেন্টি দেয়।
রান্নাঘরের জায়গা মাপজোক করে কিনুন। উচ্চতা, প্রস্থ এবং গভীরতা সবকিছু বিবেচনা করুন। ডোর ওপেনিং স্পেসও হিসাব করুন। এছাড়া, ভবিষ্যতের চাহিদাও ভেবে রাখুন।
সেরা রেফ্রিজারেটর ২০২৫: ওয়ালটনের অবস্থান
২০২৫ সালে বাংলাদেশের রেফ্রিজারেটর বাজারে ওয়ালটন অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং সাশ্রয়ী দামের কারণে জনপ্রিয়তা বেড়েছে। স্থানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে গ্রাহক সেবায় এগিয়ে।
আন্তর্জাতিক মানের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছে ওয়ালটন। আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) প্রযুক্তি যোগ করেছে নতুন মডেলে। ভয়েস কন্ট্রোল ফিচার এখন অনেক মডেলেই পাওয়া যায়। এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ব্যবহার করে শক্তি সাশ্রয় করা হচ্ছে।
গুণগত মান বজায় রেখে দাম প্রতিযোগিতামূলক রাখতে পেরেছে। গ্রাহক সেবা উন্নত হয়েছে গত কয়েক বছরে। দেশব্যাপী সার্ভিস নেটওয়ার্ক বিস্তার করা হচ্ছে।
ডিপ ফ্রিজ বনাম রেফ্রিজারেটর: পার্থক্য বুঝুন
ওয়ালটন ডিপ ফ্রিজ এবং রেফ্রিজারেটর দুটোই তৈরি করে। ডিপ ফ্রিজ মূলত হিমায়িত খাবার সংরক্ষণের জন্য। রেফ্রিজারেটর দৈনন্দিন খাবার ও পানীয় ঠান্ডা রাখে। ডিপ ফ্রিজের তাপমাত্রা -১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামে।
ব্যবসায়ের জন্য ডিপ ফ্রিজ বেশি উপযোগী। মাছ, মাংস, আইসক্রিম রাখার জন্য ডিপ ফ্রিজ প্রয়োজন। রেফ্রিজারেটর ঘরের কাজের জন্য সুবিধাজনক। এতে বিভিন্ন কম্পার্টমেন্ট থাকে।
ডিপ ফ্রিজ সাধারণত বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে। কিন্তু বেশি খাবার রাখা যায়। দোকানদার বা রেস্তোরাঁ মালিকদের জন্য ডিপ ফ্রিজ আবশ্যক। পারিবারিক ব্যবহারে রেফ্রিজারেটরই যথেষ্ট।
ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজ: ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি
ওয়ালটনের স্মার্ট রেফ্রিজারেটর আধুনিক প্রযুক্তির এক অনন্য নিদর্শন। ওয়াইফাই কানেক্টিভিটির মাধ্যমে স্মার্টফোন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অফিস থেকে ফ্রিজের তাপমাত্রা চেক করতে পারেন। মোবাইল অ্যাপ দিয়ে বিভিন্ন সেটিংস পরিবর্তন করা সম্ভব।
টাচ স্ক্রিন ডিসপ্লে প্যানেল রয়েছে কিছু মডেলে। এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়। রেসিপি দেখা, সংবাদ পড়া এবং আবহাওয়ার খবর জানা যায়। ইনবিল্ট ক্যামেরা দিয়ে ফ্রিজের ভিতরের অবস্থা দেখা যায়।
ভয়েস কমান্ড ফিচার যোগ করা হয়েছে নতুন মডেলে। আলেক্সা এবং গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট সাপোর্ট করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে খাবারের মেয়াদ ট্র্যাক করে। খাবার শেষ হওয়ার আগেই সতর্কবার্তা দেয়।
বাংলাদেশে ফ্রিজের বাজার: ওয়ালটনের প্রভাব
বাংলাদেশের রেফ্রিজারেটর বাজারে ওয়ালটনের শেয়ার উল্লেখযোগ্য। গত এক দশকে দেশীয় উৎপাদনে এগিয়েছে। বিদেশি ব্র্যান্ডের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে আছে। রপ্তানিও শুরু হয়েছে বিভিন্ন দেশে।
স্থানীয় চাহিদা বুঝে পণ্য ডিজাইন করে ওয়ালটন। বাংলাদেশের আবহাওয়া, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি এবং ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করা হয়। গ্রাহক সেবায় স্থানীয় ভাষা ব্যবহার করা হয়। মফস্বলে সার্ভিস সেন্টার বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
কর্মসংস্থান তৈরিতেও ভূমিকা রাখছে ওয়ালটন। হাজার হাজার মানুষের কাজের ব্যবস্থা হয়েছে। স্থানীয় সাপ্লায়ার চেইন উন্নত হয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
উপসংহার
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর বাংলাদেশী পরিবারের জন্য একটি আদর্শ পছন্দ। আধুনিক প্রযুক্তি, সাশ্রয়ী দাম এবং ভালো গ্রাহক সেবা এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন আকার ও মডেলে পাওয়া যাওয়ায় প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরণ করে।
কেনার আগে নিজের প্রয়োজন, বাজেট এবং জায়গার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। পণ্যের রিভিউ পড়ুন এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর একটি উপযুক্ত পছন্দ।
গুণগত মানে কোনো আপস না করে স্থানীয় ব্র্যান্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ওয়ালটনের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতেও নতুন প্রযুক্তি যোগ করে গ্রাহকদের সেবা দিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।
এই পোস্টটি সর্বশেষ আপডেট করা হয়েছে: অক্টোবর ২০২৫
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী(FAQs)
ওয়ালটন ফ্রিজ কতদিন চলে?
