শীতকাল এলেই গরম পানির প্রয়োজন বেড়ে যায়। সকালে গোসল করতে ঠান্ডা পানি সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। এজন্য বাংলাদেশে ইলেকট্রিক ওয়াটার হিটারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাজারে অনেক ধরনের গিজার পাওয়া যায়। দাম, ব্র্যান্ড এবং ফিচার অনুযায়ী বিভিন্ন অপশন রয়েছে। আজকের এই লেখায় আমরা ইলেকট্রিক ওয়াটার হিটার দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। কোন গিজার আপনার জন্য সেরা হবে, তা বুঝতে পারবেন। বাজেট অনুযায়ী সঠিক পণ্য বেছে নিতে পারবেন। চলুন শুরু করা যাক।
ইলেকট্রিক গিজার দাম

বাংলাদেশে ইলেকট্রিক গিজার দাম নির্ভর করে ব্র্যান্ড এবং ক্যাপাসিটির ওপর। সাধারণত ৬ লিটার থেকে ৩৫ লিটার পর্যন্ত গিজার পাওয়া যায়। ছোট পরিবারের জন্য ৬-১০ লিটার গিজার যথেষ্ট। বড় পরিবারের জন্য ১৫-৩৫ লিটার ক্যাপাসিটি প্রয়োজন। দাম শুরু হয় ২,৫০০ টাকা থেকে। উচ্চমানের গিজার ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। দেশি ব্র্যান্ডের গিজার সাশ্রয়ী এবং টেকসই। বিদেশি ব্র্যান্ডের দাম একটু বেশি। তবে ফিচার এবং গুণমান ভালো থাকে। বাজারে ওয়ালটন, সিঙ্গার, নোভা, মিনিস্টার এবং আরএফএল জনপ্রিয়। প্রতিটি ব্র্যান্ডের নিজস্ব দাম রেঞ্জ আছে। আপনার বাজেট অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন। গিজার কেনার আগে দাম তুলনা করা জরুরি। অনলাইন এবং শোরুমে দাম ভিন্ন হতে পারে।
ইলেকট্রিক গিজার প্রাইস ইন বাংলাদেশ
বাংলাদেশে ইলেকট্রিক গিজার প্রাইস অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। প্রথমত, ব্র্যান্ড ভ্যালু দাম বাড়ায় বা কমায়। দ্বিতীয়ত, গিজারের ক্যাপাসিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তৃতীয়ত, ইনস্ট্যান্ট বা স্টোরেজ টাইপ হওয়া দাম পরিবর্তন করে। স্টোরেজ টাইপ গিজার সাধারণত বেশি দামের হয়। ইনস্ট্যান্ট গিজার তুলনামূলক সস্তা এবং দ্রুত গরম করে। শহরাঞ্চলে দাম গ্রামাঞ্চলের চেয়ে কিছুটা বেশি। অনলাইন শপিং সাইটে মাঝে মাঝে ছাড় পাওয়া যায়। ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটে বিক্রয় কেন্দ্র বেশি। স্থানীয় শোরুমে দরদাম করার সুযোগ থাকে। গিজার কিনতে সময় নিয়ে ভাবুন। সঠিক পণ্য বাছাই দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক।
ওয়াটার হিটার প্রাইস ইন বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বাজারে ওয়াটার হিটারের দাম বিভিন্ন রেঞ্জে পাওয়া যায়। প্রতিটি ক্রেতার বাজেট এবং চাহিদা অনুযায়ী অপশন রয়েছে। নিচে দামের বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো।
