আধুনিক জীবনে সুস্থ থাকা খুবই জরুরি। অনেকেই জিমে যান বা হাঁটাহাঁটি করেন। কিন্তু কতটুকু ক্যালরি খরচ হলো, তা কি জানেন? এখানেই Fitness Tracker কাজে লাগে। এই ছোট্ট যন্ত্রটি আপনার স্বাস্থ্য তথ্য সব সময় মাপে। হার্ট রেট, ঘুম, পদক্ষেপ সবকিছু রেকর্ড করে। ২০২৫ সালে এই গ্যাজেটটি আরও জনপ্রিয় হয়েছে। আজকের লেখায় আমরা ফিটনেস ট্র্যাকার নিয়ে বিস্তারিত জানব। দাম, ফিচার, ব্র্যান্ড সবকিছু নিয়ে আলোচনা করব। চলুন শুরু করি।
Fitness Tracker Price in Bangladesh

বাংলাদেশে ফিটনেস ট্র্যাকারের দাম বিভিন্ন রকম। সাধারণত দাম নির্ভর করে ব্র্যান্ড ও ফিচারের উপর। সাধারণ মডেল পাওয়া যায় ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকায়। মাঝারি মানের ট্র্যাকার পাবেন ৩০০০ থেকে ৮০০০ টাকায়। উন্নত ব্র্যান্ডের দাম ১০,০০০ টাকার উপরে। চাইনিজ ব্র্যান্ডগুলো সস্তা কিন্তু মান ভালো নয়। দেশীয় বাজারে Xiaomi এবং Realme জনপ্রিয়। এসব ব্র্যান্ড সাশ্রয়ী দামে ভালো মান দেয়। অনলাইনে দাম একটু কম পাবেন। শপিং মল থেকে কিনলে একটু বেশি খরচ হয়। অফার পেলে অনেক সাশ্রয় হয়।
বাজেট অনুযায়ী পছন্দ করা দরকার। সব ফিচার দরকার না সবার জন্য। বেসিক ট্র্যাকারই অনেকের জন্য যথেষ্ট। দাম জেনে তারপর কেনা উচিত।
Best Fitness Tracker 2025
২০২৫ সালে বাজারে অনেক নতুন মডেল এসেছে। প্রতিটি কোম্পানি নতুন ফিচার যোগ করছে। এখন ট্র্যাকারগুলো আরও স্মার্ট হয়েছে। ব্যাটারি লাইফ বেড়েছে অনেক দিনের জন্য। ডিসপ্লে হয়েছে আরও উজ্জ্বল ও পরিষ্কার। সবচেয়ে ভালো ট্র্যাকার বাছাই করা কঠিন। কারণ প্রতিটির বিশেষ কিছু সুবিধা আছে।
আমরা কিছু সেরা মডেল নিচে তুলে ধরছি:
- Xiaomi Mi Band 8 Pro – দাম সাশ্রয়ী এবং ফিচার অসাধারণ
- Samsung Galaxy Fit 3 – প্রিমিয়াম ডিজাইন ও দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ
- Fitbit Charge 6 – স্বাস্থ্য মনিটরিংয়ে সেরা নির্ভুলতা
- Amazfit Band 7 – সাশ্রয়ী দামে পূর্ণ ফিচার প্যাক
- Honor Band 9 – স্লিম ডিজাইন এবং দ্রুত চার্জিং
এই মডেলগুলো বাংলাদেশে সহজেই পাওয়া যায়। সব মডেলেই হার্ট রেট মনিটর আছে। স্লিপ ট্র্যাকিং ফিচার এখন স্ট্যান্ডার্ড হয়ে গেছে। ওয়াটারপ্রুফ বিল্ড আছে প্রায় সব মডেলে। আপনার চাহিদা অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন।
Fitness Tracker Watch
ফিটনেস ট্র্যাকার ঘড়ির মতো দেখতে হয়। হাতে পরলে স্মার্ট দেখায়। এটি শুধু সময় দেখায় না, অনেক কাজ করে। হাঁটার সময় পদক্ষেপ গোনে। ক্যালরি বার্ন মাপে প্রতি মুহূর্তে। হার্টবিট চেক করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। ঘুমের গভীরতা রেকর্ড করে রাতভর। দিনের সব কাজের হিসাব রাখে সহজে।
অনেক মডেল মোবাইলের সাথে সংযোগ করে। নোটিফিকেশন দেখায় হাতের ঘড়িতেই। কল ও মেসেজ মিস হয় না কখনো। মিউজিক কন্ট্রোল করা যায় সহজভাবে। কিছু মডেলে ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট আছে। জিপিএস ট্র্যাকিং সুবিধা পাওয়া যায়। দৌড়ানোর সময় রুট ট্র্যাক করে।
ডিজাইন অনেক রকমের হয়। কালো, নীল, লাল বিভিন্ন রঙে পাওয়া যায়। স্ট্র্যাপ পরিবর্তন করা সহজ। চামড়া বা সিলিকন স্ট্র্যাপ পছন্দ করতে পারেন। ছেলে-মেয়ে সবাই পরতে পারে। অফিসে বা জিমে যেকোনো জায়গায় মানানসই।
ফিটনেস ট্র্যাকার দাম বাংলাদেশে
বাংলাদেশে দাম এখন অনেক সাশ্রয়ী হয়েছে। আগে শুধু বিদেশি ব্র্যান্ড পাওয়া যেত। এখন দেশীয় বাজারে অনেক অপশন আছে। সস্তা মডেল ১২০০ টাকা থেকে শুরু। এসব মডেল বেসিক ফিচার দেয়। মাঝারি মানের ৫০০০ টাকা আশেপাশে। এগুলোতে বেশি ফিচার থাকে।
প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের দাম ১৫,০০০ টাকার উপরে। Fitbit এবং Garmin খুবই দামি। তবে এদের মান অনেক ভালো। দীর্ঘদিন টেকে এই ব্র্যান্ডগুলো। ওয়ারেন্টি সুবিধা পাওয়া যায় ভালো। সার্ভিস সেন্টার দেশে আছে অনেক।
বিক্রয়কেন্দ্র ঢাকার সব বড় বাজারে আছে। চট্টগ্রাম, সিলেটেও পাওয়া যায়। অনলাইন শপে আরও বেশি বৈচিত্র্য মেলে। ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা আছে। ইএমআই তে কেনার সুযোগও রয়েছে।
Fitness Tracker Bracelet
ব্রেসলেট স্টাইলের ট্র্যাকার খুব হালকা হয়। হাতে কোনো ভার লাগে না। সারাদিন পরে থাকা সহজ। স্লিম ডিজাইন হওয়ায় দেখতে সুন্দর। অনেকটা ফ্যাশন অ্যাক্সেসরির মতো। মেয়েদের খুব পছন্দের এই ডিজাইন।
