বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এসেছে। দৈনিক শিক্ষা এমপিও ২০২৫ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। হাজার হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই তালিকার জন্য অপেক্ষা করছিল।
এমপিও হলো মাসিক বেতন আদেশ। এটি বেসরকারি শিক্ষকদের সরকারি বেতন পাওয়ার অধিকার দেয়। প্রতি বছর নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক এই তালিকায় যুক্ত হয়। ২০২৫ সালে এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হয়েছে।
শিক্ষকরা এমপিও পেলে তাদের আর্থিক সমস্যা অনেকটা কমে যায়। সরকারি বেতন ভাতা নিয়মিত পান। এতে শিক্ষার মান উন্নত হয়। শিক্ষকরা আরও মনোযোগ দিয়ে পড়াতে পারেন।
এমপিও তালিকা ২০২৫

এমপিও তালিকা ২০২৫ প্রকাশের সাথে সাথে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। এই বছর প্রায় ৫০০০ নতুন শিক্ষক এমপিওভুক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষক রয়েছেন।
তালিকা দেখার জন্য শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে। মোবাইল দিয়েও তালিকা দেখা যায়। নিজের নাম খুঁজে পেতে রোল নম্বর বা নাম ব্যবহার করুন।
নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আগামী মাস থেকে বেতন পাবেন। বেতন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা হবে। প্রথমবার বেতন পেতে কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
তালিকায় থাকা শিক্ষকদের অভিনন্দন। যারা এবার পাননি তারা আগামী বছর আবার চেষ্টা করবেন। আবেদনের সময় সব কাগজপত্র ঠিকভাবে জমা দিন।
শিক্ষক এমপিও ২০২৫
শিক্ষক এমপিও ২০২৫ একটি বিশেষ সুযোগ। এই বছর সরকার শিক্ষা খাতে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে।
এমপিও পেতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। শিক্ষকের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে তিন বছর কাজ করতে হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠান সরকার অনুমোদিত হতে হবে।
নতুন শিক্ষকরা প্রথমে অস্থায়ী এমপিও পান। পরে স্থায়ী করা হয়। স্থায়ী হতে আরো কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে প্রক্রিয়া আগের চেয়ে দ্রুত হয়েছে।
এমপিও পাওয়া শিক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এতে শিক্ষার মান বাড়ে। শিক্ষকরা নতুন পদ্ধতিতে পড়াতে পারেন।
নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান ২০২৫
নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান ২০২৫ সালে অনেক যুক্ত হয়েছে। প্রায় ১২০০ নতুন স্কুল ও কলেজ এমপিও পেয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন সরকারি সুবিধা পাবে।
এমপিওভুক্ত হতে প্রতিষ্ঠানের বয়স কমপক্ষে তিন বছর হতে হয়। পর্যাপ্ত ছাত্র ও শিক্ষক থাকতে হয়। ভবন ও সুবিধা সরকারি মানের হতে হয়।
নতুন প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বেতন ভাতার অর্থ পাবে। শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন সরকার দেবে। এতে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক চাপ কমবে।
গ্রামের অনেক স্কুল এবার এমপিও পেয়েছে। এতে গ্রামের শিক্ষার উন্নতি হবে। বেশি ছেলেমেয়ে স্কুলে ভর্তি হবে।
এমপিও আপডেট ২০২৫
এমপিও আপডেট ২০২৫ সম্পর্কে সবার জানা দরকার। এই বছর অনেক নতুন নিয়ম এসেছে। আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন হয়। কাগজের ব্যবহার কমেছে।
আপডেট অনুযায়ী এমপিও তালিকা প্রতি তিন মাসে হালনাগাদ হবে। নতুন যোগ্য শিক্ষকরা দ্রুত তালিকায় যুক্ত হতে পারবেন। এতে অপেক্ষার সময় কমবে।
বেতন ভাতা প্রদানের নিয়মও পরিবর্তন হয়েছে। এখন সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা যাবে। মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। শিক্ষকরা নির্ধারিত সময়ে বেতন পাবেন।
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এমপিও স্ট্যাটাস চেক করা যায়। যেকোনো সময় তথ্য দেখা যায়। এতে শিক্ষকদের সুবিধা হয়েছে।
এমপিও সার্কুলার ২০২৫
এমপিও সার্কুলার ২০২৫ শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশ করেছে। এই সার্কুলারে সব নিয়মকানুন লেখা আছে। নতুন ও পুরাতন শিক্ষকদের জন্য আলাদা নির্দেশনা রয়েছে।
সার্কুলারে আবেদনের সময়সীমা উল্লেখ আছে। সাধারণত বছরে দুইবার আবেদনের সুযোগ থাকে। প্রতিবার তিন মাস সময় পাওয়া যায়। আবেদন অনলাইনে করতে হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা সার্কুলারে দেয়া আছে। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ লাগে। চাকরির অভিজ্ঞতা প্রমাণ করতে হয়। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি প্রয়োজন।
সার্কুলারের পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করা যায়। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে। প্রিন্ট করে রাখলে সুবিধা হবে।