ওয়ালটন ফ্রিজ সাধারণত ১০ থেকে ১৫ বছর ভালোভাবে চলে। নিয়মিত মেইনটেনেন্স করলে আরও বেশি দিন টিকবে। কম্প্রেসারে ১০ বছরের ওয়ারেন্টি থাকায় নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন।
ওয়ালটন ফ্রিজ কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী?
হ্যাঁ, ওয়ালটন ফ্রিজ খুবই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। ইনভার্টার মডেল সাধারণ ফ্রিজের চেয়ে ৪০% কম বিদ্যুৎ খরচ করে। মাসিক বিল ৫০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে আসে সাইজ অনুযায়ী।
ওয়ালটন ফ্রিজের দাম কত?
ওয়ালটন ফ্রিজের দাম শুরু হয় ১৫,০০০ টাকা থেকে। ৮ সিএফটি ফ্রিজ ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা। ১২ সিএফটি ফ্রিজ ২৫,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকা। বড় মডেল ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কোথায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনব?
ওয়ালটনের অফিশিয়াল শোরুম থেকে কিনতে পারবেন। অনলাইনে দারাজ, এভালি থেকে অর্ডার করা যায়। ওয়ালটনের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকেও কিনতে পারবেন। বড় ইলেকট্রনিক্স শপেও পাওয়া যায়।
ওয়ালটন ফ্রিজে কি ওয়ারেন্টি আছে?
হ্যাঁ, ওয়ালটন ফ্রিজে স্ট্যান্ডার্ড ১ বছর ওয়ারেন্টি থাকে। কম্প্রেসারে আলাদা ১০ বছর ওয়ারেন্টি দেওয়া হয়। কিছু প্রিমিয়াম মডেলে ১২ বছর পর্যন্ত কম্প্রেসার ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়।
ওয়ালটন ফ্রিজ কি নন ফ্রস্ট?
ওয়ালটনের অনেক মডেল নন ফ্রস্ট টেকনোলজিতে তৈরি। এসব ফ্রিজে বরফ জমে না। ম্যানুয়াল ডিফ্রস্টিং লাগে না। তবে ডাইরেক্ট কুল মডেলও আছে যেগুলো সস্তা।
কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনতে পারব?
হ্যাঁ, সব ব্যাংক কার্ডে কিস্তি সুবিধা আছে। ৩ থেকে ৩৬ মাসের কিস্তি পাওয়া যায়। জিরো ইন্টারেস্ট ইএমআই অফারও মাঝেমধ্যে আসে। ডাউন পেমেন্ট কম বা ছাড়াই কিস্তি করা যায়।
ওয়ালটন ফ্রিজ সার্ভিস কেমন?
ওয়ালটন ফ্রিজের সার্ভিস সুবিধা খুব ভালো। সারাদেশে ৬০০ এর বেশি সার্ভিস পয়েন্ট আছে। হটলাইনে ফোন করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টেকনিশিয়ান আসেন। ওয়ারেন্টির মধ্যে ফ্রি সার্ভিস পাবেন।
ওয়ালটন ফ্রিজ কোন দেশে তৈরি?
ওয়ালটন ফ্রিজ বাংলাদেশে তৈরি হয়। গাজীপুরে ওয়ালটনের বিশাল কারখানা আছে। তবে কিছু যন্ত্রাংশ জাপান বা চায়না থেকে আমদানি করা হয়। সম্পূর্ণ দেশীয় ব্র্যান্ড এবং গর্বের বিষয়।
ওয়ালটন আর স্যামসাং ফ্রিজ কোনটা ভালো?