এই মডেলগুলোতে স্ক্রিন ছোট হয়। তবে জরুরি তথ্য দেখায় ভালোভাবে। টাচ রেসপন্স খুবই দ্রুত। ব্যাটারি লাইফ অনেক দিনের। একবার চার্জে ৭-১০ দিন চলে। সাঁতার কাটার সময়ও পরে থাকা যায়। পানিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে সব মডেলে।
স্ট্র্যাপ বিভিন্ন রঙের পাওয়া যায়। কালার ম্যাচিং করা যায় পোশাকের সাথে। সিলিকন ম্যাটেরিয়াল হওয়ায় আরামদায়ক। ত্বকে কোনো সমস্যা হয় না। ক্লিপ সিস্টেম খুবই মজবুত।
Fitness Tracker Band
ব্যান্ড টাইপ ট্র্যাকার সবচেয়ে জনপ্রিয়। এই ধরনের মডেল বাজারে সবচেয়ে বেশি। বাজেট ফ্রেন্ডলি হওয়ায় সবাই কিনতে পারে। ছোট স্ক্রিন হলেও তথ্য স্পষ্ট দেখায়। সব বেসিক ফিচার এতে আছে।
ব্র্যান্ড | মডেল | দাম (টাকা) | ব্যাটারি লাইফ |
Xiaomi | Mi Band 8 | 4,500 | ১৬ দিন |
Realme | Band 2 | 2,800 | ১২ দিন |
Amazfit | Band 7 | 5,200 | ১৮ দিন |
Honor | Band 9 | 3,900 | ১৪ দিন |
এই ব্যান্ডগুলো পরতে কোনো অসুবিধা হয় না। খেলাধুলার সময় খুবই উপযোগী। ঘাম হলেও কোনো সমস্যা নেই। পরিষ্কার করা অনেক সহজ। দীর্ঘস্থায়ী মান পাওয়া যায়। সার্ভিসিং খরচ খুবই কম। যন্ত্রাংশ সহজে পাওয়া যায় বাজারে।
Smart Watch Fitness Tracker
স্মার্ট ওয়াচে ফিটনেস ট্র্যাকার ফিচার থাকে। এগুলো সাধারণ ট্র্যাকারের চেয়ে বড়। স্ক্রিন অনেক বড় ও রঙিন। টাচস্ক্রিন খুবই স্মুথ কাজ করে। অনেক অ্যাপ ইন্সটল করা যায়।
ফোন কল রিসিভ করা যায় সরাসরি। মেসেজের রিপ্লাই দেওয়া সম্ভব। সোশ্যাল মিডিয়া নোটিফিকেশন আসে তাৎক্ষণিক। ক্যামেরা কন্ট্রোল করা যায় ঘড়ি থেকে। মিউজিক প্লেয়ার চালানো সহজ। ভয়েস কমান্ড দিয়ে কাজ করানো যায়।
স্বাস্থ্য মনিটরিং আরও উন্নত এতে। অক্সিজেন লেভেল মাপে নিয়মিত। স্ট্রেস লেভেল চেক করে। ঘুমের মান বিশ্লেষণ করে ভালোভাবে। ওয়ার্কআউট মোড আছে ৫০ রকমের। জিপিএস ট্র্যাকিং খুবই নির্ভুল। রুট ম্যাপ দেখায় রিয়েল টাইমে।
দাম একটু বেশি হয় স্মার্ট ওয়াচের। তবে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। একটি ডিভাইসে অনেক কাজ হয়। ফোনের উপর নির্ভরতা কমে যায়।
সেরা ফিটনেস ট্র্যাকার ২০২৫
এই বছর বাজারে নতুন মডেল এসেছে অনেক। প্রযুক্তি আরও উন্নত হয়েছে। সেন্সর এখন আরও সঠিক তথ্য দেয়। ব্যাটারি লাইফ বেড়েছে দ্বিগুণ। ডিজাইন হয়েছে আরও আকর্ষণীয়। বাজারের সেরা কয়েকটি মডেল নিচে দেওয়া হলো:
- Fitbit Charge 6 – স্বাস্থ্য ডেটা সবচেয়ে নির্ভুল
- Garmin Vivosmart 5 – অ্যাথলেটদের জন্য বেস্ট
- Xiaomi Smart Band 8 Pro – বাজেটে সেরা ফিচার
- Samsung Galaxy Fit 3 – প্রিমিয়াম ডিজাইন ও পারফরম্যান্স
- Amazfit Bip 5 – লম্বা ব্যাটারি লাইফ
- Huawei Band 9 – স্লিম ও হালকা ডিজাইন
প্রতিটি মডেলের বিশেষ কিছু সুবিধা আছে। কোনোটি দামে সাশ্রয়ী কিন্তু ফিচার পূর্ণ। কোনোটি প্রিমিয়াম কিন্তু মান চমৎকার। আপনার বাজেট অনুযায়ী বেছে নিন। ব্যবহারকারীদের রিভিউ পড়ে দেখুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন কোনটি কিনবেন।
Whoop Fitness Tracker
Whoop একটি বিশেষ ধরনের ট্র্যাকার। এটি প্রফেশনাল অ্যাথলেটদের জন্য তৈরি। এতে কোনো স্ক্রিন নেই। শুধু ডেটা কালেকশন করে ব্যাকগ্রাউন্ডে। স্ট্র্যাপ পরিধান করলেই কাজ শুরু। সব তথ্য মোবাইল অ্যাপে দেখতে হয়।
রিকভারি ট্র্যাকিং এর মূল ফিচার। শরীর কতটা সুস্থ তা বলে দেয়। আজ কঠিন ওয়ার্কআউট করা উচিত কি না জানায়। ঘুমের মান বিশ্লেষণ করে গভীরভাবে। হার্ট রেট ভ্যারিয়েবিলিটি মাপে। স্ট্রেইন স্কোর দেয় প্রতিদিন।
বাংলাদেশে এটি খুব একটা পাওয়া যায় না। অনলাইনে আমদানি করে কিনতে হয়। দাম ২৫,০০০ টাকার উপরে। সাবস্ক্রিপশন ফি দিতে হয় মাসিক। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য উপযুক্ত নয়। পেশাদার খেলোয়াড়রা ব্যবহার করেন। প্রশিক্ষণ পরিকল্পনায় সাহায্য করে অনেক।
Fitbit Fitness Tracker
Fitbit সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড বিশ্বব্যাপী। এর মান খুবই ভালো এবং নির্ভরযোগ্য। অনেক বছর ধরে বাজারে আছে। বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।
মডেল | বিশেষত্ব | দাম (টাকা) | রেটিং |
Charge 6 | পূর্ণ ফিচার | 18,000 | ৪.৮/৫ |
Inspire 3 | বাজেট ফ্রেন্ডলি | 12,500 | ৪.৬/৫ |