- ওয়াটার হিটার প্রাইস বাংলাদেশে বাজেট ফ্রেন্ডলি থেকে প্রিমিয়াম রেঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত।
- সাধারণ মানের ওয়াটার হিটার ২,৫০০ থেকে ৫,০০০ টাকায় পাওয়া যায়।
- মাঝারি মানের পণ্য ৬,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকার মধ্যে পড়ে।
- উন্নত ফিচার সহ হিটার ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা হতে পারে।
- দাম নির্ভর করে হিটিং এলিমেন্টের মানের ওপর।
- থার্মোস্ট্যাট এবং সেফটি ফিচার দাম বাড়ায়।
- এনার্জি এফিশিয়েন্ট মডেল কিছুটা দামি হয়।
- তবে দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।
ইনস্ট্যান্ট ওয়াটার হিটার দাম
ইনস্ট্যান্ট ওয়াটার হিটার দাম স্টোরেজ টাইপের চেয়ে কম। এই হিটার দ্রুত পানি গরম করে। অপেক্ষা করতে হয় না বললেই চলে। সাধারণত ৩ থেকে ৬ কিলোওয়াট পাওয়ার থাকে। দাম শুরু হয় ২,০০০ টাকা থেকে। সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ছোট বাথরুমের জন্য উপযুক্ত। কম জায়গায় ফিট করা যায়। বিদ্যুৎ খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ। প্রতিবার ব্যবহারের সময় গরম পানি পাওয়া যায়। স্থায়িত্ব ভালো এবং রক্ষণাবেক্ষণ সহজ। একক ব্যক্তির জন্য পারফেক্ট সলিউশন। বাজারে ওয়ালটন এবং সিঙ্গারের ইনস্ট্যান্ট হিটার জনপ্রিয়। কম খরচে গরম পানির ব্যবস্থা চান তারা বেছে নিতে পারেন।
মিনিস্টার ইলেকট্রিক গিজার দাম
মিনিস্টার বাংলাদেশি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত। তাদের ইলেকট্রিক গিজার দাম খুবই সাশ্রয়ী। ৬ লিটার গিজার ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু। ১০ লিটার গিজার ৫,০০০ থেকে ৭,০০০ টাকা। ১৫ লিটার ক্যাপাসিটি ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা। ২৫ লিটার গিজার ১২,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। মিনিস্টার গিজার মানসম্পন্ন এবং টেকসই। ওয়ারেন্টি সুবিধা পাওয়া যায়। সারাদেশে সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। পণ্যের গুণমান ভালো এবং দীর্ঘস্থায়ী। বাজেট ফ্রেন্ডলি অপশন খুঁজলে মিনিস্টার বেছে নিতে পারেন। গ্রাহক সেবা উন্নত মানের। বিক্রয়োত্তর সাপোর্ট পাওয়া সহজ।
জামুনা ওয়াটার হিটার প্রাইস
জামুনা ব্র্যান্ডের পণ্য বাংলাদেশে অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং জনপ্রিয়। তাদের ওয়াটার হিটার মধ্যম থেকে উচ্চ মানের হয়ে থাকে। নিচে জামুনার দাম তালিকা দেখুন।
- জামুনা বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড।