দাম বিবেচনায় ওয়ালটন অনেক ভালো। স্যামসাং প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড হলেও দাম দ্বিগুণ। ফিচার প্রায় একই রকম পাওয়া যায়। সার্ভিস ও যন্ত্রাংশ ওয়ালটনের সহজ ও সস্তা। বাজেট ফ্রেন্ডলি চাইলে ওয়ালটন সেরা।
ওয়ালটন ফ্রিজ রিপেয়ার খরচ কত?
সাধারণ মেরামত খরচ ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। গ্যাস চার্জ করতে ২০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা লাগে। কম্প্রেসার বদলাতে ৫০০০ থেকে ৮০০০ টাকা খরচ হয়। ওয়ারেন্টির মধ্যে থাকলে ফ্রি সার্ভিস পাবেন।
ওয়ালটন ডিপ ফ্রিজ দাম কত?
ওয়ালটন ডিপ ফ্রিজের দাম শুরু হয় ১৮,০০০ টাকা থেকে। ছোট সাইজ ১০০ লিটার ১৮,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা। মাঝারি ২০০-৩০০ লিটার ৩০,০০০ থেকে ৪৫,০০০ টাকা। বড় কমার্শিয়াল ডিপ ফ্রিজ ৬০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা।
ওয়ালটন ইনভার্টার ফ্রিজ কি?
ইনভার্টার ফ্রিজে স্মার্ট কম্প্রেসার থাকে। এটা চাহিদা অনুযায়ী স্পিড কন্ট্রোল করে। ফলে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হয়। সাধারণ ফ্রিজের চেয়ে ৪০% বিল সাশ্রয় হয়। শব্দও কম হয় অনেক।
ওয়ালটন ফ্রিজে কি স্মার্ট ফিচার আছে?
নতুন মডেলে স্মার্ট ফিচার যুক্ত হয়েছে। টাচ কন্ট্রোল প্যানেল আছে। ডিজিটাল ডিসপ্লে তাপমাত্রা দেখায়। ডোর অ্যালার্ম সিস্টেম আছে। কিছু মডেলে মোবাইল অ্যাপ কন্ট্রোল সুবিধা রয়েছে।
ওয়ালটন ফ্রিজের রঙ কি কি আছে?
ওয়ালটন ফ্রিজ বিভিন্ন রঙে পাওয়া যায়। সিলভার, সাদা, কালো সবচেয়ে কমন। গ্রে, নীল, লাল রঙও আছে। ফ্লাওয়ার প্রিন্ট ডিজাইনও পাওয়া যায়। গ্লাস ফিনিশ মডেল খুবই আকর্ষণীয়।
ওয়ালটন ফ্রিজ কোন সাইজ কিনব?
পরিবার সদস্য অনুযায়ী সাইজ বেছে নিন। ২-৩ জনের জন্য ৮-১০ সিএফটি যথেষ্ট। ৩-৫ জনের পরিবারে ১২-১৪ সিএফটি নিন। বড় পরিবারে ১৬ সিএফটি বা বেশি দরকার। রান্নার অভ্যাস বিবেচনা করে নিন।
ওয়ালটন ফ্রিজ হোম ডেলিভারি ফ্রি?
হ্যাঁ, ওয়ালটন ফ্রিজের হোম ডেলিভারি ফ্রি দেওয়া হয়। শোরুম বা অনলাইন যেকোনো জায়গা থেকে কিনুন। বাসায় পৌঁছে দেবে বিনামূল্যে। ইনস্টলেশন সার্ভিসও ফ্রি পাবেন।
ওয়ালটন ফ্রিজ রক্ষণাবেক্ষণ কিভাবে করব?
নিয়মিত পরিষ্কার করুন ভেতর ও বাইরে। মাসে একবার কয়েল পরিষ্কার করুন। দরজা সিল চেক করুন মাঝেমধ্যে। বারবার দরজা খোলা এড়িয়ে চলুন। গরম খাবার রাখবেন না। বছরে একবার সার্ভিসিং করান।
ওয়ালটন ফ্রিজ অফার কখন আসে?
ঈদ, পহেলা বৈশাখ, নববর্ষে বড় অফার আসে। বৈশাখী মেলায় বিশেষ ছাড়। ১১.১১, ১২.১২ এ অনলাইন সেল হয়। শীতকালে উইন্টার অফার থাকে। মাঝেমধ্যে ফ্ল্যাশ সেলও আসে।
ওয়ালটন ফ্রিজ কি পরিবেশ বান্ধব?
হ্যাঁ, ওয়ালটন ফ্রিজ পরিবেশ বান্ধব। ইকো ফ্রেন্ডলি রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা হয়। ওজোন স্তর নষ্ট করে না। এনার্জি সেভিং টেকনোলজি কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমায়। বিশ্ব মান অনুসরণ করে তৈরি করা হয়।
🔥 পোস্টটি শেয়ার করুনঃ 🌍