দৈনিক শিক্ষা খবর ২০২৫
দৈনিক শিক্ষা খবর ২০২৫ সালে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে। এমপিও ছাড়াও অন্যান্য শিক্ষা সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। নতুন পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষা পদ্ধতির খবর আছে।
শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব এসেছে। সরকার শিক্ষা বাজেট বাড়িয়েছে। এতে শিক্ষা ক্ষেত্রে আরো উন্নতি হবে। নতুন স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা আছে।
ডিজিটাল শিক্ষার ব্যবস্থা আরো বাড়ানো হচ্ছে। প্রতিটি স্কুলে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হবে। শিক্ষকদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের নিয়মও পরিবর্তন হয়েছে। এখন অনলাইনে দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। মার্কশিট সংগ্রহ করতে অনেক দিন লাগে না।
বেসরকারি শিক্ষক এমপিও ২০২৫
বেসরকারি শিক্ষক এমপিও ২০২৫ একটি বড় সুযোগ। এই বছর বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আবেদনের সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষকরা এমপিও পেলে সরকারি বেতন পান। তবে তাদের প্রতিষ্ঠান সরকার স্বীকৃত হতে হয়। নিয়মিত উপস্থিতি ও ভালো ফলাফল দরকার।
এমপিও পাওয়ার পর শিক্ষকদের কিছু নিয়ম মানতে হয়। নির্ধারিত সময়ে ক্লাস নিতে হয়। ছাত্রদের ভালো ফলাফল করাতে হয়। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।
বেতন ছাড়াও অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যায়। চিকিৎসা ভাতা ও পেনশনের ব্যবস্থা আছে। ঈদ বোনাস ও উৎসব ভাতাও দেয়া হয়।
এমপিওভুক্ত স্কুল কলেজ ২০২৫
এমপিওভুক্ত স্কুল কলেজ ২০২৫ সালে অনেক বেড়েছে। সারাদেশে এখন প্রায় ৩০ হাজার এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ দুটোই রয়েছে।
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে পড়ার খরচ কম। সরকার শিক্ষকদের বেতন দেয় বলে বেতন কম নেয়া হয়। বই খাতার দামও কম। গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েরা সহজে পড়তে পারে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার মানও ভালো। যোগ্য শিক্ষকরা পড়ান। নিয়মিত পরীক্ষা ও মূল্যায়ন হয়। ফলাফলও ভালো হয়।
নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো এখন আরো সুবিধা পাবে। ল্যাবরেটরি ও লাইব্রেরির জন্য অতিরিক্ত অর্থ পাবে। খেলাধুলার সামগ্রীও কিনতে পারবে।
MPO result 2025 Bangladesh
MPO result 2025 Bangladesh এর জন্য সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। অবশেষে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। অনলাইনে ও পত্রিকায় ফলাফল দেখা যাচ্ছে।
ফলাফল দেখার জন্য কয়েকটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করা যায়। শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল সাইট সবচেয়ে বিশ্বস্ত। মোবাইলের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যায়।
এই বছর পাশের হার অনেক ভালো। প্রায় ৮৫% আবেদনকারী এমপিও পেয়েছেন। এটি আগের চেয়ে অনেক বেশি। সরকারের নতুন নীতির কারণে এমন হয়েছে।
যারা এবার সফল হননি তারা হতাশ হবেন না। পরবর্তী দফায় আবার আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদনের সময় আরো সতর্ক হন।
শিক্ষক এমপিও তালিকা দৈনিক শিক্ষা
শিক্ষক এমপিও তালিকা দৈনিক শিক্ষা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এই তালিকায় সব বিভাগের শিক্ষকদের নাম আছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট সব জেলার শিক্ষক রয়েছেন।
তালিকা জেলা অনুযায়ী সাজানো আছে। নিজের জেলার অংশ দেখে নাম খুঁজুন। নাম থাকলে এমপিও নম্বর লেখা থাকবে। এই নম্বর দিয়ে বেতন পাওয়া যাবে।
দৈনিক শিক্ষা পত্রিকা অনেক বছর ধরে এমপিও তালিকা প্রকাশ করে। শিক্ষকরা এই পত্রিকার উপর ভরসা করেন। সঠিক ও নির্ভুল তথ্য পাওয়া যায়।
তালিকায় কোনো ভুল থাকলে সংশোধনের ব্যবস্থা আছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। প্রমাণসহ আবেদন জমা দিন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২০২৫
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২০২৫ সালে নতুন মাত্রা পেয়েছে। সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়াতে চায়। গ্রাম ও শহর সব জায়গায় ভালো শিক্ষার ব্যবস্থা করতে চায়।
নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কঠোর নিয়ম মেনে চলবে। শিক্ষার মান বজায় রাখতে হবে। নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থা আছে। মান কমে গেলে এমপিও বাতিল হতে পারে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজের উপকার করে। শিক্ষার হার বাড়ে। শিক্ষিত মানুষ তৈরি হয়। দেশের উন্নতিতে অবদান রাখে।