- তাদের ওয়াটার হিটার প্রাইস মধ্যম থেকে উচ্চ রেঞ্জে।
- ৬ লিটার মডেল ৪,৫০০ থেকে ৬,০০০ টাকা।
- ১০ লিটার গিজার ৭,০০০ থেকে ৯,০০০ টাকা।
- ১৫ লিটার ক্যাপাসিটি ১০,০০০ থেকে ১৩,০০০ টাকা।
- ২৫ লিটার মডেল ১৫,০০০ থেকে ১৮,০০০ টাকা।
- ৩৫ লিটার বড় গিজার ২০,০০০ টাকার বেশি হতে পারে।
- জামুনা পণ্যে মান নিয়ন্ত্রণ কঠোর থাকে।
আরএফএল ইলেকট্রিক গিজার দাম
আরএফএল বাংলাদেশের জনপ্রিয় গৃহস্থালী ব্র্যান্ড। তাদের ইলেকট্রিক গিজার দাম প্রতিযোগিতামূলক এবং যুক্তিসংগত। ৬ লিটার মডেল ৩,৮০০ থেকে ৫,৫০০ টাকা। ১০ লিটার গিজার ৬,০০০ থেকে ৮,৫০০ টাকা। ১৫ লিটার ক্যাপাসিটি ৯,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা। ২৫ লিটার মডেল ১৩,০০০ থেকে ১৬,০০০ টাকা। আরএফএল গিজারের বিল্ড কোয়ালিটি চমৎকার। হিটিং এলিমেন্ট দীর্ঘস্থায়ী এবং কার্যকর। থার্মোস্ট্যাট সিস্টেম নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য। এনার্জি সেভিং ফিচার থাকে অনেক মডেলে। সারাদেশে সেলস এবং সার্ভিস নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। গ্রাহক পর্যালোচনা মূলত ইতিবাচক। বাজেট এবং মানের ভারসাম্য দুর্দান্ত।
ব্র্যান্ড | ক্যাপাসিটি | দাম রেঞ্জ | বিশেষ ফিচার |
মিনিস্টার | ৬-২৫ লিটার | ৩,৫০০-১৫,০০০ টাকা | সাশ্রয়ী, টেকসই |
জামুনা | ৬-৩৫ লিটার | ৪,৫০০-২০,০০০+ টাকা | উচ্চমান, নির্ভরযোগ্য |
আরএফএল | ৬-২৫ লিটার | ৩,৮০০-১৬,০০০ টাকা | এনার্জি সেভিং |
ওয়ালটন | ৬-৩৫ লিটার | ৪,০০০-২২,০০০ টাকা | প্রিমিয়াম ফিচার |
ভিশন ওয়াটার হিটার দাম
ভিশন ইলেকট্রনিক্স বাজারে নতুন কিন্তু জনপ্রিয়। তাদের ওয়াটার হিটার দাম খুবই প্রতিযোগিতামূলক। ৬ লিটার মডেল ৩,২০০ থেকে ৪,৮০০ টাকা। ১০ লিটার গিজার ৫,৫০০ থেকে ৭,৫০০ টাকা। ১৫ লিটার ক্যাপাসিটি ৮,৫০০ থেকে ১১,০০০ টাকা। ভিশন পণ্যে ডিজাইন আধুনিক এবং আকর্ষণীয়। বাথরুমের সাথে ভালো ম্যাচ করে। হিটিং স্পিড দ্রুত এবং কার্যকর। বিদ্যুৎ খরচ নিয়ন্ত্রণযোগ্য এবং সাশ্রয়ী। ইনস্টলেশন সহজ এবং ঝামেলাহীন। ওয়ারেন্টি পিরিয়ড স্ট্যান্ডার্ড থাকে। গ্রাহক সেবা দ্রুত এবং কার্যকর। বাজেট সীমিত থাকলে ভিশন ভালো চয়েস।
বাজেট ফ্রেন্ডলি ইলেকট্রিক গিজার
সীমিত বাজেটে গিজার কিনতে চাইলে দেশি ব্র্যান্ড বেছে নিন। এগুলো সাশ্রয়ী এবং মানসম্পন্ন হয়। নিচে বাজেট ফ্রেন্ডলি অপশন দেখুন।
- বাজেট ফ্রেন্ডলি গিজার খুঁজলে দেশি ব্র্যান্ড বেছে নিন।
- ৬ লিটার মডেল ২,৫০০ থেকে ৪,০০০ টাকায় পাওয়া যায়।
- ছোট পরিবার বা একক ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট।
