
আজকের যুগে ইলেকট্রিক আইটেম আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিটি ঘরে বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থাকে। তবে সঠিক পণ্য নির্বাচন করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।
বাজারে হাজারো রকমের ইলেকট্রিক পণ্য পাওয়া যায়। কিন্তু কোনটি ভালো? কোনটি দাম অনুযায়ী সাশ্রয়ী? এই প্রশ্নগুলো প্রায় সবার মনেই থাকে।
সেজন্য আজকের এই লেখায় আমি বিস্তারিত আলোচনা করব। সেরা ইলেকট্রিক আইটেম নিয়ে সব ধরনের তথ্য জানতে পারবেন। পাশাপাশি দাম, গুণমান এবং নিরাপত্তার বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা পাবেন।
ঘরের ইলেকট্রিক আইটেম
ঘরের ইলেকট্রিক আইটেম বলতে মূলত দৈনন্দিন ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো বোঝায়। এর মধ্যে রয়েছে ফ্যান, লাইট, ফ্রিজ, টিভি। এছাড়াও অনেক ছোট যন্ত্রও রয়েছে।
রান্নাঘরে সবচেয়ে বেশি ইলেকট্রিক পণ্য ব্যবহার হয়। চুলা থেকে শুরু করে মিক্সার, ব্লেন্ডার সব কিছুই। তাই রান্নাঘরের জন্য ইলেকট্রিক আইটেম নির্বাচনে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন।
বেডরুমেও বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি থাকে। এয়ার কন্ডিশনার, হিটার, এয়ার পিউরিফায়ার এগুলো বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু প্রতিটি পণ্যের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
ড্রয়িং রুমে টেলিভিশন, সাউন্ড সিস্টেম থাকে। এগুলো বিনোদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে ঘরের ইলেকট্রিক সামগ্রী কেনার সময় বিদ্যুৎ খরচের দিকেও নজর দিতে হবে।
বাথরুমেও ইলেকট্রিক জিনিস প্রয়োজন হয়। গিজার, এক্সহস্ট ফ্যান, হেয়ার ড্রায়ার এগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয়। সুতরাং প্রতিটি রুমের জন্য আলাদা পরিকল্পনা দরকার।
বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির নাম
বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির নাম জানা থাকলে কেনাকাটা সহজ হয়। মূল যন্ত্রগুলোর মধ্যে রেফ্রিজারেটর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি খাবার সংরক্ষণের জন্য অপরিহার্য।
এয়ার কন্ডিশনার গরমের দিনে জরুরি। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের AC বাজারে পাওয়া যায়। স্প্লিট, উইন্ডো, ইনভার্টার – এসব টাইপ রয়েছে।
ওয়াশিং মেশিন কাপড় পরিষ্কারের কাজে ব্যবহৃত হয়। ফুল অটোমেটিক, সেমি অটোমেটিক দুই ধরনের পাওয়া যায়। প্রযুক্তির উন্নতিতে এখন স্মার্ট ওয়াশিং মেশিনও এসেছে।
মাইক্রোওয়েভ ওভেন রান্নার জন্য দারুণ। খুব তাড়াতাড়ি খাবার গরম করা যায়। তাছাড়া বেকিং, গ্রিলিংও করা যায়।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ঘর পরিষ্কারের কাজে লাগে। ধুলাবালি সহজেই পরিষ্কার হয়। আজকাল রোবোটিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারও পাওয়া যাচ্ছে।