Luxe | ফ্যাশনেবল | 16,000 | ৪.৭/৫ |
Versa 4 | স্মার্ট ওয়াচ | 24,500 | ৪.৯/৫ |
Fitbit অ্যাপ খুবই শক্তিশালী। সব ডেটা সুন্দরভাবে দেখায়। গ্রাফ ও চার্ট তৈরি করে স্বয়ংক্রিয়। লক্ষ্য নির্ধারণ করা সহজ। অগ্রগতি ট্র্যাক করা যায় নিয়মিত। কমিউনিটি ফিচার আছে অ্যাপে। বন্ধুদের সাথে প্রতিযোগিতা করা যায়। চ্যালেঞ্জে অংশ নেওয়া সম্ভব।
ওয়ারেন্টি পিরিয়ড এক বছর। সার্ভিস সেন্টার ঢাকায় আছে। যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় সহজে। কাস্টমার সাপোর্ট খুবই ভালো। সমস্যা সমাধান হয় দ্রুত।
Fitness Tracker App
মোবাইল অ্যাপ ছাড়া ট্র্যাকার অসম্পূর্ণ। অ্যাপেই সব ডেটা দেখা যায়। বিস্তারিত বিশ্লেষণ পাওয়া যায়। গ্রাফ আকারে তথ্য প্রদর্শিত হয়। সাপ্তাহিক ও মাসিক রিপোর্ট তৈরি হয়।
জনপ্রিয় অ্যাপগুলো হলো Mi Fit, Fitbit, Garmin Connect। Google Fit এবং Samsung Health খুব ভালো। এসব অ্যাপ ফ্রি ডাউনলোড করা যায়। প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে পাওয়া যায়। রেজিস্ট্রেশন করতে হয় একবার। তারপর ট্র্যাকার সংযোগ করতে হয়।
অ্যাপে অনেক ফিচার থাকে। খাবারের ক্যালরি হিসাব করা যায়। পানি পানের রিমাইন্ডার সেট করা যায়। ওজন রেকর্ড রাখা সহজ। ঘুমের সময়সূচী তৈরি করা যায়। ওয়ার্কআউট প্ল্যান পাওয়া যায় ফ্রিতে। ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখা যায়।
সোশ্যাল শেয়ারিং অপশন আছে। ফেসবুকে অগ্রগতি শেয়ার করা যায়। বন্ধুদের সাথে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যায়। লিডারবোর্ডে নিজের অবস্থান দেখা যায়। ব্যাজ ও পুরস্কার পাওয়া যায়। মোটিভেশন বাড়ে অনেক।
ফিটনেস ট্র্যাকার ঘড়ি
ঘড়ির মতো দেখতে ট্র্যাকার সবার পছন্দ। দেখতে স্টাইলিশ ও আকর্ষণীয়। অফিসে পরলেও মানানসই। কেউ বুঝতে পারে না এটি ট্র্যাকার। সাধারণ ঘড়ির মতোই মনে হয়।
এতে এনালগ বা ডিজিটাল ডায়াল থাকে। সময় দেখায় স্পষ্টভাবে। তারিখ ও দিন দেখানো হয়। অ্যালার্ম সেট করা যায় একাধিক। স্টপওয়াচ ফিচার থাকে সব মডেলে। টাইমার ব্যবহার করা সহজ।
স্ট্র্যাপ পরিবর্তন করা সম্ভব। চামড়া, ধাতু, সিলিকন যে কোনো ধরন। রঙ মিলিয়ে নেওয়া যায় পোশাকের সাথে। ফরমাল বা ক্যাজুয়াল যেকোনো জায়গায় মানায়। পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য মডেল আছে। ছোট-বড় সাইজ পাওয়া যায়।
Waterproof Fitness Tracker
পানিরোধী ট্র্যাকার খুবই দরকারি। বৃষ্টিতে ভিজে গেলে কোনো সমস্যা হয় না। সাঁতার কাটার সময় পরে রাখা যায়। গোসলের সময় খুলতে হয় না। হাত ধোয়ার সময় পানি লাগে না।
IP68 রেটিং সবচেয়ে ভালো। এটি ৫০ মিটার পানির নিচে টিকে থাকে। সাঁতার ট্র্যাকিং ফিচার থাকে অনেক মডেলে। স্ট্রোক কাউন্ট করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। ক্যালরি বার্ন মাপে পানিতেও। সময় ও দূরত্ব রেকর্ড করে।
আইপি রেটিং চেক করে কিনুন। IP67 মানে ধুলো ও পানি প্রতিরোধী। IP68 আরও ভালো সুরক্ষা দেয়। 5ATM রেটিং সাঁতারের জন্য উপযুক্ত। 10ATM গভীর পানিতেও নিরাপদ। ডাইভিং করার জন্য বিশেষ মডেল আছে।
সল্ট ওয়াটার থেকে সাবধান থাকুন। সমুদ্রের পানি ক্ষতি করতে পারে। পরে ফ্রেশ ওয়াটারে ধুয়ে নিন। শুকনো কাপড়ে মুছে রাখুন। তাহলে দীর্ঘদিন টিকবে।
Fitness Tracker for Women
মেয়েদের জন্য বিশেষ ডিজাইন আছে। এগুলো একটু ছোট ও হালকা হয়। রঙ বৈচিত্র্যময় ও আকর্ষণীয়। গোলাপি, বেগুনি, সাদা রঙ জনপ্রিয়। ফ্যাশনের সাথে মিলে যায় সহজে।
মেয়েদের স্বাস্থ্য ট্র্যাকিং আলাদা। পিরিয়ড ট্র্যাকার ফিচার থাকে। ওভুলেশন ক্যালেন্ডার তৈরি করে। প্রেগনেন্সি মোড থাকে কিছু মডেলে। রিমাইন্ডার দেয় স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের জন্য।
স্ট্র্যাপ নরম ও আরামদায়ক হয়। ত্বকে কোনো জ্বালা করে না। দীর্ঘসময় পরলেও সমস্যা হয় না। ডিজাইন স্লিম ও মার্জিত। গয়না পরার মতো অনুভূতি হয়। অফিস বা পার্টিতে স্টাইলিশ দেখায়।
ক্যালরি ট্র্যাকিং খুবই নির্ভুল। ওজন কমানোর লক্ষ্য সেট করা যায়। যোগব্যায়াম ও পিলাতেস মোড আছে। ধ্যান ট্র্যাকিং ফিচার পাওয়া যায়। স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট টুল থাকে। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সহজ।
Fitness Tracker Without Screen