অভিভাবকরা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে সন্তানদের ভর্তি করাতে চান। এখানে খরচ কম কিন্তু শিক্ষার মান ভালো। সবার সাধ্যের মধ্যে ভালো শিক্ষা পাওয়া যায়।
এমপিও আবেদন ফলাফল ২০২৫

এমপিও আবেদন ফলাফল ২০২৫ অবশেষে প্রকাশিত হয়েছে। হাজার হাজার শিক্ষক এই ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এবার অনেকেই সফল হয়েছেন।
ফলাফল প্রকাশের সাথে সাথে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। যারা পেয়েছেন তারা খুশি। যারা পাননি তারা পরের বার চেষ্টা করবেন। আশা হারানোর কিছু নেই।
আবেদনের পর থেকে ফলাফল পর্যন্ত অনেক ধাপ পার হতে হয়। প্রথমে যাচাই বাছাই হয়। তারপর ইন্টারভিউ নেয়া হয়। শেষে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হয়।
সফল আবেদনকারীরা এখন পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুতি নিন। কাগজপত্র সংগ্রহ করুন। নিয়োগ পত্র সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করুন।
দৈনিক শিক্ষা এমপিও তালিকা
দৈনিক শিক্ষা এমপিও তালিকা প্রকাশের দিন সবার চোখে উৎসুক্য। এই পত্রিকা অনেক বছর ধরে শিক্ষকদের সেবা করছে। নির্ভরযোগ্য ও সঠিক তথ্য প্রদান করে।
তালিকায় শিক্ষকদের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা লেখা থাকে। এমপিও নম্বর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামও উল্লেখ থাকে। সব তথ্য মিলিয়ে দেখুন।
পত্রিকার অনলাইন ভার্সনেও তালিকা পাওয়া যায়। মোবাইলে সহজেই দেখা যায়। যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় তালিকা চেক করা যায়।
তালিকায় নাম না থাকলে চিন্তার কিছু নেই। পরবর্তী দফায় আবার সুযোগ পাবেন। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন।
MPO circular 2025 pdf
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে পিডিএফ ডাউনলোড করা যায়। ফাইল সাইজ কম তাই সহজে ডাউনলোড হয়। ইন্টারনেট স্পিড কম থাকলেও সমস্যা হবে না।
সার্কুলারে আবেদনের নিয়ম, যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় কাগজের তালিকা আছে। ফি এর পরিমাণ ও জমা দেয়ার নিয়মও লেখা আছে। সব তথ্য একসাথে পাওয়া যায়।
পিডিএফ ফাইল সেভ করে রাখুন। প্রয়োজনের সময় দেখতে পারবেন। অন্যদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন।
এমপিও প্রকাশ ২০২৫
এমপিও প্রকাশ ২০২৫ একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই বছর সবচেয়ে বেশি শিক্ষক এমপিও পেয়েছেন। সরকারের শিক্ষা বান্ধব নীতির ফল এটি।
প্রকাশের দিন থেকেই শিক্ষকদের মধ্যে আনন্দের ঢেউ বইছে। পরিবার পরিজন নিয়ে খুশি উদযাপন করছেন। এতদিনের কষ্ট সার্থক হয়েছে।
এমপিও প্রকাশের সাথে সাথে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে তথ্য দেয়া হয়েছে। কোথায় কীভাবে কাগজপত্র জমা দিতে হবে সব জানানো হয়েছে।
মিডিয়া ও সংবাদ মাধ্যমেও এমপিও প্রকাশের খবর ফলাও করে প্রচার হয়েছে। টেলিভিশন ও রেডিওতে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার হচ্ছে।
উপসংহার
দৈনিক শিক্ষা এমপিও ২০২৫ প্রকাশ বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষক এমপিওভুক্ত হয়েছেন। এটি শিক্ষা উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ।
নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এখন সরকারি সুবিধা পাবেন। তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। আর্থিক নিরাপত্তা পেলে শিক্ষকরা আরো মনোযোগ দিয়ে পড়াতে পারবেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও এমপিও থেকে উপকৃত হবে। শিক্ষকদের বেতন সরকার দিলে প্রতিষ্ঠানের খরচ কমবে। সেই অর্থ ভবন ও অন্যান্য সুবিধা উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে।
এমপিও ব্যবস্থা শিক্ষার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। যোগ্য শিক্ষকরা টিকে থাকেন। অযোগ্যরা বাদ পড়ে যান।এতে শিক্ষার সার্বিক মান উন্নত হয়।
যারা এবার এমপিও পাননি তারা হতাশ হবেন না। পরবর্তী দফায় আবার চেষ্টা করুন। আবেদনের সময় আরো যত্নবান হন। সব কাগজপত্র ঠিকমতো জমা দিন।
সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে আরো বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। আগামী বছরগুলোতে আরো বেশি শিক্ষক এমপিও পাবেন। নতুন প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্ত হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দরকার। এমপিও ব্যবস্থা সেই লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
পরিশেষে বলা যায়, দৈনিক শিক্ষা এমপিও ২০২৫ একটি সফল উদ্যোগ। এটি শিক্ষকদের জীবনে নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে। শিক্ষার উন্নয়নে এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
এমপিও কী?
