
আধুনিক জীবনে বিদ্যুৎ আমাদের অপরিহার্য সাথী। বৈদ্যুতিক তার ছাড়া এই শক্তি পৌঁছানো অসম্ভব। তবে সঠিক তার নির্বাচন একটি জটিল বিষয়। ভুল পছন্দ হতে পারে বিপজ্জনক। তাই বৈদ্যুতিক তার কেনার আগে বিস্তারিত জানা প্রয়োজন।
বৈদ্যুতিক তারের প্রকারভেদ
বাজারে বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক তার পাওয়া যায়। প্রতিটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সাধারণত তিন ধরনের তার বেশি ব্যবহৃত হয়।
প্রথমত, সিঙ্গেল কোর তার। এতে একটি কন্ডাক্টর থাকে। দ্বিতীয়ত, মাল্টি কোর তার। এতে অনেক ছোট তার একসাথে থাকে। তৃতীয়ত, কো-এক্সিয়াল তার। এটি বিশেষ কাজে ব্যবহৃত হয়।
প্রত্যেক ধরন আলাদা উদ্দেশ্যে তৈরি। কিছু তার ঘরের ভিতরে ব্যবহার হয়। অন্যগুলো বাইরের কাজে উপযুক্ত। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা সহনশীলতাও ভিন্ন। সঠিক প্রকার নির্বাচন করুন।
বৈদ্যুতিক তারের সাইজ
তারের সাইজ নির্ধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুল সাইজ মানে ঝুঁকি। ছোট তার বেশি কারেন্ট বহন করতে পারে না। ফলে গরম হয়ে আগুন লাগতে পারে।
সাধারণত 1.0rm,1.3rm,1.5rm,2.0rm,2.5rm,4rm সাইজ বেশি ব্যবহৃত হয়। লাইট ও ফ্যানের জন্য 1.5mm যথেষ্ট। প্লাগ পয়েন্টে 2.5mm ব্যবহার করুন। ভারী যন্ত্রের জন্য 4mm বা তার বেশি দরকার।
কারেন্ট লোড অনুযায়ী সাইজ নির্বাচন করুন। বেশি লোডে বড় সাইজের তার লাগবে। কম লোডে ছোট সাইজ চলবে। তবে ভবিষ্যতের সম্প্রসারণ মাথায় রাখুন।
বৈদ্যুতিক তারে তামা ব্যবহার করা হয় কেন
তামা বৈদ্যুতিক তারের মূল উপাদান। এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। তামার বিদ্যুৎ পরিবাহিতা অসাধারণ। রূপার পরেই তামার স্থান।
তামা সহজে বাঁকানো যায়। এটি নমনীয় ও টেকসই। মরিচা প্রতিরোধী গুণও আছে। দীর্ঘদিন ব্যবহারেও গুণমান থাকে। তাপ সহ্য করার ক্ষমতা বেশি।
অন্যদিকে, অ্যালুমিনিয়াম কম দামী বিকল্প। তবে তামার চেয়ে কম কার্যকর। অ্যালুমিনিয়াম ভঙ্গুর ও কম টেকসই। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তামাই পছন্দনীয়।
বৈদ্যুতিক তারের দাম
তারের দাম বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। মূল উপাদান, সাইজ ও ব্র্যান্ড প্রভাব ফেলে। তামার দাম বাড়লে তারের দামও বাড়ে।
বর্তমানে 1.5rm তারের প্রতি মিটার দাম ৩০-৩৫ টাকা। 2.5mm তারের দাম ৪৫-৫০ টাকা। 4mm তারের দাম ৭০-৮০ টাকা। ব্র্যান্ড ভেদে দামের তারতম্য হয়।
সস্তা তার কিনতে গিয়ে ভুল করবেন না। নিম্নমানের তার দুর্ঘটনার কারণ। দাম বেশি হলেও ভালো ব্র্যান্ডের তার কিনুন। নিরাপত্তার কোনো বিকল্প নেই।
বৈদ্যুতিক তারের নিরাপত্তা

বৈদ্যুতিক তারের নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। অসাবধানতা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই সঠিক নিয়ম মেনে চলুন।
প্রথমত, মানসম্পন্ন তার ব্যবহার করুন। দ্বিতীয়ত, সঠিক সাইজ নির্বাচন করুন। তৃতীয়ত, পেশাদার ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে কাজ করান। চতুর্থত, নিয়মিত চেক করুন।