- নোভা, ভিশন এবং সানি ব্র্যান্ড সাশ্রয়ী।
- মৌলিক ফিচার সহ কার্যকর পণ্য পাওয়া যায়।
- দাম কম হলেও মান খারাপ নয়।
- নিয়মিত ব্যবহারে ২-৩ বছর টিকে থাকে।
- রক্ষণাবেক্ষণ খরচ খুবই কম হয়।
সেরা ইলেকট্রিক গিজার ইন বাংলাদেশ
বাংলাদেশে সেরা ইলেকট্রিক গিজার নির্বাচন করা কঠিন কাজ। বাজারে অসংখ্য ব্র্যান্ড এবং মডেল আছে। ওয়ালটন গিজার মান এবং ফিচারে এগিয়ে। তাদের প্রিমিয়াম মডেল ডিজিটাল ডিসপ্লে সহ আসে। সিঙ্গার গিজার দীর্ঘস্থায়িত্বে বিখ্যাত। তাদের কাস্টমার সার্ভিস অসাধারণ। মিনিস্টার এবং আরএফএল বাজেট অপশনে সেরা। দাম এবং মানের দিক দিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ। জামুনা পণ্য নির্ভরযোগ্যতায় শীর্ষে। সেফটি ফিচার সবসময় অগ্রাধিকার পায়। নোভা ইনস্ট্যান্ট হিটারে জনপ্রিয়। দ্রুত পানি গরম করার ক্ষমতা চমৎকার। সেরা গিজার নির্বাচনে আপনার প্রয়োজন বুঝুন। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বিবেচনা করুন। বাজেট এবং ফিচার ব্যালেন্স করুন।
গিজারের বিদ্যুৎ খরচ কত
গিজারের বিদ্যুৎ খরচ নির্ভর করে ক্যাপাসিটি এবং ব্যবহারের ওপর। সাধারণত ১ কিলোওয়াট থেকে ৩ কিলোওয়াট পাওয়ার থাকে। ৬-১০ লিটার গিজার ১-১.৫ কিলোওয়াট খরচ করে। ১৫-২৫ লিটার মডেল ২-২.৫ কিলোওয়াট ব্যবহার করে। প্রতিদিন ১ ঘণ্টা ব্যবহারে মাসে ৩০-৪৫ ইউনিট বিদ্যুৎ লাগে। ইউনিট প্রতি ৬-৮ টাকা হিসাবে মাসিক খরচ ১৮০-৩৬০ টাকা। ইনস্ট্যান্ট গিজার কম বিদ্যুৎ খরচ করে। শুধু ব্যবহারের সময় চালু থাকে। স্টোরেজ টাইপ পানি গরম রাখতে বিদ্যুৎ ব্যয় করে। এনার্জি সেভিং মডেল খরচ কমায় ১৫-২০ শতাংশ। শীতকালে ব্যবহার বেশি হলে খরচ বাড়ে। সচেতন ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
ক্যাপাসিটি | পাওয়ার | দৈনিক ব্যবহার | মাসিক খরচ (আনুমানিক) |
৬ লিটার | ১-১.৫ কিলোওয়াট | ১ ঘণ্টা | ১৮০-২৪০ টাকা |
১০ লিটার | ১.৫-২ কিলোওয়াট | ১ ঘণ্টা | ২৪০-৩০০ টাকা |
১৫ লিটার | ২-২.৫ কিলোওয়াট | ১.৫ ঘণ্টা | ৩০০-৪০০ টাকা |
২৫ লিটার | ২.৫-৩ কিলোওয়াট | ২ ঘণ্টা | ৪০০-৫০০ টাকা |
বাথরুমের জন্য উপযুক্ত গিজার
বাথরুমের জন্য উপযুক্ত গিজার নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে বাথরুমের সাইজ বিবেচনা করুন। ছোট বাথরুমে ৬-১০ লিটার গিজার ফিট হয়। বড় বাথরুমে ১৫-২৫ লিটার স্থাপন করা যায়। ওয়াল মাউন্টেড মডেল স্পেস সেভ করে। ইনস্টলেশন সহজ এবং নিরাপদ। ওয়াটারপ্রুফ বডি জরুরি বাথরুমের জন্য। আর্দ্রতা থেকে সুরক্ষা দেয় দীর্ঘ সময়। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ফিচার থাকা উচিত। গরম পানির তাপমাত্রা সামঞ্জস্য করা সহজ হয়। সেফটি ভালভ থাকা আবশ্যক। অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা করে গিজার। ডিজাইন আধুনিক এবং সুন্দর হলে ভালো। বাথরুমের সাজসজ্জার সাথে মানানসই হয়। শব্দহীন অপারেশন আরামদায়ক অভিজ্ঞতা দেয়।
