আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্যানিটারি আইটেম রক্ষণাবেক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকেই এই কাজে ভুল করেন। এর ফলে পরবর্তীতে বড় সমস্যা হয়। সঠিক পদ্ধতি জানলে এই সমস্যা এড়ানো যায়। আজ আমরা জানবো কিভাবে সহজ উপায়ে স্যানিটারি আইটেম রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। প্রতিদিন একটু যত্ন নিলে অনেক টাকা বাঁচানো যায়।
স্যানিটারি আইটেম পরিষ্কার রাখা কঠিন কাজ নয়। সঠিক নিয়ম মানলে এটা সহজ হয়ে যায়। আমাদের ঘরের বাথরুম আর রান্নাঘরে থাকা জিনিসগুলো নিয়মিত যত্ন চায়। এই লেখায় আমি সহজ ভাষায় বলবো। তাহলে সবাই বুঝতে পারবেন।
স্যানিটারি রক্ষণাবেক্ষণের সাধারণ ভুল

অনেকেই স্যানিটারি রক্ষণাবেক্ষণে ভুল করেন। এই ভুলগুলো জানা দরকার। প্রথম ভুল হলো কড়া কেমিক্যাল ব্যবহার করা। এতে স্যানিটারি আইটেম নষ্ট হয়ে যায়। দ্বিতীয় ভুল হচ্ছে নিয়মিত পরিষ্কার না করা। এর ফলে জীবাণু জমে থাকে।
অনেকেই ভাবেন মোটা ব্রাশ ব্যবহার করলে ভালো পরিষ্কার হবে। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। মোটা ব্রাশ ব্যবহারে স্যানিটারি আইটেমের উপরিভাগ নষ্ট হয়। তাই নরম কাপড় বা স্পঞ্জ ব্যবহার করা ভালো। সবচেয়ে বড় ভুল হলো পানি শুকানো ছাড়াই রেখে দেওয়া।
গরম পানি ব্যবহার করাও একটি ভুল। অতিরিক্ত গরম পানিতে প্লাস্টিকের জিনিস নষ্ট হয়। তাই হালকা গরম বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। এই ভুলগুলো এড়িয়ে চললে স্যানিটারি আইটেম রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হবে।
স্যানিটারি আইটেম পরিষ্কার করার উপায়
স্যানিটারি আইটেম পরিষ্কার করার সহজ উপায় আছে। প্রথমে নরম কাপড় আর মৃদু সাবান ব্যবহার করুন। কড়া ডিটারজেন্ট এড়িয়ে চলুন। পানিতে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে পরিষ্কার করলে চকচকে হয়। এতে দাগও উঠে যায়।
প্রতিদিন ব্যবহারের পর একবার পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে একবার ভালো করে পরিষ্কার করুন। এতে জীবাণু থাকবে না। পরিষ্কার করার পর শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে দিন। পানি জমে থাকলে দাগ পড়ে।
বেকিং সোডা দিয়ে পরিষ্কার করা যায়। এটা প্রাকৃতিক আর নিরাপদ। এক চামচ বেকিং সোডা পানিতে মিশিয়ে পেস্ট বানান। এই পেস্ট দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করুন। তারপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।
বাথরুম স্যানিটারি রক্ষণাবেক্ষণ
বাথরুম স্যানিটারি রক্ষণাবেক্ষণ নিয়মিত করতে হয়। প্রতিদিন ব্যবহারের পর পানি দিয়ে ধুয়ে দিন। সপ্তাহে একবার ভালো করে পরিষ্কার করুন। এতে দুর্গন্ধ হবে না। বাথরুমে যেন হাওয়া চলাচল থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