পানি ও বিদ্যুতের সংমিশ্রণ মারাত্মক। ভেজা হাতে তার স্পর্শ করবেন না। বৈদ্যুতিক কাজের সময় মেইন সুইচ বন্ধ রাখুন। সন্দেহ হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ভালো মানের বৈদ্যুতিক তার
ভালো মানের তার চেনার কিছু লক্ষণ আছে। প্রথমত, তামার বিশুদ্ধতা। ভালো তারে ৯৯.৯% বিশুদ্ধ তামা থাকে। দ্বিতীয়ত, ইনসুলেশনের গুণমান।
BSTI অনুমোদিত দেখে তার কিনুন। এটি মানের নিশ্চয়তা দেয়। ব্র্যান্ডের তার পছন্দ করুন।BRB,BBS,POLY,BIZLY,PERTEX,PARADISE Cable ভালো ব্র্যান্ড।
তারের প্যাকেজিং পরীক্ষা করুন। অরিজিনাল প্যাকেটে সব তথ্য থাকে। নকল তার এড়িয়ে চলুন। পরীক্ষা করে দেখুন তার নমনীয় কিনা।
বৈদ্যুতিক তারের ব্যবহার
বৈদ্যুতিক তারের ব্যবহার ব্যাপক। ঘর থেকে শুরু করে কলকারখানা পর্যন্ত। আলো, ফ্যান, এসি সব কিছুতে তার দরকার।
ঘরের ওয়্যারিংয়ে মূলত তিন ধরনের তার ব্যবহৃত হয়। লাইভ, নিউট্রাল ও আর্থ তার। লাইভ তারে কারেন্ট আসে। নিউট্রাল দিয়ে ফিরে যায়। আর্থ তার নিরাপত্তার জন্য।
বিভিন্ন যন্ত্রের জন্য আলাদা তার লাগে। রেফ্রিজারেটরের জন্য ভারী তার। মোবাইল চার্জারে সূক্ষ্ম তার। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করুন।
বাড়ির জন্য বৈদ্যুতিক তার
বাড়ির জন্য তার নির্বাচন সাবধানে করুন। পরিবারের নিরাপত্তা এর উপর নির্ভর করে। সাধারণত তিন ধরনের তার দরকার হয়।
লাইট সার্কিটের জন্য 1.5RM তার যথেষ্ট। পাওয়ার সকেটের জন্য 2.5RM ব্যবহার করুন। এয়ার কন্ডিশনার ও গিজারের জন্য 6RM পর্যন্ত লাগতে পারে।
রান্নাঘরে বেশি লোড থাকে। তাই সেখানে ভারী তার ব্যবহার করুন। বাথরুমে জলরোধী তার লাগবে। বাইরের কাজে ওয়েদার প্রুফ তার ব্যবহার করুন।
বৈদ্যুতিক তার সংযোগ
তার সংযোগ করা একটি দক্ষতার কাজ। ভুল সংযোগ বিপদজনক। তাই পেশাদার ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে কাজ করান।
সংযোগের আগে প্রধান সুইচ বন্ধ করুন। তারের মাথা পরিষ্কার করুন। সঠিক পদ্ধতিতে যুক্ত করুন। ভালো করে টেপ দিন।
লুজ কানেকশন এড়িয়ে চলুন। এতে আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে। টাইট কিন্তু অতিরিক্ত চাপ দেবেন না। সংযোগের পর টেস্ট করুন।
বৈদ্যুতিক তার কিভাবে লাগাবেন
বৈদ্যুতিক তার লাগানো বিশেষ কৌশলের কাজ। নিরাপত্তা নিয়ম মেনে চলুন। প্রথমে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন।
প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করুন। তার কাটার, ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড টেস্টার। পরিকল্পনা অনুযায়ী তার টানুন। প্রতিটি সংযোগ সতর্কতার সাথে করুন।
ওয়াল ও সিলিং এ তার টানার জন্য নালী ব্যবহার করুন। সুইচ ও সকেট পয়েন্ট সঠিকভাবে লাগান। শেষে টেস্ট করে নিশ্চিত হন।
বৈদ্যুতিক তারে জয়েন্টের প্রয়োজনীয়তা
বৈদ্যুতিক তারে জয়েন্ট অনিবার্য। দীর্ঘ দূরত্বে একটানা তার পাওয়া যায় না। তাই জয়েন্ট করতে হয়।
