জন্ম নিবন্ধন আমাদের পরিচয়ের প্রথম দলিল। কিন্তু অনেক সময় এতে ভুল তথ্য থাকে। জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের নিয়ম জেনে রাখা খুবই দরকার। এই আর্টিকেলে আমরা সহজ ভাষায় পুরো প্রক্রিয়া জানব।
বাংলাদেশে প্রতি বছর লাখো মানুষ জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করেন। নাম, বাবা-মায়ের নাম, জন্ম তারিখের ভুল বেশি দেখা যায়। আজকের লেখায় আমরা A থেকে Z সব কিছু জানব।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন এখন অনেক সহজ। BDRIS এর মাধ্যমে ঘরে বসে আবেদন করা যায়। প্রথমে BDRIS ওয়েবসাইটে গিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে।
অনলাইন পদ্ধতিতে সময় কম লাগে এবং ঝামেলা কম। আবেদনের পর SMS এ আপডেট পাওয়া যায়। পেমেন্ট বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে করা যায়।
তবে সব ধরনের সংশোধন অনলাইনে হয় না। ছোট ভুল যেমন বানান ভুল অনলাইনে ঠিক করা যায়। বড় পরিবর্তনের জন্য সরাসরি অফিসে যেতে হয়।
- অনলাইন আবেদনে কম সময় লাগে
- SMS আপডেট পাওয়া যায়
- ডিজিটাল পেমেন্ট সুবিধা আছে
- যেকোনো সময় আবেদন করা যায়
- কাগজের ঝামেলা কম থাকে
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদন
জন্ম নিবন্ধন সংশোधনের জন্য আবেদন করতে সঠিক কাগজপত্র লাগে। আবেদনপত্র পূরণ করার সময় সাবধান থাকতে হবে। সব তথ্য সঠিক দিতে হবে।
আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় দলিল জমা দিতে হয়। যেমন পাসপোর্ট, এনআইডি, শিক্ষা সনদ। এসব কাগজে যে তথ্য আছে সেই অনুযায়ী সংশোধন হবে।
আবেদনের ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ করা জরুরি। একটি ভুল হলে পুরো প্রক্রিয়া দেরি হয়। তাই ধৈর্য নিয়ে সব তথ্য দিতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফরম
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফরম BDRIS ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যায়। ফরমে সব তথ্য স্পষ্ট করে লিখতে হবে। ভুল তথ্য এবং সঠিক তথ্য দুটোই উল্লেখ করতে হয়।
ফরম পূরণের সময় কালো কালি ব্যবহার করতে হবে। সব ঘর পূরণ করতে হবে। খালি ঘর থাকলে আবেদন বাতিল হতে পারে।
ফটোকপি নয়, আসল ফরম ব্যবহার করুন। ফরমে স্বাক্ষর এবং ছবি সঠিক জায়গায় লাগান। এতে আবেদন দ্রুত প্রক্রিয়া হবে।
- ফরম পূরণে কালো কালি ব্যবহার করুন
- সব ঘর সঠিকভাবে পূরণ করুন
- ভুল এবং সঠিক তথ্য দুটোই লিখুন
- স্বাক্ষর এবং ছবি সঠিক জায়গায় দিন
- আসল ফরম ব্যবহার করুন
জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন
জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম আছে। নাম সংশোধন সবচেয়ে সহজ। বাবা-মায়ের নাম পরিবর্তন করতে বেশি কাগজপত্র লাগে।
জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা কঠিন। এর জন্য হাসপাতালের রেকর্ড বা স্কুলের সনদ লাগে। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হয়।
তথ্য সংশোধনের জন্য যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে হয়। শুধু ইচ্ছা করলেই সব তথ্য পরিবর্তন করা যায় না। প্রমাণ দলিল দরকার।
সংশোধনের ধরন | সময় | ফি | প্রয়োজনীয় কাগজ |
নাম সংশোধন | ১০ দিন | ২৫০ টাকা | আফিডেভিট, এনআইডি |
তারিখ পরিবর্তন | ১৫ দিন | ৫০০ টাকা | জন্ম সনদ, স্কুল সার্টিফিকেট |
পিতা-মাতার নাম | ২০ দিন | ৩৫০ টাকা | এনআইডি, বিবাহ সনদ |
