এলজি এসি – সেরা মডেল, দাম ও ফিচার বিস্তারিত গাইড

গরমের তীব্রতায় ঘরে শীতল পরিবেশ তৈরি করতে এলজি এসি সবচেয়ে ভালো সমাধান। বাংলাদেশী ক্রেতারা এলজি ব্র্যান্ডের ওপর ভরসা রাখেন। কারণ এই ব্র্যান্ডটি দীর্ঘ সময় ধরে মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করে আসছে।

আজকের এই নিবন্ধে আমরা এলজি এসির সব ধরনের মডেল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। সেই সাথে জানাব দাম, ফিচার এবং কেনার পূর্বে জানা প্রয়োজনীয় সব তথ্য। তাহলে শুরু করা যাক।

এলজি ইনভার্টার এসি

এলজি ইনভার্টার এসি আধুনিক প্রযুক্তির এক অসাধারণ উদাহরণ। এই এসিগুলো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী। ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে অটোমেটিক।

প্রচলিত এসির চেয়ে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। কম্প্রেসর গতি পরিবর্তন করে কাঙ্ক্ষিত তাপমাত্রা বজায় রাখে। ফলে ঘন ঘন চালু-বন্ধ হওয়ার প্রয়োজন হয় না।

এলজি ইনভার্টার এসির দাম ৫৫,০০০ টাকা থেকে শুরু। বিভিন্ন ক্যাপাসিটি অনুযায়ী দাম পরিবর্তন হয়। তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি সাশ্রয়ী বিকল্প।

এলজি এসি ১ টন

ছোট রুমের জন্য এলজি এসি ১ টন আদর্শ পছন্দ। ১০০ থেকে ১৫০ বর্গফুট রুমে এই ক্যাপাসিটির এসি যথেষ্ট। অতিরিক্ত ক্ষমতার এসি কিনলে অপ্রয়োজনীয় খরচ বৃদ্ধি পায়।

এক টন ক্যাপাসিটির এসিতে শক্তিশালী কুলিং সিস্টেম রয়েছে। দ্রুত ঘর ঠান্ডা করার পাশাপাশি তাপমাত্রা স্থির রাখে। নয়েজ লেভেল কম থাকায় ঘুমের ব্যাঘাত হয় না।

বর্তমান বাজারে এলজি ১ টন এসির দাম ৪৫,০০০ থেকে ৬৫,০০০ টাকা। মডেল ভেদে দাম ভিন্ন হতে পারে। তবে সব মডেলেই গুণগত মান একই রকম।

এলজি এসি ১.৫ টন

মধ্যম আকারের রুমের জন্য এলজি এসি ১.৫ টন সবচেয়ে জনপ্রিয়। ১৫০ থেকে ২৫০ বর্গফুট রুমে এই ক্যাপাসিটি উপযুক্ত। বেশিরভাগ বাংলাদেশী বাড়িতে এই সাইজের এসি ব্যবহৃত হয়।

দেড় টন এসিতে উন্নত ফিল্টার সিস্টেম থাকে। এটি বাতাস থেকে ধুলাবালি এবং ক্ষতিকর কণা পরিষ্কার করে। ফলে ঘরের বাতাস স্বাস্থ্যকর থাকে।

এলজি ১.৫ টন এসির দাম ৫৮,০০০ থেকে ৮৫,০০০ টাকার মধ্যে। ইনভার্টার মডেলগুলো একটু বেশি দামে পাওয়া যায়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি সাশ্রয়ের কথা চিন্তা করলে এটি লাভজনক।

এলজি এসি ২ টন

বড় রুম বা অফিসের জন্য এলজি এসি ২ টন প্রয়োজন। ২৫০ বর্গফুটের বেশি এলাকায় এই ক্যাপাসিটি কার্যকর। শক্তিশালী কম্প্রেসর দ্রুত পুরো এলাকা ঠান্ডা করে।

দুই টন এসিতে ডুয়াল ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। এতে দুটি রোটরি কম্প্রেসর একসাথে কাজ করে। ফলে আরও দ্রুত ঠান্ডা হওয়া এবং কম বিদ্যুৎ খরচ হওয়া সম্ভব।

বাজারে এলজি ২ টন এসির দাম ৭৫,০০০ থেকে ১,২০,০০০ টাকা পর্যন্ত। প্রিমিয়াম মডেলগুলোতে অতিরিক্ত ফিচার থাকায় দাম বেশি।