জয়েন্ট করার সময় বিশেষ সাবধানতা দরকার। প্রথমে তারের মাথা চেঁছে পরিষ্কার করুন। দুটি তার ভালো করে পেঁচিয়ে দিন। ইনসুলেশন টেপ ব্যবহার করুন।
ভেজা জায়গায় জয়েন্ট এড়িয়ে চলুন। জয়েন্ট বক্সে রাখুন। নিয়মিত চেক করুন। লুজ হলে আবার টাইট করুন।
বৈদ্যুতিক তারের মাপ
বৈদ্যুতিক তারের মাপ বিভিন্ন একক দিয়ে প্রকাশ করা হয়। সবচেয়ে সাধারণ একক হলো বর্গ মিলিমিটার। এছাড়া AWG ও SWG ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশে সাধারণত 1.0mm²,1.3mm²,1.5mm²,2.0mm², 2.5mm², 4mm², 6mm² ব্যবহার হয়। সংখ্যা যত বড়, তার তত মোটা। মোটা তার বেশি কারেন্ট বহন করে।
তারের মাপ ভুল হলে সমস্যা হয়। ছোট তারে বেশি লোড দিলে গরম হয়। বড় তারে কম লোড অপচয়। সঠিক মাপ নির্বাচন করুন।
বৈদ্যুতিক তার তৈরিতে কোন ধাতু ব্যবহার করা হয়
বৈদ্যুতিক তার তৈরিতে মূলত দুটি ধাতু ব্যবহৃত হয়। তামা ও অ্যালুমিনিয়াম। প্রতিটির নিজস্ব সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে।
তামা সবচেয়ে জনপ্রিয় পছন্দ। এর বিদ্যুৎ পরিবাহিতা চমৎকার। দীর্ঘস্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য। তবে দাম বেশি। অ্যালুমিনিয়াম সস্তা কিন্তু কম কার্যকর।
আধুনিক তারে তামার সাথে টিন লেপ দেওয়া হয়। এতে মরিচা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কিছু বিশেষ তারে রূপাও ব্যবহৃত হয়।
বৈদ্যুতিক তার কেনার গাইড
বৈদ্যুতিক তার কেনার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখুন। প্রথমত, আপনার প্রয়োজন নির্ধারণ করুন। কোথায় ব্যবহার হবে? কত লোড নেবে?
দ্বিতীয়ত, মানের দিকে নজর দিন। ISI মার্ক যুক্ত তার কিনুন। বিশ্বস্ত দোকান থেকে কিনুন। প্যাকেজিং ও লেবেল দেখুন। ওয়ারেন্টি আছে কিনা জানুন।
তৃতীয়ত, দাম তুলনা করুন। অনেক দোকানের দাম জেনে নিন। তবে শুধু দাম দেখে কিনবেন না। মান-দাম অনুপাত বিবেচনা করুন।
বৈদ্যুতিক তার সংক্রান্ত নিয়ম
বৈদ্যুতিক তার ব্যবহারে বিভিন্ন নিয়ম-কানুন আছে। বাংলাদেশে ইলেকট্রিসিটি অ্যাক্ট ২০১৮ এর অধীনে নিয়ম। এছাড়া BNBC নিয়মাবলী মানতে হয়।
আবাসিক ভবনে নূন্যতম 2.5mm² তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। বাথরুমে জলরোধী তার লাগবে। আর্থিং বাধ্যতামূলক। সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করুন।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে কাজ করান। সরকারি অনুমোদিত তার ব্যবহার করুন। নিয়ম না মানলে জরিমানা হতে পারে।
বৈদ্যুতিক তারে প্লাস্টিকের আবরণ দেওয়া হয় কেন
বৈদ্যুতিক তারে প্লাস্টিকের আবরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ইনসুলেশন হিসেবে কাজ করে। তামার কন্ডাক্টর থেকে বিদ্যুৎ বাইরে বের হতে পারে না।
প্লাস্টিক আবরণ বিদ্যুৎ পরিবাহী নয়। তাই স্পর্শ করলে শক লাগে না। এতে দুর্ঘটনা কমে। পানি প্রবেশও রোধ করে। আর্দ্রতার কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করে।
আবরণের রং বিভিন্ন অর্থ বহন করে। লাল মানে লাইভ, কালো নিউট্রাল, সবুজ আর্থ। এতে চেনা সহজ হয়। ইনস্টলেশনে ভুল কমে।