ঠিকানা পরিবর্তন | ৭ দিন | ১০০ টাকা | ইউটিলিটি বিল, হোল্ডিং ট্যাক্স |
জন্ম নিবন্ধন নাম পরিবর্তন আবেদন
জন্ম নিবন্ধন নাম পরিবর্তন আবেদন সহজ প্রক্রিয়া। প্রথমে ঠিক করুন কী নাম রাখবেন। নামে কোনো অশ্লীল বা অসামাজিক শব্দ থাকতে পারবে না।
নাম পরিবর্তনের জন্য আফিডেভিট করতে হয়। এটি নোটারি পাবলিক বা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে করতে হয়। খরচ ১০০-২০০ টাকা।
নতুন নামে অন্য কোনো পরিচয়পত্র থাকলে সেটাও জমা দিতে হয়। যেমন স্কুল সার্টিফিকেট বা চাকরির সনদ। এতে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।
জন্ম নিবন্ধন ঠিকানা পরিবর্তন
জন্ম নিবন্ধন ঠিকানা পরিবর্তন খুব দরকারি। চাকরি বা পড়াশোনার জন্য অনেকে ঠিকানা পরিবর্তন করেন। এটি তুলনামূলক সহজ প্রক্রিয়া।
নতুন ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল জমা দিন। হোল্ডিং ট্যাক্সের রসিদও কাজে আসে। ভাড়া থাকলে ভাড়া চুক্তি লাগবে।
ঠিকানা পরিবর্তনের সময় পুরানো ঠিকানাও উল্লেখ করুন। এতে যাচাই করতে সুবিধা হয়। সব কাগজে একই ঠিকানা দিন।
- গ্যাস বা বিদ্যুৎ বিলের কপি
- হোল্ডিং ট্যাক্সের রসিদ
- ভাড়া চুক্তির কাগজ
- ওয়ার্ড কমিশনারের সনদপত্র
- পুরানো ঠিকানার প্রমাণও রাখুন
জন্ম নিবন্ধন ফর্ম ডাউনলোড
জন্ম নিবন্ধন ফর্ম ডাউনলোড করতে BDRIS ওয়েবসাইটে যান। সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফর্ম পাবেন। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ফর্ম বেছে নিন।
ফর্ম ডাউনলোড করার পর ভালো মানের কাগজে প্রিন্ট করুন। কাগজের মান খারাপ হলে আবেদন বাতিল হতে পারে। A4 সাইজের কাগজ ব্যবহার করুন।
ডাউনলোডের সময় ইন্টারনেট সংযোগ ভালো রাখুন। ফাইল নষ্ট হলে আবার ডাউনলোড করতে হবে। PDF ফাইল সংরক্ষণ করে রাখুন।
জন্ম নিবন্ধন ফর্ম প্রিন্ট
জন্ম নিবন্ধন ফর্ম প্রিন্ট করার সময় সাবধানতা দরকার। ভালো মানের প্রিন্টার ব্যবহার করুন। ঝাপসা প্রিন্ট হলে পড়তে সমস্যা হবে।
ফর্মের সব অংশ যেন পরিষ্কার দেখা যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। কোনো অংশ কেটে গেলে আবার প্রিন্ট করুন। অসম্পূর্ণ ফর্ম গ্রহণ করা হয় না।
প্রিন্টের পর ফর্ম ভালো করে দেখে নিন। সব লেখা পরিষ্কার আছে কি না চেক করুন। একাধিক কপি প্রিন্ট করে রাখা ভালো।
প্রিন্টের বিষয় | নির্দেশনা | গুরুত্ব |
কাগজের মান | A4 সাইজ, ভালো মান | বেশি |
প্রিন্টের মান | পরিষ্কার, ঝাপসা নয় | বেশি |
সম্পূর্ণতা | সব অংশ দৃশ্যমান | বেশি |
কপির সংখ্যা | একাধিক কপি | মাঝারি |
জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রক্রিয়া
জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে এগোতে হয়। প্রথমে সব কাগজপত্র সংগ্রহ করুন। তারপর ফর্ম পূরণ করুন।
আবেদনের পর রসিদ সংরক্ষণ করুন। এই রসিদ দিয়ে আবেদনের অবস্থা জানা যায়। SMS সেবাও আছে।
আবেদনের পর ধৈর্য রাখুন। সরকারি প্রক্রিয়ায় সময় লাগে। তাড়াহুড়ো করে ভুল হওয়ার চেয়ে ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করা ভালো।
- প্রথমে সব কাগজপত্র সংগ্রহ করুন
- ফর্ম সাবধানে পূরণ করুন
- রসিদ নিরাপদে রাখুন
- নিয়মিত স্ট্যাটাস চেক করুন
- ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করুন
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদনের সুবিধা অনেক। ঘরে বসে সব কাজ হয়। অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয় না।