স্ক্রিনবিহীন ট্র্যাকার একদম সিম্পল। দেখতে সাধারণ ব্রেসলেটের মতো। কোনো ডিসপ্লে নেই একদমই। শুধু LED লাইট থাকে কিছু মডেলে। ভাইব্রেশন দিয়ে নোটিফিকেশন জানায়।
এই ট্র্যাকারগুলো খুবই হালকা। ওজন মাত্র ১৫-২০ গ্রাম। পরে আছে কি না বোঝাই যায় না। ঘুমের সময় কোনো অসুবিধা হয় না। ব্যাটারি লাইফ অনেক দিন চলে। কিছু মডেল ৩০ দিন পর্যন্ত চলে।
সব ডেটা মোবাইল অ্যাপে দেখতে হয়। ব্লুটুথ দিয়ে সংযোগ স্থাপন করে। স্বয়ংক্রিয় সিঙ্ক হয় নিয়মিত। চার্জিং খুবই সহজ। ম্যাগনেটিক চার্জার দিয়ে চার্জ হয়। মাত্র এক ঘণ্টায় ফুল চার্জ হয়।
দাম অনেক কম এসব মডেলের। ১৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকায় পাওয়া যায়। বেসিক ফিচার সবই আছে। হার্ট রেট, পদক্ষেপ, ঘুম সব মাপে। যারা সিম্পল চান তাদের জন্য পারফেক্ট।
ফিটনেস ট্র্যাকার ব্রেসলেট
ব্রেসলেট স্টাইল খুবই জনপ্রিয় বাংলাদেশে। তরুণ প্রজন্ম এটি পছন্দ করে বেশি। ফ্যাশনেবল লুক পাওয়া যায়। বিভিন্ন রঙের অপশন থাকে অনেক। কাস্টমাইজ করা সম্ভব নিজের মতো।
স্ট্র্যাপ মেটাল, চামড়া বা সিলিকনের হয়। মেটাল স্ট্র্যাপ খুবই মজবুত। চামড়া দেখতে প্রিমিয়াম লাগে। সিলিকন আরামদায়ক ও নমনীয়। পরিবর্তন করা অনেক সহজ। যে কোনো সময় বদলানো যায়।
স্ট্র্যাপ টাইপ | সুবিধা | অসুবিধা | দাম (টাকা) |
সিলিকন | আরামদায়ক, ওয়াটারপ্রুফ | দীর্ঘদিন টেকে না | ৩০০-৮০০ |
চামড়া | প্রিমিয়াম লুক | পানিতে নষ্ট হয় | ১২০০-২৫০০ |
মেটাল | দীর্ঘস্থায়ী | ভারী লাগে | ১৫০০-৩৫০০ |
নাইলন | হালকা, শ্বাসযোগ্য | সহজে নোংরা হয় | ৫০০-১২০০ |
ব্রেসলেট ডিজাইন ইউনিসেক্স হয়। ছেলে-মেয়ে সবাই পরতে পারে। সাইজ অ্যাডজাস্ট করা সম্ভব। ক্লাসপ লক খুবই নিরাপদ। খুলে পড়ার ভয় নেই কখনো।
Fitness Tracker with Heart Rate Monitor
হার্ট রেট মনিটর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। এটি প্রতি মুহূর্তে হৃদস্পন্দন মাপে। বিশ্রামের সময় রেট জানা যায়। ব্যায়ামের সময় কত বাড়ে দেখায়। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন রেট রেকর্ড করে।
অপটিক্যাল সেন্সর ব্যবহার হয় এতে। LED লাইট ত্বকের নিচে পাঠায়। রক্ত প্রবাহ মেপে হার্ট রেট নির্ণয় করে। নির্ভুলতা অনেক বেড়েছে এখন। প্রায় ৯৫% সঠিক ডেটা দেয়।
হার্ট রেট জোন দেখায় ওয়ার্কআউটে। ফ্যাট বার্ন, কার্ডিও, পিক জোন জানায়। কোন জোনে ব্যায়াম করছেন বলে দেয়। লক্ষ্য অনুযায়ী পরামর্শ দেয়। অতিরিক্ত পরিশ্রম হলে সতর্ক করে। বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
অস্বাভাবিক হার্ট রেট ধরা পড়ে। খুব বেশি বা কম হলে নোটিফিকেশন আসে। ইমার্জেন্সি কন্টাক্টে মেসেজ যায়। এভাবে জীবন বাঁচানো সম্ভব। অনেকের হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ হয়েছে।
Fitness Tracker Price in BD
বিডিতে দাম দিন দিন কমছে। বাজার প্রতিযোগিতায় ভরে গেছে। অনেক ব্র্যান্ড প্রবেশ করেছে নতুন। দাম এখন অনেক সাশ্রয়ী হয়েছে। মধ্যবিত্তরাও কিনতে পারেন সহজে।
এন্ট্রি লেভেল মডেল ১২০০ টাকা থেকে। এসবে বেসিক ফিচার পাবেন সব। মিড রেঞ্জ ৩০০০ থেকে ৮০০০ টাকা। এই রেঞ্জে সেরা ভ্যালু মিলে। হাই এন্ড মডেল ১০,০০০ টাকার উপরে। প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড ২৫,০০০ পর্যন্ত যায়।
সেল ও অফারে দাম আরও কমে। ঈদ, পূজা, বিজয় দিবসে ছাড়। অনলাইন শপে মেগা সেল হয়। ৩০-৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। ব্যাংক কার্ডে এক্সট্রা ছাড়। ইএমআই সুবিধা ৬-১২ মাসের।
শোরুম থেকে কিনলে দামে পার্থক্য। অনলাইনে তুলনা করা সহজ। একই মডেল বিভিন্ন দামে পাওয়া যায়। অথেন্টিক সেলার থেকে কিনুন। ওয়ারেন্টি কার্ড চেক করুন ভালো করে।
Fitness Tracker Comparison
বিভিন্ন মডেল তুলনা করা জরুরি। প্রতিটির সুবিধা-অসুবিধা জানা দরকার। দাম ও ফিচার মিলিয়ে দেখতে হয়। তবেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব।
বৈশিষ্ট্য | Xiaomi Band 8 | Fitbit Charge 6 | Samsung Fit 3 | Amazfit Band 7 |
দাম | ৪,৫০০ টাকা | ১৮,০০০ টাকা | ৬,৮০০ টাকা | ৫,২০০ টাকা |
ব্যাটারি | ১৬ দিন | ৭ দিন | ১৩ দিন | ১৮ দিন |
ডিসপ্লে | ১.৬২” AMOLED | ১.০৪” AMOLED | ১.৬” AMOLED | ১.৪৭” AMOLED |
ওয়াটারপ্রুফ | 5ATM | 5ATM | 5ATM | 5ATM |
জিপিএস | না | হ্যাঁ | হ্যাঁ | না |