ভোরে বাথরুম পরিষ্কার করা ভালো। তখন জীবাণু কম থাকে। মেঝেতে যেন পানি জমে না থাকে। এতে মশা-মাছি হয়। পরিষ্কারের সময় গ্লাভস ব্যবহার করুন। হাত সুরক্ষিত থাকবে।
বাথরুমের জানালা খোলা রাখুন। সূর্যের আলো জীবাণু মারে। বাতাস চলাচল করলে দুর্গন্ধ থাকে না। এই নিয়মগুলো মানলে বাথরুম স্যানিটারি রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হবে। সবার স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
স্যানিটারি ফিটিংস পরিষ্কার করার টিপস
স্যানিটারি ফিটিংস পরিষ্কার করার কিছু দরকারি টিপস আছে। প্রথমে ফিটিংসের ধরন বুঝুন। কোনটা প্লাস্টিক আর কোনটা ধাতুর। এর উপর পরিষ্কার করার পদ্ধতি নির্ভর করে। প্রতিদিন নরম কাপড় দিয়ে মুছে দিন। এতে দাগ জমবে না।
চুনের দাগ একটি সাধারণ সমস্যা। ভিনেগার দিয়ে এই দাগ তোলা যায়। কাপড়ে ভিনেগার লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। টুথব্রাশ দিয়ে ছোট জায়গা পরিষ্কার করা যায়। এটা খুব কার্যকর।
পানির পাইপ বন্ধ করে ফিটিংস খুলে পরিষ্কার করুন। ভিতরের ময়লা বের হয়ে যাবে। আবার লাগানোর সময় টাইট করে লাগান। নাহলে পানি পড়বে। এই টিপসগুলো মানলে ফিটিংস অনেকদিন ভালো থাকবে।
কমোড পরিষ্কার রাখার নিয়ম
কমোড পরিষ্কার রাখার বিশেষ নিয়ম আছে। প্রতিদিন ব্যবহারের পর ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে দিন। হ্যারপিক বা এজাতীয় পরিষ্কারক ব্যবহার করুন। কিন্তু বেশি ব্যবহার করবেন না। এতে কমোডের রং নষ্ট হয়। সপ্তাহে দুইবার ভালো করে পরিষ্কার করুন।
কমোডের সিট আলাদা করে পরিষ্কার করুন। এখানে বেশি জীবাণু থাকে। ডেটল দিয়ে পরিষ্কার করলে জীবাণু মরে যায়। ব্রাশ দিয়ে ভিতরের দিক ভালো করে ঘষুন। তবে খুব জোরে ঘষবেন না। এতে কমোড নষ্ট হতে পারে।
রাতে কমোড পরিষ্কার করা ভালো। সারারাত পরিষ্কারক কাজ করবে। সকালে আবার একবার ধুয়ে দিন। এভাবে করলে কমোড জীবাণুমুক্ত থাকবে। দুর্গন্ধও হবে না। পরিষ্কারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
ওয়াশ বেসিন রক্ষণাবেক্ষণ
ওয়াশ বেসিন রক্ষণাবেক্ষণ সহজ কাজ। প্রতিদিন ব্যবহারের পর পানি দিয়ে ধুয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে দিন। সাবানের ফেনা জমে থাকলে দাগ পড়ে। তাই ভালো করে পরিষ্কার করুন। লেবুর খোসা দিয়ে ঘষলে চকচকে হয়।
ড্রেনের মুখে চুল জমে যায়। এটা নিয়মিত পরিষ্কার করুন। নাহলে পানি জমবে। পুরানো টুথব্রাশ দিয়ে কোণের ময়ল তুলুন। এতে ভালো পরিষ্কার হয়। বেসিনের নিচের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন।
মাসে একবার ড্রেনে গরম পানি দিন। এতে জমে থাকা তেল গলে যায়। পাইপও পরিষ্কার হয়। বেসিনে কড়া কিছু ফেলবেন না। এতে দাগ পড়ে। সবসময় পরিষ্কার রাখলে ওয়াশ বেসিন অনেকদিন সুন্দর থাকবে।
বাথরুমের ট্যাপ পরিষ্কার করার উপায়
