কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর: দায়িত্ব, কার্যক্রম ও ভর্তির তথ্য

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এর প্রধান কার্যালয় ভবন, ঢাকা

আধুনিক বিশ্বে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার মূল নিয়ন্ত্রক সংস্থা এটি। তাই আজকের এই নিবন্ধে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সকল দিক নিয়ে।

প্রতিটি শিক্ষার্থী জানতে চায় কারিগরি শিক্ষার সুবিধা। অনেকেই প্রশ্ন করেন ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে। তাছাড়া কর্মসংস্থানের সুযোগও জানতে হয়। এই নিবন্ধটি পড়ে আপনি পাবেন সম্পূর্ণ গাইডলাইন।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড দেশের কারিগরি শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ করে। এই বোর্ড পরিচালনা করে সকল পরীক্ষা। তাছাড়া শিক্ষাক্রম প্রণয়নেও এর ভূমিকা রয়েছে।

বোর্ডের প্রধান দায়িত্ব হলো শিক্ষার মান বজায় রাখা। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনও এই বোর্ডের কাজ। আবার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশও করে বোর্ড। এই কারণেই বোর্ডের গুরুত্ব অপরিসীম।

শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট পায় এই বোর্ড থেকে। ফলে কর্মক্ষেত্রে এর স্বীকৃতি রয়েছে। অতএব, যারা কারিগরি শিক্ষায় আগ্রহী তাদের জানতে হবে বোর্ডের নিয়মকানুন।

কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা

সারাদেশে অসংখ্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ কম।

ঢাকায় রয়েছে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এটি দেশের অন্যতম প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রামে আছে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। রাজশাহী, সিলেট, বরিশালেও উন্নত মানের প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে সরকারি পলিটেকনিক আছে। উপজেলা পর্যায়েও টেকনিক্যাল স্কুল কলেজ রয়েছে। ফলে সবার জন্য শিক্ষার সুবিধা নিশ্চিত হয়েছে।

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং একটি জনপ্রিয় কোর্স। এই কোর্সের মেয়াদ চার বছর। তবে কিছু বিষয়ে তিন বছরের কোর্সও রয়েছে। এই ডিগ্রি পেলে ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে চাকরির সুযোগ বাড়ে।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয়। এর পরে রয়েছে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। মেকানিক্যাল, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স বিষয়েও ভাল চাহিদা আছে।

প্রতিটি বিষয়ে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক পাঠ রয়েছে। এই কারণে শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে শেখে। তাছাড়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংও বাধ্যতামূলক। ফলে কর্মক্ষেত্রে তারা দক্ষ হয়ে ওঠে।

ভোকেশনাল শিক্ষা

ভোকেশনাল শিক্ষা বলতে বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে বোঝায়। এই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা। বিভিন্ন ট্রেডে এই শিক্ষা দেওয়া হয়।

রান্নাবান্না থেকে শুরু করে অটোমোবাইল পর্যন্ত সব বিষয়ে ভোকেশনাল কোর্স আছে। এই কোর্সের মেয়াদ ছয় মাস থেকে দুই বছর। তবে কিছু কোর্স একবছরের হয়।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কম সময়ে দক্ষতা অর্জন। এর পরেই চাকরির বাজারে প্রবেশ করা যায়। তাছাড়া খরচও কম লাগে। অতএব, যারা তাড়াতাড়ি কাজে ঢুকতে চান তাদের জন্য এটি আদর্শ।

বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষা

বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার অধীনে ল্যাবরেটরিতে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ

বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার ইতিহাস অনেক পুরানো। ব্রিটিশ আমল থেকেই এই শিক্ষার প্রচলন শুরু। তবে স্বাধীনতার পর এর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।

বর্তমানে দেশে ৬৪টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে। এছাড়া শতাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে। প্রতি বছর লাখো শিক্ষার্থী ভর্তি হয় এসব প্রতিষ্ঠানে।

সরকার কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপন হচ্ছে। আধুনিক যন্ত্রপাতিও সংযোজন করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের ফলে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

দেশের বিভিন্ন স্থানে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে স্বল্পমেয়াদী কোর্স চালু আছে। মূলত বেকার যুবকদের দক্ষ করার জন্য এই কেন্দ্র স্থাপিত।

প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্যে কোর্স দেওয়া হয়। এমনকি কিছু কেন্দ্রে বৃত্তিও প্রদান করা হয়। এই কারণে দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা উপকৃত হয়।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই কেন্দ্রগুলোকে সহায়তা করে। ফলে আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া প্রশিক্ষণ শেষে চাকরির ব্যবস্থাও করা হয়। এভাবে বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা রাখে।