তুলনা করার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। ব্যাটারি লাইফ কতদিন চলবে। স্ক্রিন কোয়ালিটি কেমন। সেন্সর কতটা নির্ভুল। ওয়াটারপ্রুফ রেটিং কত। জিপিএস আছে কি না। স্মার্টফোন কম্প্যাটিবিলিটি চেক করুন।
ইউজার রিভিউ পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যরা কী বলছেন জানুন। সমস্যা আছে কি না দেখুন। কাস্টমার সাপোর্ট কেমন জানুন। তারপর ফাইনাল ডিসিশন নিন।
স্মার্ট ওয়াচ ফিটনেস ট্র্যাকার
স্মার্ট ওয়াচ ও ট্র্যাকারের কম্বো চমৎকার। একটি ডিভাইসে দুই সুবিধা পাওয়া যায়। ফোন কল, মেসেজ সব হয়। একইসাথে স্বাস্থ্য ট্র্যাকিংও চলে। কোনো কম্প্রোমাইজ করতে হয় না।
অ্যাপ ইন্সটল করা যায় অনেক। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ সরাসরি চেক করা যায়। ইমেইল পড়া সম্ভব ঘড়িতেই। ক্যালেন্ডার রিমাইন্ডার পাওয়া যায়। টু-ডু লিস্ট তৈরি করা যায়। ভয়েস নোট রেকর্ড করা সম্ভব।
পেমেন্ট ফিচার আছে কিছু মডেলে। NFC দিয়ে পেমেন্ট করা যায়। ওয়ালেট অ্যাড করা সহজ। বাসে বা শপে পেমেন্ট সহজ হয়। ক্যাশ বা কার্ড লাগে না সাথে।
দাম একটু বেশি হয় স্বাভাবিকভাবে। তবে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। দুটো ডিভাইস কেনার দরকার হয় না। একটাতেই সব কাজ হয়ে যায়। দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়ী হয়।
Fitness Tracker vs Smartwatch
দুটোর মধ্যে পার্থক্য বুঝা জরুরি। ট্র্যাকার মূলত ফিটনেস ফোকাসড। স্মার্ট ওয়াচ অলরাউন্ডার। ট্র্যাকার হালকা ও কমপ্যাক্ট। স্মার্ট ওয়াচ একটু বড় ও ভারী।
ট্র্যাকারের ব্যাটারি বেশি দিন চলে। স্মার্ট ওয়াচ দ্রুত শেষ হয়। ট্র্যাকার সস্তা ও সাশ্রয়ী। স্মার্ট ওয়াচ দামি কিন্তু ফিচার বেশি। ট্র্যাকার স্পোর্টসের জন্য বেস্ট। স্মার্ট ওয়াচ প্রফেশনালদের জন্য উপযুক্ত।
কোনটা কিনবেন তা নির্ভর করে প্রয়োজনে। শুধু ফিটনেস ট্র্যাকিং চাইলে ট্র্যাকার নিন। বেশি ফিচার চাইলে স্মার্ট ওয়াচ বেছে নিন। বাজেট কম হলে ট্র্যাকার পারফেক্ট। বেশি খরচ করতে রাজি হলে স্মার্ট ওয়াচ।
দুটোই ভালো নিজস্ব জায়গায়। কোনোটাকে খারাপ বলা যায় না। আপনার লাইফস্টাইল বুঝে সিদ্ধান্ত নিন। তাহলে পছতাতে হবে না কখনো।
Fitness Tracker Battery Life
ব্যাটারি লাইফ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। প্রতিদিন চার্জ দিতে বিরক্তিকর লাগে। লম্বা ব্যাটারি লাইফ থাকা উচিত। সাধারণ ট্র্যাকার ৭-১৫ দিন চলে। প্রিমিয়াম মডেল ২০-৩০ দিন চলে।
ব্যাটারি নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ে। স্ক্রিন ব্রাইটনেস বেশি হলে তাড়াতাড়ি শেষ। নোটিফিকেশন বেশি এলে চার্জ কমে। জিপিএস চালু থাকলে দ্রুত খরচ হয়। হার্ট রেট কন্টিনিউয়াস মনিটরিং খায় বেশি। সব ফিচার বন্ধ রাখলে বেশি দিন টিকে।
চার্জিং টাইম ১-২ ঘণ্টা লাগে। ম্যাগনেটিক চার্জার সহজ ও দ্রুত। USB কেবল দিয়েও চার্জ করা যায়। পাওয়ার ব্যাংকে চার্জ দেওয়া সম্ভব। ভ্রমণের সময় সুবিধাজনক।
ব্যাটারি হেলথ বজায় রাখা জরুরি। পুরো ডিসচার্জ না করাই ভালো। ২০% থাকতে চার্জ দিন। অতিরিক্ত চার্জ না করা উচিত। ১০০% হলে খুলে নিন। এতে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হয়।
How Fitness Tracker Works
ফিটনেস ট্র্যাকার কীভাবে কাজ করে জানা দরকার। এতে বিভিন্ন সেন্সর থাকে ছোট্ট আকারে। এক্সিলোমিটার পদক্ষেপ গণনা করে। জাইরোস্কোপ মুভমেন্ট ডিটেক্ট করে। অপটিক্যাল সেন্সর হার্ট রেট মাপে।
পদক্ষেপ গণনার পদ্ধতি সহজ। হাঁটলে হাত নড়ে একটু একটু। এক্সিলোমিটার এই নড়াচড়া ধরে। প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ গোনে। দূরত্ব হিসাব করে উচ্চতা থেকে। ক্যালরি বার্ন মাপে ওজন ও উচ্চতা দিয়ে।
হার্ট রেট মাপার প্রক্রিয়া ভিন্ন। LED লাইট ত্বকে ফেলে সবুজ আলো। রক্ত আলো শোষণ করে ভিন্নভাবে। সেন্সর রিফ্লেকশন মেপে রেট বের করে। প্রতি সেকেন্ডে হাজারবার মাপে। গড় বের করে নির্ভুল ডেটা দেয়।
ঘুম ট্র্যাকিং হয় মুভমেন্ট দিয়ে। গভীর ঘুমে শরীর স্থির থাকে। হালকা ঘুমে একটু নড়াচড়া হয়। REM স্লিপে হার্ট রেট বাড়ে। এসব ডেটা মিলিয়ে ঘুম বিশ্লেষণ করে। সব তথ্য ব্লুটুথে ফোনে পাঠায়।
ওয়াটারপ্রুফ ফিটনেস ট্র্যাকার
পানিরোধী ট্র্যাকার বাংলাদেশে জনপ্রিয়। বর্ষাকালে খুবই প্রয়োজনীয়। বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও নিরাপদ। সাঁতার শিখছেন যারা তাদের মাস্ট। পুকুর বা পুলে সাঁতার কাটতে পারবেন।