বৈদ্যুতিক তারের ঝুঁকি
বৈদ্যুতিক তারের সাথে নানা ঝুঁকি জড়িত। সবচেয়ে বড় ঝুঁকি বৈদ্যুতিক শক। ভুল স্পর্শে মৃত্যু হতে পারে। আগুন লাগার ঝুঁকিও রয়েছে।
পুরাতন তারে ইনসুলেশন ক্ষয় হয়। ফলে লিকেজ হয়। ভুল সাইজের তার অতিরিক্ত গরম হয়। শর্ট সার্কিট হতে পারে। এতে আগুনের ঝুঁকি বাড়ে।
ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত পরীক্ষা করুন। ক্ষতিগ্রস্ত তার বদলান। পেশাদার ইলেকট্রিশিয়ান ব্যবহার করুন। নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করুন।
বৈদ্যুতিক তারের ইনস্টলেশন
বৈদ্যুতিক তার ইনস্টলেশন একটি জটিল প্রক্রিয়া। সঠিক পরিকল্পনা দরকার। প্রথমে লোড ক্যালকুলেশন করুন। কোথায় কী লাগবে নির্ধারণ করুন।
ইনস্টলেশনের আগে মেইন সাপ্লাই বন্ধ করুন। নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরুন। সঠিক পথে তার টানুন। ইনসুলেশন পরীক্ষা করুন। আর্থিং করতে ভুলবেন না।
প্রতিটি সংযোগ ভালো করে চেক করুন। টেস্টার দিয়ে পরীক্ষা করুন। লুজ কানেকশন থাকলে টাইট করুন। শেষে পাওয়ার অন করে টেস্ট করুন।
বৈদ্যুতিক তার ও সার্কিট

বৈদ্যুতিক তার ও সার্কিট পরস্পর সম্পর্কিত। সার্কিট তৈরি হয় তার দিয়েই। বিভিন্ন ধরনের সার্কিট আছে। সিরিজ, প্যারালেল ও মিশ্র সার্কিট।
ঘরের ওয়্যারিংয়ে প্যারালেল সার্কিট ব্যবহৃত হয়। এতে একটি যন্ত্র বন্ধ হলে অন্যগুলো চলে। প্রতিটি সার্কিটে আলাদা সুইচ থাকে। ফিউজ বা সার্কিট ব্রেকার থাকে।
সার্কিট ডিজাইনে সাবধানতা দরকার। ওভারলোড এড়িয়ে চলুন। প্রতিটি সার্কিটে উপযুক্ত সাইজের তার ব্যবহার করুন। নিরাপত্তা ডিভাইস রাখুন।
বৈদ্যুতিক তারের রক্ষণাবেক্ষণ
বৈদ্যুতিক তারের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি। এতে আয়ুষ্কাল বাড়ে। দুর্ঘটনাও কমে। মাসে অন্তত একবার চেক করুন।
তারের গায়ে কোনো দাগ বা পোড়া চিহ্ন আছে কিনা দেখুন। ইনসুলেশন খোসা ছাড়ছে কিনা লক্ষ্য করুন। জয়েন্ট গুলো টাইট আছে কিনা পরীক্ষা করুন।
অস্বাভাবিক গন্ধ পেলে সতর্ক হন। তার গরম হলে বিশেষজ্ঞ ডাকুন। নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। ধুলোবালি জমতে দেবেন না। প্রয়োজনে পুরাতন তার বদলান।
উপসংহার
বৈদ্যুতিক তার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সঠিক নির্বাচন ও ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানসম্পন্ন তার কিনুন। পেশাদার দিয়ে ইনস্টল করান। নিরাপত্তা নিয়ম মেনে চলুন।
ভবিষ্যতে স্মার্ট তারের চাহিদা বাড়বে। নতুন প্রযুক্তি আসবে। তবে মূল নীতি একই থাকবে। নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সঠিক জ্ঞান ও সাবধানতায় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
মনে রাখবেন, বিদ্যুৎ আশীর্বাদ হলেও অসাবধানতায় অভিশাপ। তাই বৈদ্যুতিক তার সংক্রান্ত সকল কাজে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। নিরাপদ থাকুন, সুখে থাকুন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী(FAQs)
বৈদ্যুতিক তারের আয়ুষ্কাল কত?