কারিগরি শিক্ষা ভর্তি প্রক্রিয়া

কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা লাগে। এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস করতে হয়। তবে কিছু বিষয়ে জিপিএ ৩.৫ প্রয়োজন।

ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়। এই পরীক্ষায় গণিত ও বিজ্ঞানে জোর দেওয়া হয়। ইংরেজি ও বাংলায়ও প্রশ্ন থাকে। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম তৈরি হয়।

অনলাইনে আবেদন করতে হয় ভর্তির জন্য। নির্দিষ্ট ফি জমা দিতে হয়। তারপর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। সফল হলে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে বিভাগ নির্বাচন করা যায়।

ডিটিই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি

প্রতি বছর ডিটিই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। এই বিজ্ঞপ্তিতে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের এটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের তারিখ উল্লেখ থাকে। পরীক্ষার তারিখও জানানো হয়। আবেদনের নিয়মকানুন বিস্তারিত লেখা থাকে। তাছাড়া ফিসের পরিমাণও উল্লেখ করা হয়।

সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। জুন-জুলাই মাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগস্ট মাসে ক্লাস শুরু হয়। এই সময়সূচী মেনে চলতে হয় সবাইকে।

কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব

আধুনিক যুগে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। শিল্পায়নের সাথে সাথে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা বাড়ছে। এই চাহিদা পূরণে কারিগরি শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

কারিগরি শিক্ষা গ্রহণকারীরা সহজে চাকরি পান। তাদের বেতনও ভাল হয়। উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগও বেশি। নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে সফল হয়েছেন অনেকে।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার ভূমিকা বিশাল। রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে এর অবদান রয়েছে। বিদেশে কাজের সুযোগও বেশি। এইভাবে দেশ ও ব্যক্তি উভয়েই উপকৃত হয়।

সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

বাংলাদেশে ৬৪টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে। এগুলো দেশের বিভিন্ন বিভাগে ছড়িয়ে আছে। প্রতিটি ইনস্টিটিউটে অভিজ্ঞ শিক্ষক রয়েছেন।

সরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ার খরচ কম। এছাড়া সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা রয়েছে। লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরির সুবিধাও ভাল। হোস্টেল সুবিধা পাওয়া যায় অনেক প্রতিষ্ঠানে।

তবে ভর্তির প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। মেধাতালিকায় ভাল অবস্থান প্রয়োজন। কিন্তু একবার ভর্তি হলে উন্নত মানের শিক্ষা পাওয়া যায়। এইজন্য অনেকেই সরকারি প্রতিষ্ঠান পছন্দ করেন।

কারিগরি শিক্ষার কোর্স সমূহ

কারিগরি শিক্ষার কোর্স সমূহ নিয়ে ক্লাসরুমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সক্রিয় পাঠদান

কারিগরি শিক্ষায় বিভিন্ন ধরনের কোর্স রয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সবচেয়ে জনপ্রিয়। এর পরে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংও চাহিদা রয়েছে।

আধুনিক সময়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং খুব জনপ্রিয়। ইলেকট্রনিক্স, টেলিকমিউনিকেশন বিষয়েও ভর্তি হয় অনেকে। এছাড়া এনভায়রনমেন্টাল, ফুড, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স আছে।

প্রতিটি কোর্সে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় পড়ানো হয়। ব্যবহারিক কাজে জোর দেওয়া হয়। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং বাধ্যতামূলক। এইভাবে শিক্ষার্থীরা দক্ষ হয়ে ওঠে।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এর দায়িত্ব

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এর প্রধান দায়িত্ব হলো নীতিমালা প্রণয়ন। শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণও এর কাজ। নতুন প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয় এই অধিদপ্তর।

শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণে ভূমিকা রাখে। শিক্ষাক্রম আপডেট করার দায়িত্বও রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। তাছাড়া বাজেট বরাদ্দের কাজও করে।

বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গ্রহণেও অগ্রণী ভূমিকা রাখে। এভাবে দেশের কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নে নেতৃত্ব দেয়।

ডিপ্লোমা কোর্সের মেয়াদ

বেশিরভাগ ডিপ্লোমা কোর্সের মেয়াদ চার বছর। তবে কিছু বিষয়ে তিন বছরের কোর্স রয়েছে। মেডিকেল টেকনোলজি বিষয়ে সাড়ে তিন বছরের কোর্স আছে।

প্রতি বছর দুটি সেমিস্টার থাকে। মোট আট সেমিস্টারে কোর্স সম্পন্ন হয়। প্রতি সেমিস্টারে পরীক্ষা দিতে হয়। সব পরীক্ষায় পাস করলেই সার্টিফিকেট পাওয়া যায়।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ছয় মাসের। এটি সাধারণত শেষ বর্ষে করতে হয়। প্রজেক্ট ওয়ার্কও বাধ্যতামূলক। এইভাবে সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করতে হয়।