আইপি রেটিং বুঝে কিনতে হবে। IP67 ধুলা ও পানি প্রতিরোধী। অল্প পানিতে নিরাপদ থাকে। IP68 আরও ভালো সুরক্ষা দেয়। ৩০ মিনিট পানিতে থাকতে পারে। 5ATM ৫০ মিটার গভীরতায় নিরাপদ।
সাঁতার ট্র্যাকিং ফিচার দারুণ। স্ট্রোক টাইপ চিনতে পারে। ফ্রিস্টাইল, ব্যাকস্ট্রোক আলাদা করে। ল্যাপ কাউন্ট করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। সময় ও দূরত্ব রেকর্ড করে। ক্যালরি বার্ন হিসাব করে সাঁতারে।
সমুদ্রের পানিতে সাবধানতা দরকার। লবণ পানি ক্ষতি করতে পারে। সাঁতারের পর ধুয়ে ফেলুন। মিঠা পানিতে ভালো করে ধুতে হবে। শুকনো কাপড়ে মুছে রাখুন সবসময়।
Cheap Fitness Tracker in Bangladesh
সস্তা ট্র্যাকার মানে খারাপ নয় সবসময়। বাজেট মডেলেও ভালো ফিচার পাওয়া যায়। বেসিক সব কাজ করে দিব্যি। নতুন ইউজারদের জন্য পারফেক্ট।
২০০০ টাকার নিচে অনেক মডেল পাওয়া যায়। চাইনিজ ব্র্যান্ডগুলো সস্তা দেয়। Haylou, Colmi, Bakeey জনপ্রিয়। Realme এবং Xiaomi সাব-ব্র্যান্ড আছে। এগুলোর মান বেশ ভালো।
ব্র্যান্ড | মডেল | দাম (টাকা) | রেটিং |
Haylou | Solar LS02 | ১,৮০০ | ৪.২/৫ |
Colmi | M28 | ১,৫০০ | ৪.০/৫ |
Bakeey | I5 Plus | ১,২০০ | ৩.৮/৫ |
DT No.1 | DT35 | ২,২০০ | ৪.৩/৫ |
সস্তা মডেল কিনলে কিছু খেয়াল রাখুন। ওয়ারেন্টি আছে কি না চেক করুন। রিভিউ পড়ে দেখুন ভালো করে। অথেন্টিক সেলার থেকে কিনুন। ফেক প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলুন। সার্ভিস সেন্টার আছে কি না জানুন।
Fitness Tracker for Health Monitoring
স্বাস্থ্য মনিটরিং এখন আরও উন্নত। শুধু পদক্ষেপ গণনা নয়। অনেক স্বাস্থ্য তথ্য জানা যায় এখন। হার্ট রেট সবসময় মনিটর করে। রক্তচাপ মাপার ফিচার এসেছে নতুন। অক্সিজেন লেভেল চেক করা যায়।
SpO2 সেন্সর রক্তে অক্সিজেন মাপে। কোভিডের সময় এটি জরুরি ছিল। এখনও গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সূচক। ৯৫% এর নিচে হলে বিপদ সংকেত। তাৎক্ষণিক ডাক্তার দেখানো দরকার।
তাপমাত্রা মাপার সেন্সর এসেছে কিছু মডেলে। জ্বর আছে কি না বুঝা যায়। ত্বকের তাপমাত্রা সারাদিন ট্র্যাক করে। অস্বাভাবিক কিছু হলে সতর্ক করে। মহিলাদের সাইকেল ট্র্যাকিং করতে সহায়ক।
স্ট্রেস লেভেল মাপা নতুন ফিচার। হার্ট রেট ভ্যারিয়েবিলিটি থেকে হিসাব করে। স্ট্রেস বেশি হলে বিশ্রাম নিতে বলে। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম গাইড করে। মেডিটেশন মোড চালু করা যায়।
Fitness Tracker for Men
পুরুষদের জন্য বিশেষ ডিজাইন আছে। এগুলো একটু বড় ও মজবুত দেখতে। রঙ গাঢ় হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। কালো, নেভি ব্লু, ধূসর জনপ্রিয়। মেটাল ফিনিশ দেওয়া থাকে অনেকে। স্পোর্টি লুক পাওয়া যায় সহজে।
পুরুষদের ফিটনেস লক্ষ্য আলাদা। ওজন তোলার মোড থাকে অনেক মডেলে। জিম ওয়ার্কআউট ট্র্যাক করে বিস্তারিত। রেপ কাউন্ট করার ফিচার আছে। রেস্ট টাইম রিমাইন্ডার দেয়। মাসল রিকভারি ট্র্যাক করা যায়।
দৌড় ও সাইকেলিং ট্র্যাকিং উন্নত। জিপিএস রুট ম্যাপিং দেখায়। গতি ও দূরত্ব সঠিকভাবে মাপে। ক্যালরি বার্ন হিসাব করে নির্ভুল। পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ দেয় বিস্তারিত। লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে অনেক।
স্ক্রিন সাইজ একটু বড় হয়। ডিসপ্লে ব্রাইট ও পরিষ্কার। সূর্যের আলোতে ভালো দেখা যায়। টাচ রেসপন্স খুবই ভালো। বাটন কন্ট্রোল থাকে কিছু মডেলে।
হার্ট রেট মাপার ফিটনেস ট্র্যাকার
হার্ট রেট মাপা সবচেয়ে জরুরি ফিচার। এটি স্বাস্থ্যের প্রধান সূচক। বিশ্রামের সময় স্বাভাবিক রেট ৬০-১০০। ব্যায়ামের সময় অনেক বেড়ে যায়। সর্বোচ্চ রেট বয়স অনুযায়ী ভিন্ন।
অপটিক্যাল সেন্সর ব্যবহার হয় এখন। LED লাইট ত্বকে পাঠায় সবুজ। রক্ত আলো শোষণ করে আলাদাভাবে। রিফ্লেকশন মেপে রেট বের করে। প্রতি সেকেন্ডে শতবার মাপে। নির্ভুলতা ৯৫% এর উপরে এখন।
২৪/৭ হার্ট রেট মনিটরিং চালু রাখা যায়। ব্যাকগ্রাউন্ডে সবসময় কাজ করে। অস্বাভাবিক রেট ধরা পড়ে তাৎক্ষণিক। খুব বেশি বা কম হলে সতর্ক করে। ইমার্জেন্সি কন্টাক্টে মেসেজ যায়।