ইনস্ট্যান্ট গিজার প্রাইস বাংলাদেশে
ইনস্ট্যান্ট গিজার দ্রুত গরম পানি সরবরাহ করতে পারে। এটি ছোট পরিবার এবং একক ব্যক্তির জন্য আদর্শ। বাংলাদেশে দাম খুবই সাশ্রয়ী।
- ইনস্ট্যান্ট গিজার প্রাইস বাংলাদেশে অত্যন্ত সাশ্রয়ী।
- দাম শুরু হয় ২,০০০ টাকা থেকে।
- সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত মডেল পাওয়া যায়।
- দ্রুত গরম পানি পাওয়ার জন্য আদর্শ।
- স্থান কম লাগে এবং ইনস্টল সহজ।
- বিদ্যুৎ খরচ নিয়ন্ত্রণযোগ্য এবং কম।
- একক ব্যক্তির জন্য পারফেক্ট সমাধান।
- ওয়ালটন এবং নোভা জনপ্রিয় ব্র্যান্ড এই ক্যাটাগরিতে।
গিজারের ইনস্টলেশন খরচ
গিজারের ইনস্টলেশন খরচ এলাকা এবং টাইপ অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। সাধারণত ৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা লাগে। ছোট গিজার ইনস্টল করতে কম খরচ হয়। বড় স্টোরেজ টাইপ গিজারে বেশি খরচ পড়ে। শহরাঞ্চলে ইনস্টলেশন চার্জ বেশি থাকে। গ্রামাঞ্চলে তুলনামূলক কম খরচ হয়। পাইপ এবং ফিটিংসের খরচ আলাদা। মানসম্পন্ন ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা উচিত। ইলেকট্রিশিয়ান ফি ৩০০-৮০০ টাকা হতে পারে। পাম্বার চার্জ ২০০-৫০০ টাকা পড়তে পারে। ওয়ারেন্টি নিশ্চিত করতে অথরাইজড টেকনিশিয়ান ব্যবহার করুন। ব্র্যান্ডের সার্ভিস সেন্টার ফ্রি ইনস্টলেশন দিতে পারে। কিছু শোরুম ক্রয়ের সাথে ফ্রি ইনস্টল অফার করে।
ছোট পরিবারের জন্য ইলেকট্রিক গিজার
ছোট পরিবারের জন্য ইলেকট্রিক গিজার নির্বাচন সহজ। ২-৩ সদস্যের পরিবারে ৬-১০ লিটার যথেষ্ট। এই সাইজ দ্রুত গরম হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ কম। দাম ৩,০০০ থেকে ৭,০০০ টাকার মধ্যে। ইনস্ট্যান্ট টাইপ গিজার ছোট পরিবারে জনপ্রিয়। স্থান কম নেয় এবং ইনস্টলেশন সহজ। মিনিস্টার ৬ লিটার মডেল ভালো অপশন। দাম সাশ্রয়ী এবং মান উন্নত। নোভা ইনস্ট্যান্ট হিটার দ্রুত গরম করে। একক ট্যাপের জন্য আদর্শ সমাধান। ভিশন ৮ লিটার মডেল বাজেট ফ্রেন্ডলি। রক্ষণাবেক্ষণ সহজ এবং খরচ কম। ছোট পরিবারে দৈনিক গোসলের জন্য যথেষ্ট। শীতকালে আরামদায়ক গরম পানি পাওয়া যায়।
ওয়াল মাউন্টেড ওয়াটার হিটার প্রাইস