ইনডাকশন কুকার, প্রেশার কুকার, রাইস কুকার রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় যন্ত্র। এগুলো সময় ও গ্যাস সাশ্রয় করে। বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষের জন্য এসব বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির নাম মনে রাখা উচিত।
ইলেকট্রিক আইটেম এর দাম
ইলেকট্রিক আইটেম এর দাম নির্ভর করে ব্র্যান্ড, গুণমান আর ফিচারের উপর। বাজেট অনুযায়ী সব ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। তবে খুব সস্তা পণ্য কিনলে সমস্যা হতে পারে।
রেফ্রিজারেটরের দাম ১৫ হাজার থেকে শুরু। ভালো ব্র্যান্ডের দাম ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ পর্যন্ত। সাইজ আর ফিচার অনুযায়ী দাম বাড়ে।
এয়ার কন্ডিশনারের ক্ষেত্রেও একই কথা। ছোট রুমের জন্য ২৫ হাজার টাকায় AC পাওয়া যায়। বড় রুম বা হল রুমের জন্য ৭৫ হাজার থেকে ১.৫ লাখ পর্যন্ত লাগতে পারে।
ওয়াশিং মেশিনের দাম শুরু হয় ১২ হাজার টাকা থেকে। ফুল অটোমেটিকের দাম একটু বেশি। ভালো ব্র্যান্ডের ফুল অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিন ৪০-৬০ হাজার টাকায় পাওয়া যায়।
মাইক্রোওয়েভ ওভেন ৮ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। কনভেকশন ওভেনের দাম একটু বেশি। তবে ইলেকট্রিক পণ্যের দাম সব সময় ওঠানামা করে।
ছোট যন্ত্রপাতির দাম তুলনামূলক কম। ব্লেন্ডার ২ হাজার থেকে ১০ হাজার। আয়রন ১ হাজার থেকে ৫ হাজার। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী কিনতে হবে।
সাশ্রয়ী ইলেকট্রিক আইটেম
সাশ্রয়ী ইলেকট্রিক আইটেম মানেই যে মানসম্মত নয়, তা নয়। অনেক ভালো ব্র্যান্ডের পণ্য কম দামেও পাওয়া যায়। মূল কথা হলো সঠিক সময়ে সঠিক পণ্য কেনা।
ফেস্টিভ্যাল সিজনে অনেক ছাড় পাওয়া যায়। দুর্গাপূজা, ঈদ, পহেলা বৈশাখের সময় প্রায় সব কোম্পানি অফার দেয়। এই সময়টা কেনাকাটার জন্য উপযুক্ত।
অনলাইন শপিং করলেও সাশ্রয় হয়। দারাজ, চালদাল, অজকার ডিল এসব সাইটে নিয়মিত ডিসকাউন্ট থাকে। তাছাড়া ক্যাশব্যাকও পাওয়া যায়।
স্থানীয় ব্র্যান্ডের পণ্য কিনলেও দাম কম পড়ে। ওয়ালটন, সিঙ্গার, জেমিনি এসব ব্র্যান্ডের মান ভালো। আর দামও বিদেশি ব্র্যান্ডের চেয়ে কম।
রিকন্ডিশন বা সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য কিনলেও সাশ্রয় হয়। তবে এক্ষেত্রে ভালোভাবে চেক করে নিতে হবে। ওয়ারেন্টি আছে কিনা দেখতে হবে।
এনার্জি এফিসিয়েন্ট মডেল কিনলে বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় হয়। শুরুতে দাম একটু বেশি মনে হলেও পরে লাভ। কারণ সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক জিনিস মানেই দীর্ঘমেয়াদি সাশ্রয়।