হার্ট রেট জোন গাইড করে ব্যায়ামে। ওয়ার্ম আপ জোন ৫০-৬০% হার্ট রেট। ফ্যাট বার্ন জোন ৬০-৭০% রেটে। কার্ডিও জোন ৭০-৮০% এর মধ্যে। পিক জোন ৮০-৯০% সর্বোচ্চ রেটে। কোন জোনে আছেন দেখায় রিয়েল টাইমে।
Best Budget Fitness Tracker in BD
বাজেট ট্র্যাকার মানে কম দামে ভালো মান। বাংলাদেশে অনেক অপশন আছে এখন। ৩০০০ টাকার মধ্যে সেরা পাওয়া যায়। সব বেসিক ফিচার থাকে এসবে। কোয়ালিটিতেও কোনো কমতি নেই।
Xiaomi Mi Band সিরিজ সবচেয়ে জনপ্রিয়। দাম কম কিন্তু ফিচার প্রচুর। Mi Band 8 দারুণ ভ্যালু দেয়। Realme Band 2 আরেকটি ভালো অপশন। Amazfit Band 7 একটু দামি কিন্তু মান চমৎকার।
বাজেট মডেলে কী কী পাবেন দেখুন। হার্ট রেট মনিটর স্ট্যান্ডার্ড ফিচার। স্লিপ ট্র্যাকিং পাবেন অবশ্যই। স্টেপ কাউন্টার থাকবে সবসময়। ওয়াটারপ্রুফ বিল্ড পাবেন নিশ্চিত। ব্যাটারি ১০-১৫ দিন চলবে।
যা পাবেন না তা-ও জানা দরকার। বিল্ট-ইন জিপিএস থাকবে না। ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবেন না। মিউজিক স্টোরেজ সুবিধা নেই। প্রিমিয়াম বিল্ড কোয়ালিটি থাকে না। তবে বেসিক কাজের জন্য যথেষ্ট।
মেয়েদের জন্য সেরা ফিটনেস ট্র্যাকার

মেয়েদের স্বাস্থ্য চাহিদা ভিন্ন রকম। বিশেষ ফিচার দরকার হয় অনেক সময়। পিরিয়ড ট্র্যাকিং খুবই জরুরি। ওভুলেশন ক্যালেন্ডার রাখা সহায়ক। প্রেগনেন্সি মোড থাকলে আরও ভালো।
সেরা মডেলগুলো হলো এরকম:
- Fitbit Luxe – ফ্যাশনেবল ডিজাইন ও পূর্ণ ফিচার
- Garmin Lily – মেয়েদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন
- Samsung Galaxy Fit 3 – স্লিম ও এলিগেন্ট
- Amazfit Bip 3 Pro – সাশ্রয়ী দামে ভালো মান
- Xiaomi Smart Band 8 – বাজেটে সেরা অপশন
- Huawei Band 9 – হালকা ও আরামদায়ক
এসব মডেলে মেনস্ট্রুয়াল ট্র্যাকার আছে। সাইকেল রেকর্ড রাখে নিয়মিত। পিরিয়ডের আগে রিমাইন্ডার দেয়। ওভুলেশন দিন জানায় সঠিকভাবে। ফার্টিলিটি উইন্ডো দেখায় স্পষ্ট। প্রেগনেন্সি প্ল্যানিংয়ে সাহায্য করে।
ওজন ম্যানেজমেন্ট ফিচার উন্নত। ক্যালরি ট্র্যাকিং খুব নির্ভুল। খাবার লগ করা সহজ। ওয়াটার ইনটেক রেকর্ড রাখে। ওজন কমানোর লক্ষ্য সেট করা যায়। প্রগতি দেখতে পাওয়া যায় নিয়মিত।
ডিজাইন খুবই সুন্দর ও মার্জিত। ছোট কব্জি মাপের জন্য পারফেক্ট। রঙ বৈচিত্র্যময় ও আকর্ষণীয়। গোল্ড, রোজ গোল্ড, সিলভার পাওয়া যায়। ফ্যাশন অ্যাক্সেসরির মতো দেখায়।
উপসংহার
Fitness Tracker এখন সবার জীবনে জরুরি। সুস্থ থাকতে এর বিকল্প নেই। ছোট্ট এই যন্ত্রটি অনেক বড় কাজ করে। স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ায় অনেক। নিয়মিত ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করে।
বাংলাদেশে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে দিন দিন। দাম কমে এসেছে অনেকটাই। এখন সবাই কিনতে পারেন সহজে। বাজারে অনেক অপশন পাওয়া যায়। সব বাজেটের মানুষের জন্য মডেল আছে।
কেনার আগে চাহিদা বুঝে নিন ভালো করে। সব ফিচার সবার দরকার হয় না। বেসিক মডেলই অনেকের জন্য যথেষ্ট। বাজেট ঠিক করে তারপর খুঁজুন। রিভিউ পড়ে সিদ্ধান্ত নিন সঠিক।
ব্যবহার শুরু করলেই পরিবর্তন দেখবেন। নিয়মিত হাঁটা শুরু করবেন। ক্যালরি গণনা করবেন মজা করে। ঘুম ভালো হবে ধীরে ধীরে। স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে উঠবে। জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে নিশ্চিত।
২০২৫ সালে ফিটনেস ট্র্যাকার আরও উন্নত। প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত। নতুন ফিচার যোগ হচ্ছে নিয়মিত। দাম কমছে কিন্তু মান বাড়ছে। এখনই সঠিক সময় কেনার জন্য। স্বাস্থ্যকর জীবনের যাত্রা শুরু করুন আজই।
মনে রাখবেন ট্র্যাকার শুধু একটা যন্ত্র। আসল পরিবর্তন আপনাকেই করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করা জরুরি। খাবারে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। ট্র্যাকার শুধু গাইড করবে আপনাকে। সফলতা নির্ভর করে আপনার প্রচেষ্টায়।
আজই শুরু করুন সুস্থ জীবনের পথে। একটি ভালো ফিটনেস ট্র্যাকার কিনুন। নিয়মিত ব্যবহার করুন সঠিকভাবে। লক্ষ্য নির্ধারণ করুন বাস্তবসম্মত। একটু একটু করে এগিয়ে যান। সফলতা আসবে অবশ্যই। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। ফিটনেস ট্র্যাকার আপনার সঙ্গী হোক এই যাত্রায়।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
ফিটনেস ট্র্যাকার কি সত্যিই কাজ করে?