ওয়াল মাউন্টেড ওয়াটার হিটার প্রাইস সাধারণত মেঝে মডেলের সমান। দাম ৩,৫০০ থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত। ৬ লিটার ওয়াল মাউন্ট ৩,৫০০-৫,৫০০ টাকা। ১০ লিটার মডেল ৬,০০০-৯,০০০ টাকা। ১৫ লিটার ক্যাপাসিটি ৯,৫০০-১৩,০০০ টাকা। ২৫ লিটার বড় মডেল ১৪,০০০-২০,০০০ টাকা। ওয়াল মাউন্ট ডিজাইন স্পেস সেভ করে। বাথরুমে জায়গা বাঁচায় এবং দেখতে সুন্দর। ইনস্টলেশন প্রাচীরে শক্ত ব্র্যাকেট দিয়ে হয়। নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা জরুরি। সব ব্র্যান্ড ওয়াল মাউন্ট অপশন দেয়। ওয়ালটন, সিঙ্গার এবং জামুনা জনপ্রিয়। আধুনিক বাথরুমে ওয়াল মাউন্ট পছন্দনীয়।
গিজার টাইপ | ক্যাপাসিটি | দাম রেঞ্জ | উপযুক্ত |
ইনস্ট্যান্ট | ৩ কিলোওয়াট | ২,০০০-৬,০০০ টাকা | একক ব্যক্তি |
স্টোরেজ ছোট | ৬-১০ লিটার | ৩,৫০০-৮,০০০ টাকা | ছোট পরিবার |
স্টোরেজ মাঝারি | ১৫-২৫ লিটার | ৯,০০০-১৬,০০০ টাকা | মাঝারি পরিবার |
স্টোরেজ বড় | ৩০-৩৫ লিটার | ১৮,০০০-২৫,০০০ টাকা | বড় পরিবার |
রড টাইপ ইলেকট্রিক ওয়াটার হিটার
রড টাইপ হিটার সবচেয়ে প্রচলিত এবং সহজলভ্য। এই ধরনের গিজার সাশ্রয়ী এবং রক্ষণাবেক্ষণ সহজ। বাজারে সহজেই খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়।
- রড টাইপ ইলেকট্রিক ওয়াটার হিটার সবচেয়ে সাধারণ।
- সাশ্রয়ী এবং সহজে পাওয়া যায় বাজারে।
- হিটিং রড সরাসরি পানি গরম করে।
- দাম ১,৮০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত।
- ইনস্ট্যান্ট টাইপে বেশি ব্যবহৃত হয়।
- রড পরিবর্তন সহজ এবং সস্তা।
- রক্ষণাবেক্ষণ খরচ খুবই কম হয়।
- পুরনো মডেলেও রড পাওয়া যায়।
গিজারের রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি

গিজারের রক্ষণাবেক্ষণ সঠিক হলে দীর্ঘস্থায়ী হয়। প্রতি ৬ মাসে একবার পরিষ্কার করুন। ভেতরের লাইমস্কেল জমে গিজার দুর্বল হয়। ভিনেগার বা সিট্রিক এসিড দিয়ে পরিষ্কার করা যায়। ম্যাগনেসিয়াম অ্যানোড রড বছরে একবার চেক করুন। ক্ষয়ে গেলে পরিবর্তন করা উচিত। থার্মোস্ট্যাট সেটিং নিয়মিত পরীক্ষা করুন। তাপমাত্রা ৬০-৬৫ ডিগ্রিতে রাখা ভালো। সেফটি ভালভ প্রতি মাসে টেস্ট করুন। সঠিক কাজ না করলে বদলান তাৎক্ষণিকভাবে। পাইপ এবং কানেকশন লিক চেক করুন। ছোট লিক বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিদ্যুৎ সংযোগ নিরাপদ রাখুন সবসময়। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে খরচ এবং সমস্যা কমে।
ইলেকট্রিক গিজার বনাম গ্যাস গিজার