বাথরুমের ট্যাপ পরিষ্কার করার নিয়ম জানা দরকার। প্রতিদিন নরম কাপড় দিয়ে মুছে দিন। পানির দাগ জমে গেলে ভিনেগার ব্যবহার করুন। কাপড়ে ভিনেগার লাগিয়ে ট্যাপে মুড়িয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর খুলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
ট্যাপের মুখে চুনের দাগ জমে। টুথপেস্ট দিয়ে এই দাগ তোলা যায়। পুরানো টুথব্রাশে টুথপেস্ট লাগিয়ে ঘষুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছুন। ট্যাপ নতুনের মতো চকচকে হবে।
ট্যাপের ভিতরে পানির চাপ কমে গেলে বুঝবেন ময়লা জমেছে। এটা খুলে পরিষ্কার করুন। কিন্তু খোলার আগে পানির সাপ্লাই বন্ধ করুন। নাহলে সমস্যা হবে। পরিষ্কার করে আবার লাগিয়ে দিন। নিয়মিত যত্ন নিলে ট্যাপ অনেকদিন চলবে।
শাওয়ার সেট রক্ষণাবেক্ষণ টিপস
শাওয়ার সেট রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ খেয়াল রাখা দরকার। শাওয়ারের ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায়। নিয়মিত এগুলো পরিষ্কার করুন। সুঁচ দিয়ে ছিদ্র খোঁচা দিন। এতে পানি ঠিকমতো বের হবে। ভিনেগারে সারারাত ভিজিয়ে রাখলে দাগ উঠে যায়।
শাওয়ার হেড খুলে পরিষ্কার করুন। ভিতরে অনেক ময়লা জমে। পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। পুরানো টুথব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করুন। তারপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে আবার লাগিয়ে দিন।
শাওয়ারের পাইপে চুনের আস্তরণ জমে। এটা বন্ধ হওয়ার কারণ। মাসে একবার পাইপ পরিষ্কার করুন। গরম পানি দিয়ে ধুলে অনেক ময়লা বের হয়। এই টিপসগুলো মানলে শাওয়ার সেট দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
রান্নাঘরের সিঙ্ক পরিষ্কার করার পদ্ধতি
রান্নাঘরের সিঙ্ক পরিষ্কার রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন রান্নার পর ভালো করে পরিষ্কার করুন। তেল-চর্বি জমে গেলে ড্রেন বন্ধ হয়। গরম পানিতে ডিশ সাবান মিশিয়ে ধুলে তেল উঠে যায়। সিঙ্কের কোণে বিশেষ খেয়াল রাখুন।
প্রতি রাতে গরম পানি দিয়ে ড্রেন পরিষ্কার করুন। এতে তেল জমবে না। সপ্তাহে একবার বেকিং সোডা আর ভিনেগার মিশিয়ে ড্রেনে দিন। এতে দুর্গন্ধ দূর হয়। পাইপও পরিষ্কার থাকে।
সিঙ্কে কাঁচা মাছ-মাংস কাটার পর জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন। নুন আর লেবু দিয়ে ঘষলেও জীবাণু মরে। স্টেইনলেস স্টিল সিঙ্ক জন্য নরম স্পঞ্জ ব্যবহার করুন। ধাতুর স্ক্রাবার ব্যবহার করবেন না। এতে দাগ পড়ে।
পাইপ ও ফিটিংস রক্ষণাবেক্ষণ
পাইপ ও ফিটিংস রক্ষণাবেক্ষণে সাবধানতা দরকার। নিয়মিত চেক করুন পাইপে কোনো ফুটো আছে কিনা। ছোট ফুটো বড় সমস্যার কারণ হয়। যত তাড়াতাড়ি মেরামত করবেন ততই ভালো। পাইপ জোড়ার জায়গায় বিশেষ খেয়াল রাখুন।
পাইপে কোনো কিছু আটকে গেলে জোর করে সরানোর চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে প্লাম্বারের সাহায্য নিন। ভুল পদ্ধতিতে চেষ্টা করলে পাইপ নষ্ট হতে পারে। তখন আরো বেশি খরচ হবে। সবসময় সঠিক টুলস ব্যবহার করুন।