ঘর সাজানোর ইলেকট্রিক আইটেম
ঘর সাজানোর ইলেকট্রিক আইটেম এখন খুবই জনপ্রিয়। শুধু প্রয়োজন মেটানো নয়, ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিও করে। আধুনিক ডিজাইনের পণ্যগুলো দেখতে খুবই আকর্ষণীয়।
LED লাইট ঘর সাজানোর প্রধান উপাদান। রঙিন লাইট, স্মার্ট বাল্ব দিয়ে ঘরে আলাদা পরিবেশ তৈরি করা যায়। ছাদের লাইট থেকে ওয়াল লাইট সব রকম পাওয়া যায়।
ডিজাইনার ফ্যান ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়। সিলিং ফ্যান, ওয়াল ফ্যানের নতুন নতুন ডিজাইন বাজারে এসেছে। রিমোট কন্ট্রোল, LED লাইট সহ ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে।
হোম থিয়েটার সিস্টেম ঘরকে বিনোদনের কেন্দ্র করে তোলে। সাউন্ড বার, সাবউফার দিয়ে সিনেমা হলের মতো অনুভূতি পাওয়া যায়। পরিবারের সবাই একসাথে উপভোগ করতে পারে।
এয়ার পিউরিফায়ার বাতাস পরিষ্কার রাখে। আর দেখতেও সুন্দর। বিভিন্ন সাইজে পাওয়া যায়। অ্যারোমা ডিফিউজার দিয়ে ঘরে সুগন্ধও ছড়ানো যায়।
স্মার্ট হোম গ্যাজেট এখনকার ট্রেন্ড। ভয়েস কন্ট্রোল স্পিকার, স্মার্ট প্লাগ, মোশন সেন্সর লাইট সব মিলিয়ে ঘরকে স্মার্ট করে তোলা যায়। ঘর সাজানোর ইলেকট্রিক পণ্যের অভাব নেই বাজারে।
ইলেকট্রিক আইটেম এর তালিকা
ইলেকট্রিক আইটেম এর তালিকা অনেক লম্বা। প্রতিটি রুমের জন্য আলাদা তালিকা তৈরি করা যায়। রান্নাঘরের তালিকা দিয়ে শুরু করি।
রান্নাঘরে প্রয়োজনীয় যন্ত্র: ইনডাকশন কুকার, প্রেশার কুকার, রাইস কুকার, মিক্সার, ব্লেন্ডার, জুসার, টোস্টার, কেটলি, কফি মেকার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন। এছাড়া চিমনি, ডিশ ওয়াশার, ওয়াটার পিউরিফায়ারও লাগতে পারে।
বেডরুমের তালিকায় রয়েছে: এয়ার কন্ডিশনার, হিটার, এয়ার পিউরিফায়ার, হিউমিডিফায়ার, টেবিল ল্যাম্প, নাইট ল্যাম্প, এলার্ম ক্লক, হেয়ার ড্রায়ার। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছোট টিভিও রাখা হয়।
লিভিং রুমের প্রয়োজনীয় জিনিস: টেলিভিশন, হোম থিয়েটার, এয়ার কন্ডিশনার, এয়ার কুলার, সিলিং ফ্যান, ফ্লোর ল্যাম্প। আরো আছে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, আয়রন, গেমিং কনসোল।
বাথরুমের তালিকা: গিজার, এক্সহস্ট ফ্যান, হেয়ার ড্রায়ার, ইলেকট্রিক শেভার, ওয়াটার হিটার। ওয়াশিং এরিয়াতে ওয়াশিং মেশিন, ড্রায়ার থাকে।
বারান্দায় বা ছাদে স্যাটেলাইট ডিশ, সোলার প্যানেল, ওয়াটার পাম্প থাকতে পারে। ইলেকট্রিক জিনিসের তালিকা এভাবেই অসংখ্য।
বাসার জন্য দরকারি ইলেকট্রিক আইটেম
বাসার জন্য দরকারি ইলেকট্রিক আইটেম নির্বাচন করার সময় প্রাথমিক প্রয়োজনগুলো আগে চিন্তা করতে হবে। ফ্রিজ, ফ্যান, লাইট এগুলো ছাড়া চলে না।