ডিটিই অফিসের ঠিকানা

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এর প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। আগারগাঁও এলাকায় এর অবস্থান। এখানে সকল প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন হয়।

বিভাগীয় শহরগুলোতে আঞ্চলিক অফিস রয়েছে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহে শাখা অফিস আছে। জেলা পর্যায়েও প্রতিনিধি রয়েছে।

অনলাইনে অনেক সেবা পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। হটলাইন নম্বরেও যোগাযোগ করা যায়। এভাবে সহজে সেবা পাওয়া সম্ভব।

কারিগরি শিক্ষায় চাকরির সুযোগ

কারিগরি শিক্ষা গ্রহণকারীদের চাকরির সুযোগ অনেক বেশি। সরকারি চাকরিতে বিশেষ কোটা রয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও চাহিদা বেশি।

ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিগুলোতে প্রচুর চাকরি আছে। পাওয়ার সেক্টরে দক্ষ জনবলের প্রয়োজন। টেলিকম শিল্পেও সুযোগ রয়েছে। নির্মাণ শিল্পে কাজের অভাব নেই।

বিদেশে কাজের সুযোগও ভাল। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশি টেকনিশিয়ানদের চাহিদা বেশি। ইউরোপ-আমেরিকাতেও যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এভাবে ক্যারিয়ার গড়ার সুবিধা অনেক।

উপসংহার

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদণ্ড। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হচ্ছে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সুবিধা রয়েছে কারিগরি শিক্ষায়। কম খরচে উন্নত মানের শিক্ষা পাওয়া যায়। চাকরির নিশ্চয়তাও বেশি। তাই আরো বেশি মানুষকে এই শিক্ষায় আগ্রহী হতে হবে।

সরকার কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপন হচ্ছে। আধুনিক সুবিধা যুক্ত করা হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে।

বিশ্বমানের কারিগরি শিক্ষা গড়ে তুলতে হবে। তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা যাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি দেশ গড়া সম্ভব হবে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী(FAQs)

কারিগরি শিক্ষার পর চাকরির সুযোগ কেমন?

চাকরির সুযোগ অনেক ভাল। সরকারি ও বেসরকারি উভয় সেক্টরে চাহিদা রয়েছে। বিদেশেও কাজের সুযোগ আছে।

কোন বিষয়ে পড়লে বেশি চাকরি পাওয়া যায়?

সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চাকরির সুযোগ বেশি। তবে সব বিষয়েই কাজের সুযোগ রয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষায় কি ধরনের প্রশ্ন আসে?

গণিত, পদার্থ, রসায়ন, ইংরেজি ও বাংলা বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। মূলত এসএসসি পর্যায়ের সিলেবাস থেকে প্রশ্ন করা হয়।

মেয়েরা কি কারিগরি শিক্ষায় পড়তে পারে?

অবশ্যই পারে। মেয়েদের জন্য আলাদা কোটা রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের হোস্টেল সুবিধাও আছে।

ডিপ্লোমার পর কি আরো পড়াশোনা করা যায়?

হ্যাঁ, ডিপ্লোমার পর বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি তৃতীয় বর্ষে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেটের মান কেমন?

সরকারি স্বীকৃতি রয়েছে। বিদেশেও এর গ্রহণযোগ্যতা আছে। চাকরির ক্ষেত্রে সমান মর্যাদা পায়।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং কি বাধ্যতামূলক?

হ্যাঁ, সব কোর্সেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং বাধ্যতামূলক। এটি সাধারণত ছয় মাসের হয়। ট্রেনিং ব্যতীত ডিগ্রি পাওয়া যায় না।

কারিগরি শিক্ষায় বৃত্তির সুবিধা আছে কি?

মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি রয়েছে। সরকারি ও বিভিন্ন সংস্থার বৃত্তি পাওয়া যায়। আবেদনের মাধ্যমে বৃত্তি পাওয়া সম্ভব।

ভর্তির জন্য কি যোগ্যতা প্রয়োজন?

এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কিছু বিষয়ে জিপিএ ৩.৫ লাগে। গণিত ও বিজ্ঞানে ভাল নম্বর থাকতে হবে।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কত বছরের কোর্স?

সাধারণত চার বছরের কোর্স। তবে কিছু বিষয়ে তিন বছরের কোর্স রয়েছে। মেডিকেল টেকনোলজিতে সাড়ে তিন বছর।

কারিগরি শিক্ষায় পড়ার খরচ কেমন?

সরকারি প্রতিষ্ঠানে খরচ কম। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেশি খরচ। তবে বৃত্তির সুবিধা রয়েছে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য।

🔥 পোস্টটি শেয়ার করুনঃ 🌍

Scroll to Top