অনলাইন আবেদনের জন্য ভালো ইন্টারনেট সংযোগ দরকার। আবেদনের মাঝে যেন সংযোগ বিচ্ছিন্ন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
আবেদনের সময় সব তথ্য সংরক্ষণ করুন। একবারে সব করার চেষ্টা না করে ধাপে ধাপে এগোন। তাড়াহুড়ো করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
জন্ম নিবন্ধন চেক
জন্ম নিবন্ধন চেক করা নিয়মিত কাজ। BDRIS ওয়েবসাইট থেকে সহজেই চেক করা যায়। জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে খোঁজ করুন।
চেক করার সময় নিজের তথ্য যাচাই করুন। কোনো ভুল পেলে দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা নিন। দেরি করলে সমস্যা বাড়ে।
অনলাইনে চেক করার সুবিধা হলো যেকোনো সময় করা যায়। ২৪ ঘন্টাই সেবা চালু থাকে। ফোন থেকেও চেক করা যায়।
চেকিং পদ্ধতি | সময় | প্রয়োজনীয় তথ্য |
অনলাইন | ২৪/৭ | জন্ম নিবন্ধন নম্বর |
SMS | ২৪/৭ | নম্বর, মোবাইল |
কল সেন্টার | ৯-৫ | নম্বর, নাম |
অফিস | অফিস টাইম | নম্বর, পরিচয়পত্র |
জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট ডাউনলোড
জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে BDRIS পোর্টাল ব্যবহার করুন। লগইন করার পর ডাউনলোড সেকশনে যান। সার্টিফিকেটের ধরন বেছে নিন।
ডাউনলোডের আগে সব তথ্য চেক করুন। ভুল থাকলে প্রিন্ট করার আগেই সংশোধন করুন। প্রিন্টের পর সংশোধন করা কঠিন হয়।
সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার পর নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করুন। ব্যাকআপ রাখুন যাতে হারিয়ে না যায়। প্রয়োজনে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করুন।
জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই
জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সরকারি বিভিন্ন সেবা পেতে সঠিক তথ্য দরকার। ভুল তথ্য থাকলে পরে সমস্যা হয়।
তথ্য যাচাইয়ের জন্য অন্য কাগজপত্রের সাথে মিলিয়ে দেখুন। এনআইডি, পাসপোর্ট, শিক্ষা সনদ – সবকিছুতে একই তথ্য থাকতে হবে।
নিয়মিত তথ্য যাচাই করার অভ্যাস করুন। এতে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হলে দ্রুত সমাধান পাওয়া যাবে। প্রতি বছর একবার হলেও চেক করুন।
- নাম বানান সঠিক আছে কি না
- জন্ম তারিখ অন্য কাগজের সাথে মিলছে কি না
- বাবা-মায়ের নাম ঠিক আছে কি না
- ঠিকানার তথ্য আপডেট আছে কি না
- ছবি পরিষ্কার এবং সাম্প্রতিক কি না
জন্ম নিবন্ধন তথ্য আপডেট অনলাইন
জন্ম নিবন্ধন তথ্য আপডেট অনলাইনে করা এখন আরো সহজ। BDRIS সিস্টেম উন্নত হয়েছে। অনেক ধরনের আপডেট ঘরে বসেই করা যায়।
আপডেটের আগে কী কী তথ্য পরিবর্তন করবেন সেটা ঠিক করুন। একসাথে সব আপডেট না করে প্রয়োজন অনুযায়ী করুন। এতে খরচ কম হবে।
অনলাইন আপডেটের পর SMS কনফার্মেশন আসে। রসিদ এবং রেফারেন্স নম্বর সংরক্ষণ করুন। এগুলো পরে কাজে লাগবে।
জন্ম নিবন্ধন কপি সংগ্রহ

জন্ম নিবন্ধন কপি সংগ্রহ করতে বিভিন্ন উপায় আছে। অনলাইনে অর্ডার দিয়ে পোস্টে পেতে পারেন। অথবা সরাসরি অফিস থেকে নিতে পারেন।
কপি সংগ্রহের সময় আসল সার্টিফিকেটের সাথে মিলিয়ে নিন। সব তথ্য ঠিক আছে কি না দেখে নিন। কোনো ভুল পেলে সাথে সাথে জানান।
একাধিক কপি রাখা ভালো। একটি নিরাপদ জায়গায় রাখুন। আরেকটি দৈনন্দিন কাজের জন্য ব্যবহার করুন। এতে আসল কপি নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না।
কপির ধরন | খরচ | সময় | বিশেষত্ব |
সাধারণ কপি | ৫০ টাকা | ১ দিন | দৈনন্দিন কাজের জন্য |