হ্যাঁ, ফিটনেস ট্র্যাকার সত্যিই কার্যকর। এটি পদক্ষেপ, ক্যালরি ও হার্ট রেট মাপে। তবে ১০০% নির্ভুল নয় সবসময়। ৯০-৯৫% সঠিক ডেটা দেয় বেশিরভাগ মডেল। নিয়মিত ব্যবহারে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ে অনেক।
কোন ব্র্যান্ডের ফিটনেস ট্র্যাকার সবচেয়ে ভালো?
Fitbit এবং Garmin প্রিমিয়াম কোয়ালিটি দেয়। Xiaomi ও Samsung মিড রেঞ্জে সেরা। Amazfit ও Realme বাজেটে ভালো। আপনার চাহিদা ও বাজেট অনুযায়ী বেছে নিন।
ফিটনেস ট্র্যাকার পরে ঘুমানো কি নিরাপদ?
হ্যাঁ, সম্পূর্ণ নিরাপদ ঘুমানোর সময়। রেডিয়েশন খুবই কম নিঃসরণ করে। ব্লুটুথ সংকেত ক্ষতিকর নয় মোটেই। ঘুম ট্র্যাকিংয়ের জন্য পরা জরুরি। তবে খুব টাইট করে পরবেন না।
ব্যাটারি কতদিন চলে সাধারণত?
বেসিক মডেল ১০-১৫ দিন চলে সহজে। স্মার্ট ওয়াচ টাইপ ৩-৭ দিন টিকে। প্রিমিয়াম মডেল ২০-৩০ দিন চলে। ব্যবহার অনুযায়ী সময় কমবেশি হয়। জিপিএস চালু থাকলে তাড়াতাড়ি শেষ হয়।
ফিটনেস ট্র্যাকার দিয়ে ওজন কমানো সম্ভব?
ট্র্যাকার সরাসরি ওজন কমায় না। তবে মোটিভেশন বাড়ায় অনেক। ক্যালরি গণনা করতে সাহায্য করে। লক্ষ্য নির্ধারণে গাইড করে নিয়মিত। নিয়মিত ব্যায়াম ও খাবার নিয়ন্ত্রণ করলে ওজন কমবে।
কোন মডেলে জিপিএস আছে?
প্রিমিয়াম মডেলে বিল্ট-ইন জিপিএস থাকে। Fitbit Charge 6, Garmin এ আছে। বেশিরভাগ বাজেট মডেলে নেই। তবে ফোনের জিপিএস ব্যবহার করা যায়। কানেক্টেড জিপিএস ফিচার থাকে অনেকে।
পানিতে সাঁতার কাটা যায় কি?
5ATM রেটিং থাকলে সাঁতার কাটা যায়। IP67/68 হালকা পানিতে নিরাপদ। গভীর পানিতে ডুব দিতে 10ATM লাগবে। স্পেসিফিকেশন চেক করে নিন কেনার আগে। সমুদ্রের পানিতে সাবধান থাকুন সবসময়।
হার্ট রেট মাপা কতটা সঠিক?
অপটিক্যাল সেন্সর ৯৫% নির্ভুল ডেটা দেয়। ইসিজি তুলনায় একটু কম সঠিক। তবে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট। মেডিকেল গ্রেড নির্ভুলতা পেতে চেস্ট স্ট্র্যাপ লাগে। সাধারণ মনিটরিংয়ে কোনো সমস্যা নেই।
ফিটনেস ট্র্যাকার কি ব্লাড প্রেশার মাপতে পারে?
কিছু নতুন মডেলে ব্লাড প্রেশার ফিচার আছে। তবে এটি পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য নয় এখনো। মেডিকেল ডিভাইসের মতো সঠিক নয়। শুধু আনুমানিক ধারণা পাওয়া যায়। সিরিয়াস হলে ডাক্তারি যন্ত্র ব্যবহার করুন।
কত টাকার মধ্যে ভালো ট্র্যাকার পাওয়া যায়?
৩০০০-৫০০০ টাকায় চমৎকার মডেল পাবেন। সব বেসিক ফিচার থাকবে নিশ্চিত। Xiaomi ও Realme এই রেঞ্জে সেরা। বেশি খরচ করতে চাইলে ৮০০০-১৫০০০ টাকা দিন। আরও উন্নত ফিচার পাবেন তখন।
অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন দুটোতেই চলবে?
বেশিরভাগ ট্র্যাকার দুটোতেই কাজ করে। তবে কেনার আগে চেক করে নিন। কিছু ব্র্যান্ড শুধু নিজস্ব ফোনে সেরা। ক্রস প্ল্যাটফর্ম কম্প্যাটিবিলিটি দেখুন। অ্যাপ স্টোরে অ্যাপ আছে কি না জানুন।
রিপেয়ার সার্ভিস কোথায় পাওয়া যায়?
ব্র্যান্ড সার্ভিস সেন্টারে রিপেয়ার হয়। ঢাকায় প্রায় সব ব্র্যান্ডের সেন্টার আছে। বড় শহরগুলোতেও পাওয়া যায়। ওয়ারেন্টি থাকলে ফ্রি রিপেয়ার হয়। অথরাইজড সেন্টারেই দিন সবসময়।
স্ক্রিন প্রোটেক্টর লাগানো উচিত?
হ্যাঁ, স্ক্রিন প্রোটেক্টর লাগানো ভালো। স্ক্র্যাচ থেকে রক্ষা পায় অনেক। টেম্পার্ড গ্লাস সবচেয়ে ভালো সুরক্ষা দেয়। দাম মাত্র ১০০-৩০০ টাকা। দীর্ঘদিন নতুনের মতো থাকবে।
নকল প্রোডাক্ট চেনার উপায় কী?
দাম খুব কম হলে সন্দেহ করুন। প্যাকেজিং কোয়ালিটি চেক করুন ভালো। সিরিয়াল নাম্বার ভেরিফাই করুন অনলাইনে। অথরাইজড ডিলার থেকে কিনুন সবসময়। ওয়ারেন্টি কার্ড আসল কি না দেখুন।
কতদিন পর পর আপগ্রেড করা উচিত?
২-৩ বছর পর আপগ্রেড করা যেতে পারে। প্রযুক্তি দ্রুত পরিবর্তন হয় এখন। নতুন ফিচার যোগ হয় নিয়মিত। তবে পুরনো মডেল ভেঙে না গেলে বদলাতে হবে না। ভালোভাবে চললে ব্যবহার চালিয়ে যান।
🔥 পোস্টটি শেয়ার করুনঃ 🌍