ইলেকট্রিক গিজার এবং গ্যাস গিজার দুটি ভিন্ন প্রযুক্তি। ইলেকট্রিক গিজার বিদ্যুৎ দিয়ে পানি গরম করে। গ্যাস গিজার এলপিজি বা প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে। ইলেকট্রিক মডেল ইনস্টলেশন সহজ এবং নিরাপদ। গ্যাস মডেলে ভেন্টিলেশন প্রয়োজন হয়। দাম দিক দিয়ে ইলেকট্রিক গিজার সাশ্রয়ী। গ্যাস গিজার প্রাথমিক খরচ বেশি। পরিচালনা খরচে গ্যাস গিজার সাশ্রয়ী হতে পারে। গ্যাস বিদ্যুতের চেয়ে সস্তা অনেক এলাকায়। নিরাপত্তায় ইলেকট্রিক গিজার এগিয়ে। গ্যাস লিক এবং বিস্ফোরণের ঝুঁকি থাকে। রক্ষণাবেক্ষণে ইলেকট্রিক মডেল সহজ। বাংলাদেশে ইলেকট্রিক গিজার বেশি জনপ্রিয়। গ্যাস সংযোগ সব এলাকায় নেই।
শীতকালের জন্য সেরা ওয়াটার হিটার
শীতকালের জন্য সেরা ওয়াটার হিটার নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত গরম করার ক্ষমতা থাকা চাই। উচ্চ ক্যাপাসিটি মডেল পরিবারের জন্য ভালো। ১৫-২৫ লিটার স্টোরেজ টাইপ আদর্শ। সারাদিন গরম পানি সংরক্ষণ করে রাখে। থার্মোস্ট্যাট সিস্টেম তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এনার্জি এফিশিয়েন্ট মডেল বিদ্যুৎ বাঁচায়। ইনসুলেশন ভালো হলে তাপ দীর্ঘ সময় থাকে। ওয়ালটন প্রিমিয়াম সিরিজ শীতে দুর্দান্ত। সিঙ্গার মডেল নির্ভরযোগ্যতায় শীর্ষে। জামুনা উচ্চ ক্যাপাসিটি মডেল কার্যকর। মিনিস্টার বাজেট অপশনে সেরা শীতকালীন সমাধান। আরএফএল মাঝারি দামে উত্তম পারফরম্যান্স দেয়।
বিবেচ্য বিষয় | ইলেকট্রিক গিজার | গ্যাস গিজার |
প্রাথমিক খরচ | ৩,০০০-২৫,০০০ টাকা | ১০,০০০-৪০,০০০ টাকা |
পরিচালনা খরচ | মাঝারি | কম (গ্যাস সস্তা) |
ইনস্টলেশন | সহজ | জটিল, ভেন্টিলেশন চাই |
নিরাপত্তা | উচ্চ | মাঝারি (লিক ঝুঁকি) |
রক্ষণাবেক্ষণ | সহজ | কিছুটা জটিল |
জনপ্রিয়তা | বেশি | কম |
উপসংহার
ইলেকট্রিক ওয়াটার হিটার দাম এবং সুবিধা বিবেচনায় নিন। আপনার পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী ক্যাপাসিটি বেছে নিন। বাজেট অনুযায়ী ব্র্যান্ড নির্বাচন করুন জ্ঞানসম্পন্নভাবে। মানসম্পন্ন গিজার দীর্ঘস্থায়ী এবং নির্ভরযোগ্য হয়। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ পণ্যের আয়ু বাড়ায়। বিদ্যুৎ খরচ নিয়ন্ত্রণে সচেতন ব্যবহার জরুরি। শীতকালে গরম পানি জীবনযাত্রা আরামদায়ক করে। সঠিক ইনস্টলেশন নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করে। অথরাইজড ডিলার থেকে কেনা ওয়ারেন্টি পেতে সাহায্য করে। বাজার গবেষণা করে সেরা ডিল খুঁজে নিন। অনলাইন রিভিউ পড়ে সিদ্ধান্ত নিন বুদ্ধিমানের মতো। গিজার কেনা একটি বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদী আরামের জন্য। সঠিক পছন্দ আপনার শীতকাল সুন্দর করবে নিশ্চিতভাবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
বাংলাদেশে ইলেকট্রিক ওয়াটার হিটার দাম কত থেকে শুরু?