নতুন বাসায় প্রথমেই ফ্রিজ কিনতে হয়। খাবার সংরক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী সাইজ নির্বাচন করতে হবে। সিঙ্গেল ডোর বা ডাবল ডোর যেটা প্রয়োজন।
প্রতিটি রুমে কমপক্ষে একটি ফ্যান লাগবে। সিলিং ফ্যান সবচেয়ে কার্যকর। তবে টেবিল ফ্যান বা স্ট্যান্ড ফ্যানও রাখা যায়। গরমের দেশ বলে ফ্যান ছাড়া কষ্ট।
লাইটিং সিস্টেম ভালো হতে হবে। LED বাল্ব, টিউব লাইট, ডাউন লাইট সব মিলিয়ে ঘর উজ্জ্বল রাখতে হবে। পড়াশোনার জন্য টেবিল ল্যাম্পও দরকার।
টিভি আজকাল অত্যাবশ্যক। খবর দেখা থেকে বিনোদন সব কিছুর জন্য। স্মার্ট টিভি কিনলে ইন্টারনেটে সিনেমা, গান দেখা যায়। নেটফ্লিক্স, ইউটিউব সব দেখা যায়।
ওয়াশিং মেশিন কাপড় ধোয়ার কষ্ট কমায়। বিশেষ করে কর্মজীবী পরিবারের জন্য খুবই জরুরি। বাসার জন্য দরকারি ইলেকট্রিক সামগ্রীর মধ্যে এগুলো প্রাথমিক।
নিরাপদ ইলেকট্রিক আইটেম
নিরাপদ ইলেকট্রিক আইটেম নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেফটি সার্টিফিকেট আছে এমন ব্র্যান্ড কিনতে হবে। BSTI অনুমোদিত পণ্য নিরাপদ।
পণ্য কেনার সময় ওয়ারেন্টি কার্ড ভালোভাবে চেক করুন। কোম্পানির সার্ভিস সেন্টার কোথায় তাও জেনে নিন। সমস্যা হলে সার্ভিস পেতে সুবিধা হবে।
বিদ্যুতের তার ও প্লাগ ভালো মানের হতে হবে। সস্তা তার বা প্লাগ ব্যবহার করলে দুর্ঘটনা হতে পারে। আর্থিং সিস্টেম ঠিক আছে কিনা দেখুন।
অতিরিক্ত গরম হয় এমন পণ্য সাবধানে ব্যবহার করুন। হিটার, আয়রন, গিজার এসব নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ব্যবহারের পর অবশ্যই বন্ধ করে দিন।
বাচ্চাদের নাগালের বাইরে বিপজ্জনক যন্ত্র রাখুন। চাইল্ড লক ফিচার আছে এমন পণ্য কিনুন। বিশেষ করে মাইক্রোওয়েভ, ইনডাকশন কুকারে এই সুবিধা থাকে।
পানির কাছে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো আলাদা সাবধানতা চায়। ওয়াটারপ্রুফ রেটিং দেখে কিনুন। বাথরুমে ব্যবহৃত যন্ত্রের ক্ষেত্রে এটা জরুরি। নিরাপদ ইলেকট্রিক পণ্যের বিষয়ে কখনো আপস করবেন না।
ফ্ল্যাটের জন্য ইলেকট্রিক আইটেম
ফ্ল্যাটের জন্য ইলেকট্রিক আইটেম নির্বাচনে জায়গার সীমাবদ্ধতা মাথায় রাখতে হবে। কমপ্যাক্ট সাইজের পণ্য বেশি উপযোগী। মাল্টি-ফাংশনাল যন্ত্র কিনলে জায়গা সাশ্রয় হয়।
ছোট ফ্রিজ ফ্ল্যাটের জন্য আদর্শ। ২০০-৩০০ লিটারের রেফ্রিজারেটর যথেষ্ট। ডাবল ডোর না কিনে সিঙ্গেল ডোর কিনলে জায়গা কম লাগে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী নিতে হবে।
ওয়াল মাউন্ট এয়ার কন্ডিশনার ফ্ল্যাটে ভালো। জায়গা কম নেয় আর দেখতেও সুন্দর। পোর্টেবল AC-ও একটা অপশন। প্রয়োজন অনুযায়ী এক রুম থেকে আরেক রুমে নেওয়া যায়।
সেমি-অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিন ছোট ফ্ল্যাটে বেশি সুবিধাজনক। কম জায়গা নেয় আর দাম কম। তবে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হয়।