পানির চাপ বেশি হলে পাইপ নষ্ট হয়। প্রয়োজনে চাপ কমানোর যন্ত্র লাগান। শীতকালে পাইপে পানি জমে বরফ হলে ফেটে যায়। সেই সময় অতিরিক্ত যত্ন নিন। নিয়মিত দেখাশোনা করলে পাইপ ও ফিটিংস অনেকদিন ভালো থাকবে।
স্যানিটারি এক্সেসরিজ পরিষ্কার রাখার নিয়ম
স্যানিটারি এক্সেসরিজ পরিষ্কার রাখতে বিশেষ নিয়ম মানুন। টয়লেট পেপার হোল্ডার, সাবান হোল্ডার, টাওয়েল রড এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন। জীবাণু এই জায়গায় লুকিয়ে থাকে। প্রতি সপ্তাহে একবার জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে দিন।
মিররের কোণে ধুলো জমে। নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। কাচের পরিষ্কারক ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন। লাইট ফিটিংসেও ধুলো জমে। বিদ্যুৎ বন্ধ করে পরিষ্কার করুন। নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখুন।
বাথরুমের ম্যাট নিয়মিত ধোয়া দরকার। এতে সবচেয়ে বেশি জীবাণু থাকে। রোদে শুকালে জীবাণু মরে যায়। প্লাস্টিকের এক্সেসরিজ সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। কড়া কেমিক্যাল ব্যবহার করবেন না।
বাথরুমের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
বাথরুমের দুর্গন্ধ একটি সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান আছে। প্রথমে কারণ খুঁজে বের করুন। ড্রেনে ময়লা জমে থাকলে দুর্গন্ধ হয়। নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার করুন। বেকিং সোডা আর ভিনেগার ভালো কাজ করে।
বাথরুমে হাওয়া চলাচল না থাকলেও দুর্গন্ধ হয়। জানালা খোলা রাখুন। ফ্যান ব্যবহার করুন। এতে বাতাস চলাচল হবে। দুর্গন্ধ থাকবে না। প্রাকৃতিক আলো-বাতাস সবচেয়ে ভালো সমাধান।
লেবুর খোসা ব্যবহার করা যায়। লেবুতে প্রাকৃতিক সুগন্ধ আছে। কফির গুঁড়োও দুর্গন্ধ দূর করে। এগুলো ছোট পাত্রে রেখে দিন। প্রতি সপ্তাহে বদলে দিন। এই প্রাকৃতিক উপায় নিরাপদ।
সাশ্রয়ী উপায়ে স্যানিটারি আইটেম রক্ষণাবেক্ষণ
সাশ্রয়ী উপায়ে স্যানিটারি আইটেম রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব। দামি পণ্য কেনার দরকার নেই। ঘরে থাকা জিনিস দিয়েই অনেক কিছু করা যায়। লেবু, ভিনেগার, বেকিং সোডা – এগুলো খুব কার্যকর। দাম অনেক কম কিন্তু ফলাফল ভালো।
নিয়মিত পরিষ্কার করলে বড় খরচ এড়ানো যায়। অবহেলা করলে পরে মেরামত করতে হয়। এতে অনেক টাকা খরচ। একটু সময় দিলে অনেক টাকা বাঁচানো যায়। প্রতিদিন পাঁচ মিনিট খরচ করুন।
পুরানো টুথব্রাশ রেখে দিন। এটা পরিষ্কারের কাজে লাগে। পুরানো কাপড়ও কাজে আসে। নতুন কিছু কেনার দরকার হয় না। ঘরে থাকা জিনিসই যথেষ্ট। এই উপায়ে স্যানিটারি আইটেম রক্ষণাবেক্ষণ সাশ্রয়ী হবে।
ঘরোয়া উপায়ে স্যানিটারি পরিষ্কার