বাংলাদেশে ইলেকট্রিক ওয়াটার হিটার দাম ২,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়। ছোট ইনস্ট্যান্ট মডেল সবচেয়ে সাশ্রয়ী। বড় স্টোরেজ টাইপ ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ছোট পরিবারের জন্য কত লিটার গিজার উপযুক্ত?
ছোট পরিবারের জন্য ৬-১০ লিটার গিজার যথেষ্ট। ২-৩ সদস্যের পরিবারে এই সাইজ আদর্শ। দ্রুত গরম হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ কম।
ইলেকট্রিক গিজার মাসে কত টাকা বিদ্যুৎ খরচ করে?
প্রতিদিন ১ ঘণ্টা ব্যবহারে মাসে ১৮০-৫০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। খরচ নির্ভর করে গিজারের ক্যাপাসিটি এবং ব্যবহারের ওপর। এনার্জি সেভিং মডেল খরচ কমায়।
কোন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক গিজার সবচেয়ে ভালো?
ওয়ালটন, সিঙ্গার এবং জামুনা সেরা ব্র্যান্ড। মিনিস্টার এবং আরএফএল বাজেট অপশনে উত্তম। প্রতিটি ব্র্যান্ডের নিজস্ব সুবিধা এবং দাম রেঞ্জ আছে।
ইনস্ট্যান্ট এবং স্টোরেজ গিজারের মধ্যে পার্থক্য কী?
ইনস্ট্যান্ট গিজার তাৎক্ষণিক পানি গরম করে। স্টোরেজ গিজার পানি ধরে রাখে এবং গরম রাখে। ইনস্ট্যান্ট সাশ্রয়ী এবং স্পেস সেভ করে।
গিজার ইনস্টলেশনে কত টাকা খরচ হয়?
গিজার ইনস্টলেশনে ৫০০-২,০০০ টাকা খরচ হয়। ছোট মডেল কম এবং বড় মডেল বেশি খরচ হয়। অনেক শোরুম ক্রয়ের সাথে ফ্রি ইনস্টল দেয়।
গিজারের আয়ুষ্কাল কত বছর?
সঠিক রক্ষণাবেক্ষণে গিজার ৫-১০ বছর টিকে থাকে। মানসম্পন্ন ব্র্যান্ড দীর্ঘস্থায়ী হয়। নিয়মিত পরিষ্কার এবং সার্ভিসিং আয়ু বাড়ায়।
ইলেকট্রিক গিজার কি নিরাপদ?
হ্যাঁ, ইলেকট্রিক গিজার সম্পূর্ণ নিরাপদ। সেফটি ফিচার এবং থার্মোস্ট্যাট থাকে। সঠিক ইনস্টলেশন এবং ব্যবহারে কোনো ঝুঁকি নেই।
বাজেট ফ্রেন্ডলি ইলেকট্রিক গিজার কোনটি?
মিনিস্টার, নোভা এবং ভিশন বাজেট ফ্রেন্ডলি। ৩,০০০-৬,০০০ টাকায় ভালো মানের গিজার পাওয়া যায়। দেশি ব্র্যান্ড সাশ্রয়ী এবং কার্যকর।
গিজার কোথায় কিনলে সেরা ডিল পাওয়া যায়?
অথরাইজড ডিলার এবং শোরুম থেকে কিনুন। অনলাইন শপিং সাইটে ছাড় পাওয়া যায়। দাম তুলনা করে সেরা অফার বেছে নিন।
🔥 পোস্টটি শেয়ার করুনঃ 🌍