সত্যায়িত কপি | ১০০ টাকা | ২ দিন | সরকারি কাজের জন্য |
ইংরেজি কপি | ১৫০ টাকা | ৩ দিন | বিদেশি কাজের জন্য |
জরুরি কপি | ২০০ টাকা | ৪ ঘন্টা | জরুরি প্রয়োজনে |
জন্ম নিবন্ধন নবায়ন নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন নবায়ন নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। আসলে জন্ম নিবন্ধনের মেয়াদ থাকে না। তাই নবায়নের প্রয়োজন হয় না।
তবে পুরনো জন্ম সনদ নতুন ফরম্যাটে পরিবর্তন করা যায়। এতে ব্যবহার করতে সুবিধা হয়। নতুন ফরম্যাট আরো তথ্যবহুল এবং নিরাপদ।
যদি আপনার জন্ম সনদ খুব পুরনো হয় তাহলে নতুন করে সংগ্রহ করুন। নতুন জন্ম সনদে আরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। জাল করা কঠিন।
জন্ম নিবন্ধন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
জন্ম নিবন্ধন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হচ্ছে BDRIS। এই সাইটে সব ধরনের সেবা পাওয়া যায়। নিবন্ধন থেকে শুরু করে সংশোধন পর্যন্ত।
ওয়েবসাইটে ব্যবহারের নির্দেশনা আছে। বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষায় সেবা পাওয়া যায়। নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য টিউটোরিয়াল আছে।
সাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো। তবে নিজের তথ্য গোপন রাখুন। পাসওয়ার্ড নিয়মিত পরিবর্তন করুন। সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে জানান।
- সব সেবা এক জায়গায় পাওয়া যায়
- বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষায় সেবা
- নতুনদের জন্য সহায়তা আছে
- ২৪ ঘন্টা সেবা চালু থাকে
- নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত
জন্ম নিবন্ধন bdris gov bd
জন্ম নিবন্ধন bdris gov bd বাংলাদেশের সরকারি ওয়েবসাইট। এখানে জন্ম নিবন্ধনের সব কাজ করা যায়। সাইটের ঠিকানা মনে রাখুন।
এই সাইটে ভুয়া নেই। সরাসরি সরকারি সেবা পাওয়া যায়। অন্য কোনো সাইটে গিয়ে ধোকা খাবেন না। সবসময় আসল সাইট ব্যবহার করুন।
সাইটে লগইন করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল দিয়ে একাউন্ট খুলুন। নিরাপত্তার জন্য OTP ব্যবহার করা হয়।
জন্ম নিবন্ধন সার্ভিস চার্জ বাংলাদেশ
জন্ম নিবন্ধন সার্ভিস চার্জ বাংলাদেশে সাশ্রয়ী। সরকার জনগণের সুবিধার জন্য কম ফি রেখেছে। বিভিন্ন সেবার জন্য আলাদা চার্জ আছে।
সার্ভিস চার্জ পরিশোধ অনলাইনেই করা যায়। বিকাশ, নগদ, রকেট – সব পদ্ধতি আছে। ব্যাংকের মাধ্যমেও পেমেন্ট করা যায়।
অনলাইন পেমেন্টে অতিরিক্ত চার্জ লাগে না। তবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সামান্য চার্জ কাটতে পারে। পেমেন্টের রসিদ সংরক্ষণ করুন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের খরচ
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের খরচ সবার সাধ্যের মধ্যে। সরকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ফি নির্ধারণ করেছে। বিভিন্ন সংশোধনের জন্য আলাদা খরচ।
নাম সংশোধনের খরচ সবচেয়ে কম। জন্ম তারিখ পরিবর্তনে বেশি খরচ হয়। জরুরি সেবা নিলে অতিরিক্ত ফি দিতে হবে।
খরচের পাশাপাশি অন্যান্য খরচও আছে। যেমন আফিডেভিট, নোটারি, ফটোকপি। এসব মিলিয়ে মোট খরচ হিসাব করুন।
- নাম সংশোধন – ২৫০ টাকা
- জন্ম তারিখ পরিবর্তন – ৫০০ টাকা
- বাবা-মায়ের নাম – ৩৫০ টাকা
- ঠিকানা পরিবর্তন – ১০০ টাকা
- জরুরি সেবা – অতিরিক্ত ২০০ টাকা