ঘরোয়া উপায়ে স্যানিটারি পরিষ্কার করা যায়। রান্নাঘর থেকে নুন নিন। এটা দিয়ে ঘষলে দাগ উঠে যায়। চুনের দাগের জন্য লেবুর রস ভালো। টুথপেস্টেও পরিষ্কারের গুণ আছে। এটা দিয়ে ছোট দাগ পরিষ্কার করা যায়।
ভাতের মাড় জমিয়ে রাখুন। এটা দিয়ে মেঝে মুছলে চকচকে হয়। চায়ের পাতা শুকিয়ে পাউডার বানান। এটা দুর্গন্ধ দূর করে। ডাবের খোসার ছোবড়া দিয়ে ঘষলে ভালো পরিষ্কার হয়। প্রকৃতিতে অনেক উপাদান আছে।
হলুদের গুঁড়ো জীবাণু মারে। এক চিমটি হলুদ পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। কাঁচা দুধেও পরিষ্কারের গুণ আছে। এই ঘরোয়া উপায়গুলো চেষ্টা করে দেখুন। ভালো ফলাফল পাবেন।
দীর্ঘস্থায়ী স্যানিটারি আইটেম রাখার কৌশল

দীর্ঘস্থায়ী স্যানিটারি আইটেম রাখতে কৌশল জানতে হবে। প্রথম কথা হলো সঠিক ব্যবহার। অতিরিক্ত জোরে ঘোরালে বা টানলে ভেঙে যায়। আস্তে আস্তে ব্যবহার করুন। শিশুদের শেখান কিভাবে সাবধানে ব্যবহার করতে হয়।
মানসম্পন্ন পণ্য কিনুন। সস্তার চেয়ে ভালো মানের জিনিস বেশিদিন চলে। প্রথমে একটু বেশি খরচ হলেও পরে লাভ। ব্র্যান্ডের পণ্য কিনলে গ্যারান্টিও পাবেন। সমস্যা হলে বদলে দেবে।
পানির চাপ ঠিক রাখুন। বেশি চাপে জিনিস নষ্ট হয়। কম চাপে ভালো কাজ হয় না। ভারসাম্য রাখুন। ফিল্টার ব্যবহার করুন। নোংরা পানিতে স্যানিটারি আইটেম তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। এই কৌশলগুলো মানলে অনেকদিন ভালো থাকবে।
উপসংহার
স্যানিটারি আইটেম রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সঠিক পদ্ধতি জানলে এই কাজ খুবই সহজ হয়ে যায়। আমরা দেখেছি যে সাধারণ কিছু ভুল এড়িয়ে চললেই অনেক সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। নিয়মিত পরিষ্কার করা সবচেয়ে বড় সমাধান।
ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করে আমরা সাশ্রয়ী উপায়ে স্যানিটারি আইটেম রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারি। লেবু, ভিনেগার, বেকিং সোডার মতো সহজলভ্য জিনিস দিয়েই অনেক কিছু করা সম্ভব। এতে টাকাও বাঁচে আর স্বাস্থ্যের জন্যও নিরাপদ। কেমিক্যালের চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদান সবসময় ভালো।
মনে রাখবেন, একটু সময় দিয়ে নিয়মিত যত্ন নিলে পরে বড় খরচ এড়ানো যায়। প্রতিদিন পাঁচ মিনিট পরিষ্কার করলে সপ্তাহে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে হবে না। ছোট যত্নে বড় ফলাফল পাওয়া যায়।
স্যানিটারি আইটেম রক্ষণাবেক্ষণে ধৈর্য ধরুন। তাড়াহুড়ো করে কাজ করলে ভুল হয়। আস্তে আস্তে সঠিক নিয়মে করুন। পরিবারের সবাইকে এই নিয়মগুলো শেখান। তাহলে সবার উপকার হবে। সুস্থ জীবনের জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত জরুরি।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী(FAQs)
কত দিন পর পর স্যানিটারি আইটেম গভীর পরিষ্কার করতে হবে?