ভালো মানের তামার তার ২৫-৩০ বছর চলে। তবে পরিবেশ ও ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে আয়ু বাড়ে।
তার কিনতে কত টাকা লাগে?
তারের দাম সাইজ ও ব্র্যান্ড অনুযায়ী ভিন্ন। 1.5rm তার প্রতি মিটার৩৫-৪০ টাকা। 2.5rm তার ৫৫-৬০ টাকা। মানসম্পন্ন ব্র্যান্ড একটু দামী হলেও নিরাপদ।
নকল তার কিভাবে চিনবো?
নকল তারে BSTI মার্ক থাকে না। প্যাকেজিং নিম্নমানের হয়। তামার রং ভিন্ন দেখায়। ওজন কম থাকে। বিশ্বস্ত দোকান থেকে কিনলে এড়ানো যায়।
বৈদ্যুতিক শক থেকে বাঁচার উপায়?
ভেজা হাতে তার স্পর্শ করবেন না। মেইন সুইচ অফ করে কাজ করুন। ইনসুলেটেড টুলস ব্যবহার করুন। সন্দেহ হলে পেশাদার ডাকুন।
তার পুড়ে গেলে কী করব?
প্রথমে মেইন সুইচ বন্ধ করুন। পোড়া অংশ বদলান। কারণ খুঁজে বের করুন। ওভারলোড হলে সার্কিট ভাগ করুন। অভিজ্ঞ ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে চেক করান।
অ্যালুমিনিয়াম তার ব্যবহার করা যাবে?
অ্যালুমিনিয়াম তার সস্তা কিন্তু কম নির্ভরযোগ্য। ভঙ্গুর ও কম টেকসই। বাড়িতে তামার তারই ভালো। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
এক্সটেনশন বোর্ড কতক্ষণ চালু রাখা যায়?
এক্সটেনশন বোর্ড অস্থায়ী ব্যবহারের জন্য। দীর্ঘ সময় চালু রাখবেন না। ওভারলোড করবেন না। ভালো মানের বোর্ড ব্যবহার করুন।
তার সংযোগে কোন টেপ ভালো?
ইলেকট্রিক্যাল টেপ ব্যবহার করুন। PVC টেপ সবচেয়ে সাধারণ। আর্দ্রতা প্রতিরোধী টেপ ভালো। একাধিক স্তর দিন। প্লেইন টেপ ব্যবহার করবেন না।
সার্কিট ব্রেকার কেন লাগে?
সার্কিট ব্রেকার নিরাপত্তা ডিভাইস। ওভারলোড বা শর্ট সার্কিটে অটো বন্ধ হয়। আগুনের ঝুঁকি কমায়। ফিউজের চেয়ে ভালো। রি-সেট করা যায়।
বৈদ্যুতিক কাজে কী কী সরঞ্জাম লাগে?
ইনসুলেটেড স্ক্র ড্রাইভার, তার কাটার, মাল্টিমিটার, টেস্টার প্রয়োজন। সেফটি গ্লাভস ও চশমা ব্যবহার করুন। এনার্জি টেস্টার রাখুন। ভোল্টেজ চেকার দরকার।
🔥 পোস্টটি শেয়ার করুনঃ 🌍