ইনভার্টার মাইক্রোওয়েভ কনভেনশনাল ওভেনের কাজও করে। আলাদা ওভেন কেনার দরকার নেই। গ্রিলিং, বেকিং, রোস্টিং সব করা যায়।
পোর্টেবল ইনডাকশন কুকার ফ্ল্যাটে জরুরি। গ্যাসের ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করে। আর রান্নাও দ্রুত হয়। ফ্ল্যাটের জন্য ইলেকট্রিক আইটেম বাছাইয়ে স্পেস অপটিমাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ।
বাজারে পাওয়া সেরা ইলেকট্রিক আইটেম
বাজারে পাওয়া সেরা ইলেকট্রিক আইটেম এর তালিকা নিয়মিত আপডেট হয়। প্রযুক্তির উন্নতিতে নতুন নতুন ফিচার যোগ হচ্ছে। ভোক্তাদের পছন্দও পাল্টাচ্ছে।
বর্তমানে স্মার্ট যন্ত্রগুলো বেশি জনপ্রিয়। স্মার্ট টিভি, স্মার্ট AC, স্মার্ট ফ্রিজ সবই পাওয়া যাচ্ছে। মোবাইল দিয়ে কন্ট্রোল করা যায়। দূর থেকে অন-অফ করা সম্ভব।
ইনভার্টার টেকনোলজি এখন স্ট্যান্ডার্ড। বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে আর কম আওয়াজ করে। AC, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিনে ইনভার্টার ফিচার থাকে।
এনার্জি স্টার রেটিং দেখে পণ্য কিনুন। ৫ স্টার রেটিং মানে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচ। শুরুতে দাম বেশি মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়।
ভয়েস কন্ট্রোল ফিচার এখন অনেক যন্ত্রে আছে। আলেকজা, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করা যায়। হাত না লাগিয়েই কন্ট্রোল করা যায়।
ব্র্যান্ড নির্বাচনে সতর্ক থাকুন। স্যামসাং, এলজি, হায়ার, ওয়ালটন, সিঙ্গার এসব নামী ব্র্যান্ড। আফটার সেলস সার্ভিস ভালো পাবেন। বাজারে পাওয়া সেরা বৈদ্যুতিক জিনিস সম্পর্কে রিভিউ পড়ে কিনুন।
উপসংহার
ইলেকট্রিক আইটেম আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে। সঠিক নির্বাচন করলে টাকার পূর্ণ মূল্য পাওয়া যায়। দাম, গুণমান, নিরাপত্তা – এই তিন বিষয়ে সমন্বয় করতে হবে।
আগে চাহিদা নির্ধারণ করুন। তারপর বাজেট ঠিক করুন। ব্র্যান্ড নির্বাচনে তাড়াহুড়ো করবেন না। একাধিক ব্র্যান্ডের সাথে তুলনা করুন।
এনার্জি এফিসিয়েন্ট মডেল কিনুন। পরিবেশবান্ধব পণ্য নির্বাচন করুন। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কিনুন। প্রযুক্তির উন্নতিতে নতুন ফিচার আসছে।
ওয়ারেন্টি ও সার্ভিস সেন্টারের বিষয়ে নিশ্চিত হন। নিরাপত্তার সাথে কোনো আপস করবেন না। সঠিক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ করলে যন্ত্রের আয়ু বাড়ে।
সব মিলিয়ে ইলেকট্রিক আইটেম কেনার আগে ভালো রিসার্চ করুন। বিক্রেতার পরামর্শ নিন। তবে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নিন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী(FAQs)
কোন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক আইটেম সবচেয়ে ভালো?