এমপিও মানে মাসিক বেতন আদেশ। এটি বেসরকারি শিক্ষকদের সরকারি বেতন পাওয়ার অধিকার দেয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারি শিক্ষকদের মতো বেতন ভাতা পান।
কীভাবে এমপিও তালিকা দেখব?
এমপিও তালিকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। দৈনিক শিক্ষা পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়। মোবাইল দিয়ে অনলাইনে দেখা যায়। নাম বা রোল নম্বর দিয়ে খোঁজ করুন।
এমপিওর জন্য কী কী যোগ্যতা লাগে?
এমপিওর জন্য ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি লাগে। শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকতে হবে। কমপক্ষে তিন বছরের অভিজ্ঞতা দরকার। প্রতিষ্ঠান সরকার অনুমোদিত হতে হবে।
এমপিও পেতে কত সময় লাগে?
এমপিও পেতে সাধারণত ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় লাগে। আবেদনের পর যাচাই বাছাইয়ে সময় লাগে। সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে দ্রুত হয়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বেতন কত?
এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বেতন সরকারি শিক্ষকদের সমান। জুনিয়র শিক্ষকের বেতন ১৬ হাজার টাকা থেকে শুরু। অভিজ্ঞতা ও পদ অনুযায়ী বেতন বাড়ে।
এমপিও বাতিল হতে পারে কি?
হ্যাঁ, নিয়ম ভাঙলে এমপিও বাতিল হতে পারে। অনিয়মিত উপস্থিতি, ভুয়া সনদ ব্যবহার করলে এমপিও বাতিল হয়। প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও এমপিও বাতিল হয়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কীভাবে এমপিও পাবে?
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বয়স কমপক্ষে তিন বছর হতে হবে। পর্যাপ্ত ছাত্র ও শিক্ষক থাকতে হবে। ভবন ও সুবিধা সরকারি মানের হতে হবে। তারপর আবেদন করতে হবে।
এমপিও আবেদনের ফি কত?
এমপিও আবেদনের ফি ১০০০ টাকা। অনলাইনে বা ব্যাংকে জমা দিতে হয়। ফি জমা না দিলে আবেদন গৃহীত হয় না।
এমপিও পেলে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়?
এমপিও পেলে নিয়মিত বেতন পাওয়া যায়। চিকিৎসা ভাতা ও পেনশনের সুবিধা আছে। ঈদ বোনাস ও উৎসব ভাতা পাওয়া যায়। চাকরির নিরাপত্তা পাওয়া যায়।
এমপিও না পেলে কী করব?
এমপিও না পেলে পরবর্তী দফায় আবার আবেদন করুন। যোগ্যতা বৃদ্ধি করুন। আরো অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। সব কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত করুন।
অনলাইনে এমপিও আবেদন কীভাবে করব?
শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। অনলাইন আবেদনের লিংকে ক্লিক করুন। ফরম পূরণ করুন। প্রয়োজনীয় কাগজ আপলোড করুন। ফি জমা দিন।
এমপিও তালিকায় ভুল থাকলে কী করব?
তালিকায় ভুল থাকলে সংশোধনের আবেদন করুন। প্রমাণসহ দরখাস্ত জমা দিন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। দেরি হলে গ্রহণ করা হয় না।
🔥 পোস্টটি শেয়ার করুনঃ 🌍