সপ্তাহে একবার গভীর পরিষ্কার করা ভালো। তবে প্রতিদিন হালকা পরিষ্কার করুন। ব্যবহারের মাত্রার উপর নির্ভর করে এই সময় কমবেশি হতে পারে। বেশি ব্যবহার হলে আরো ঘন ঘন পরিষ্কার করুন।
কোন ঘরোয়া উপাদান সবচেয়ে ভালো কাজ করে?
ভিনেগার সবচেয়ে ভালো কাজ করে। এটা চুনের দাগ তোলে আর জীবাণু মারে। বেকিং সোডাও খুব কার্যকর। লেবুর রস প্রাকৃতিক সুগন্ধ দেয়। এই তিনটি মিলিয়ে ব্যবহার করলে সেরা ফলাফল পাবেন।
স্যানিটারি আইটেমে দাগ পড়লে কী করব?
দাগের ধরন বুঝুন প্রথমে। চুনের দাগ হলে ভিনেগার ব্যবহার করুন। তেলের দাগ হলে গরম পানিতে সাবান মিশিয়ে পরিষ্কার করুন। পুরানো দাগ হলে সারারাত পরিষ্কারক লাগিয়ে রেখে সকালে ঘষুন।
কড়া কেমিক্যাল ব্যবহার করলে কী ক্ষতি হয়?
কড়া কেমিক্যাল স্যানিটারি আইটেমের উপরিভাগ নষ্ট করে। রং উঠে যায় আর চকচকে ভাব কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে ফাটলও ধরে। এছাড়া স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। তাই মৃদু পরিষ্কারক ব্যবহার করুন।
ড্রেন বন্ধ হয়ে গেলে কী করব?
প্রথমে গরম পানি ঢালুন। এতে তেল গলে যেতে পারে। না হলে বেকিং সোডা আর ভিনেগার মিশিয়ে ঢালুন। আধা ঘণ্টা পর গরম পানি দিন। এখনও কাজ না হলে প্লাম্বারের সাহায্য নিন।
বাথরুমে দুর্গন্ধ থাকলে কী করতে হবে?
প্রথমে কারণ খুঁজুন। ড্রেনে ময়লা জমে থাকলে পরিষ্কার করুন। হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা করুন। জানালা খোলা রাখুন। প্রাকৃতিক সুগন্ধের জন্য লেবুর খোসা বা কফির গুঁড়ো ব্যবহার করুন।
শীতকালে স্যানিটারি আইটেমের বিশেষ যত্ন দরকার কি?
হ্যাঁ, শীতকালে বিশেষ যত্ন দরকার। পাইপে পানি জমে বরফ হতে পারে। এতে পাইপ ফেটে যায়। তাই ঠান্ডা বেশি হলে রাতে ট্যাপ থেকে সামান্য পানি ফেলে রাখুন। হিটার ব্যবহার করে বাথরুম গরম রাখুন।
নতুন স্যানিটারি আইটেম কেনার সময় কী খেয়াল রাখব?
মানসম্পন্ন ব্র্যান্ড কিনুন। সস্তা কিনলে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। গ্যারান্টি আছে কিনা দেখুন। আপনার বাথরুমের সাইজ অনুযায়ী কিনুন। ইনস্টলেশনের খরচও হিসাব করুন। রিভিউ পড়ে দেখুন অন্যরা কী বলেছেন।
পরিষ্কারের সময় নিরাপত্তার কী নিয়ম মানতে হবে?
সবসময় গ্লাভস ব্যবহার করুন। চোখে কিছু না লাগার জন্য সাবধানে কাজ করুন। বিদ্যুতের কাছে পানি নিয়ে যাবেন না। লাইট পরিষ্কারের আগে সুইচ অফ করুন। ভালো হাওয়া চলাচল আছে এমন জায়গায় কাজ করুন। শিশুদের দূরে রাখুন।
🔥 পোস্টটি শেয়ার করুনঃ 🌍