খরচের বিবরণ | পরিমাণ (টাকা) | বিশেষ নোট |
সরকারি ফি | ১০০-৫০০ | সংশোধনের ধরন অনুযায়ী |
আফিডেভিট | ১০০-২০০ | নোটারি/ম্যাজিস্ট্রেট |
ফটোকপি/প্রিন্ট | ৫০-১০০ | কাগজপত্রের জন্য |
যাতায়াত খরচ | ৫০-৫০০ | দূরত্ব অনুযায়ী |
মোট আনুমানিক | ৩০০-১৩০০ | সব মিলিয়ে |
উপসংহার
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের নিয়ম সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানলাম। এই প্রক্রিয়া এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ। অনলাইনে বেশিরভাগ কাজ করা যায়।
সঠিক কাগজপত্র এবং ধৈর্য নিয়ে এগোলে কোনো সমস্যা হবে না। সরকারি নির্দেশনা মেনে চললে দ্রুত কাজ হয়। ভুল তথ্য ঠিক করে নিলে ভবিষ্যতে সুবিধা হবে।
আশা করি এই গাইড আপনার কাজে আসবে। যেকোনো সমস্যায় সরকারি হেল্পলাইনে যোগাযোগ করুন। সঠিক তথ্যের জন্য সবসময় অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী(FAQs)
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে?
সাধারণত ৭-২০ দিন সময় লাগে। সংশোধনের ধরন অনুযায়ী সময় কম-বেশি হয়। জরুরি সেবা নিলে ২-৩ দিনেই হয়। অনলাইন আবেদনে সময় কম লাগে।
জন্ম নিবন্ধনে নাম পরিবর্তন করতে কী কী কাগজ লাগে?
নাম পরিবর্তনের জন্য আফিডেভিট, এনআইডির কপি, এবং নতুন নামের প্রমাণপত্র লাগে। স্কুল সার্টিফিকেট বা চাকরির সনদ থাকলে ভালো হয়। সব কাগজ সত্যায়িত করাতে হবে।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা যায় কি?
হ্যাঁ, অনেক ধরনের সংশোধন অনলাইনে করা যায়। ছোট ভুল যেমন নাম বানান ঠিক করা যায়। তবে জটিল সংশোধনের জন্য অফিসে যেতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের খরচ কত?
সংশোধনের ধরন অনুযায়ী খরচ ১০০-৫০০ টাকা। নাম সংশোধন সবচেয়ে কম খরচ। অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মোট ৫০০-১৫০০ টাকা লাগতে পারে।
জন্ম নিবন্ধনে জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা যায় কি?
জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা সম্ভব কিন্তু কঠিন। হাসপাতালের রেকর্ড বা স্কুল সার্টিফিকেট লাগবে। যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে হবে। বেশি সময় লাগে।
কোন ওয়েবসাইটে জন্ম নিবন্ধনের কাজ করব?
BDRIS (bdris.gov.bd) হচ্ছে সরকারি ওয়েবসাইট। এখানেই সব কাজ করুন। অন্য কোনো সাইটে যাবেন না। ভুয়া সাইট থেকে সাবধান থাকুন।
জন্ম নিবন্ধনের কপি হারিয়ে গেলে কী করব?
হারিয়ে গেলে নতুন কপি সংগ্রহ করুন। অনলাইনে আবেদন করে পোস্টে পেতে পারেন। অথবা সরাসরি অফিস থেকে নিন। জরুরি সেবা নিলে দ্রুত পাবেন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনে কতবার আবেদন করা যায়?
প্রয়োজন অনুযায়ী যতবার দরকার ততবার আবেদন করা যায়। তবে প্রতিবার ফি দিতে হবে। একসাথে সব সংশোধন করলে খরচ কম হবে।
বিদেশে থাকলে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা যায় কি?
হ্যাঁ, অনলাইনের মাধ্যমে বিদেশ থেকেও করা যায়। তবে কিছু কাগজপত্র বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করতে হতে পারে। দূতাবাসে যোগাযোগ করুন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের পর কী করতে হবে?
সংশোধনের পর নতুন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করুন। অন্যান্য কাগজপত্রও আপডেট করুন। যেমন এনআইডি, পাসপোর্ট। এতে ভবিষ্যতে সমস্যা হবে না।
🔥 পোস্টটি শেয়ার করুনঃ 🌍