একক কোনো ব্র্যান্ড সব পণ্যে সেরা নয়। তবে স্যামসাং, এলজি, হায়ার আন্তর্জাতিক মানের। ওয়ালটন, সিঙ্গার স্থানীয় ব্র্যান্ডের মধ্যে ভালো। প্রতিটি পণ্যের জন্য আলাদা রিসার্চ দরকার।
ইলেকট্রিক পণ্যের দাম কীভাবে কম পাওয়া যায়?
অনলাইন শপিং করুন। ফেস্টিভ্যাল সিজনে কিনুন। রিকন্ডিশন পণ্য বিবেচনা করুন। স্থানীয় ব্র্যান্ড দেখুন। একসাথে কয়েকটি পণ্য কিনলে ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়।
নিরাপদ ইলেকট্রিক পণ্য চেনার উপায় কী?
BSTI অনুমোদিত লোগো দেখুন। ওয়ারেন্টি কার্ড চেক করুন। সার্ভিস সেন্টার আছে কিনা জানুন। তার ও প্লাগের মান ভালো হতে হবে। নামী দোকান থেকে কিনুন।
ছোট ফ্ল্যাটের জন্য কোন যন্ত্রগুলো জরুরি?
ছোট রেফ্রিজারেটর, ওয়াল মাউন্ট AC, সেমি-অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিন, কম্বিনেশন মাইক্রোওয়েভ, পোর্টেবল ইনডাকশন কুকার। মাল্টি-ফাংশনাল যন্ত্র বেশি উপযোগী।
ইলেকট্রিক আইটেম কেনার সময় কী কী বিষয় দেখতে হবে?
ব্র্যান্ডের বিশ্বস্ততা, ওয়ারেন্টি পিরিয়ড, সার্ভিস নেটওয়ার্ক, এনার্জি রেটিং, নিরাপত্তা সার্টিফিকেট, দাম তুলনা, পণ্যের রিভিউ। এই সব বিষয় একসাথে দেখে সিদ্ধান্ত নিন।
বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য কী ধরনের যন্ত্র কিনব?
৫ স্টার এনার্জি রেটিং যন্ত্র কিনুন। ইনভার্টার টেকনোলজি থাকলে ভালো। LED লাইট ব্যবহার করুন। স্মার্ট যন্ত্র অনেক সময় নিজে নিজে বন্ধ হয়ে যায়।
ওয়ারেন্টি শেষ হলে সার্ভিসের খরচ কেমন?
নামী ব্র্যান্ডের পার্টস সহজেই পাওয়া যায়। স্থানীয় ব্র্যান্ডের সার্ভিস চার্জ কম। কমন পার্টস যেমন কম্প্রেসর, মোটর এসব দামী। নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে সার্ভিসের প্রয়োজন কম হয়।
অনলাইনে ইলেকট্রিক পণ্য কেনা নিরাপদ?
নির্ভরযোগ্য সাইট থেকে কিনুন। রিটার্ন পলিসি দেখুন। সার্ভিস সেন্টার কোথায় তা জেনে নিন। পেমেন্টের সময় সিকিউর গেটওয়ে ব্যবহার করুন। অনেক সময় অনলাইনে দাম কম থাকে।
পুরাতন যন্ত্র বদলানোর সময় কী করব?
এক্সচেঞ্জ অফার দেখুন। পুরাতন যন্ত্র বিক্রি করে দিন। স্ক্র্যাপ ডিলারের কাছে ভালো দাম পাবেন। কিছু কোম্পানি বাই-ব্যাক অফার দেয়। পরিবেশের কথা ভেবে সঠিক জায়গায় ফেলুন।
ইলেকট্রিক আইটেমের আয়ুষ্কাল কতদিন?
ভালো ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর ১০-১৫ বছর চলে। AC ৮-১২ বছর। ওয়াশিং মেশিন ১০-১৫ বছর। নিয়মিত পরিষ্কার ও সার্ভিস করলে আয়ু বাড়ে। ওভারলোড না দিলে বেশি দিন ভালো থাকে।
🔥 পোস্টটি শেয়ার করুনঃ 🌍