এলজি স্প্লিট এসি

এলজি স্প্লিট এসি – আধুনিক ডিজাইন ও শক্তিশালী কুলিং প্রযুক্তি

এলজি স্প্লিট এসি সবচেয়ে জনপ্রিয় ধরনের এয়ার কন্ডিশনার। দুই অংশে বিভক্ত এই সিস্টেম ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ইনডোর ইউনিট দেয়ালে লাগানো থাকে এবং আউটডোর ইউনিট বাইরে স্থাপন করা হয়।

স্প্লিট এসির শব্দ অনেক কম। কারণ কম্প্রেসর বাইরে থাকে। ঘরের ভেতর শুধু ফ্যান এবং কুলিং কয়েল রয়েছে। তাই ঘুমের সময় কোনো ব্যাঘাত হয় না।

স্থাপনা সহজ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা সুবিধাজনক। এলজি স্প্লিট এসির দাম ৪০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।

এলজি স্ট্যান্ড এসি

বড় হলরুম বা অফিসের জন্য এলজি স্ট্যান্ড এসি উপযুক্ত। মেঝেতে বসানো এই এসি শক্তিশালী কুলিং দেয়। ক্যাপাসিটি সাধারণত ২ টন থেকে ৫ টন পর্যন্ত হয়।

স্ট্যান্ড এসিতে বড় ফ্যান এবং কম্প্রেসর থাকে। ফলে দ্রুত বিস্তৃত এলাকা ঠান্ডা করতে পারে। এয়ারফ্লো নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। লুভার দিয়ে বাতাসের দিক পরিবর্তন করা যায়।

তবে স্ট্যান্ড এসি বেশি জায়গা দখল করে এবং শব্দ বেশি হয়। এলজি স্ট্যান্ড এসির দাম ১,২০,০০০ থেকে ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত।

এলজি এসি ফিচার

এলজি এসি ফিচার গুলো প্রযুক্তি এবং আরামের নিখুঁত সমন্বয়। ডুয়াল ইনভার্টার কম্প্রেসর সর্বোচ্চ দক্ষতা নিশ্চিত করে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত নির্ভুল এবং স্থিতিশীল।

স্মার্ট ডায়াগনোসিস ফিচার সমস্যা চিহ্নিত করে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এসি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। Wi-Fi সংযোগ থাকলে দূর থেকেও অন-অফ করা সম্ভব।

এইচইপিএ ফিল্টার বাতাস থেকে ৯৯.৯৭% ক্ষতিকর কণা দূর করে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল প্রযুক্তি স্বাস্থ্যকর বাতাস নিশ্চিত করে। টার্বো কুলিং ফিচার ৩০ সেকেন্ডেই ঘর ঠান্ডা করে ফেলে।

এলজি এসি রিভিউ

এলজি এসি রিভিউ দেখলে বোঝা যায় ক্রেতাদের সন্তুষ্টির মাত্রা। বেশিরভাগ ব্যবহারকারী কুলিং পারফরমেন্সে খুশি। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ নির্ভুল এবং স্থিতিশীল থাকে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ায় মাসিক বিল কম আসে। শব্দের পরিমাণ সহনীয় মাত্রায় থাকে। কোনো কোনো মডেলে একদম নীরব অপারেশন হয়।

সার্ভিস এবং রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে এলজি যথেষ্ট ভালো। তবে কিছু ক্রেতা সার্ভিস সেন্টারের দূরত্ব নিয়ে অভিযোগ করেন। সামগ্রিকভাবে এলজি এসির রিভিউ ইতিবাচক।

এলজি এসি দাম বাংলাদেশ

এলজি এসি দাম বাংলাদেশ-এ বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে। ক্যাপাসিটি, ফিচার, এবং মডেল অনুযায়ী দাম পরিবর্তন হয়। স্থানীয় ইমপোর্ট ট্যাক্স এবং ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকে।

বেসিক ১ টন স্প্লিট এসির দাম ৪৫,০০০ টাকা। ইনভার্টার মডেল ৫৫,০০০ টাকা থেকে শুরু। প্রিমিয়াম ফিচারসহ মডেল ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত দাম হতে পারে।

দাম তুলনা করে কেনার পূর্বে বিভিন্ন শোরুম থেকে কোটেশন নিন। অনলাইনে দাম চেক করুন। মাঝে মাঝে ডিসকাউন্ট অফার থাকে।

এলজি এসি বিদ্যুৎ খরচ

এলজি এসি বিদ্যুৎ খরচ প্রচলিত এসির চেয়ে কম। ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহার করে শক্তি সাশ্রয় করে। কম্প্রেসর গতি পরিবর্তন করে প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।

১ টন এলজি ইনভার্টার এসি ঘণ্টায় ০.৮ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করে। প্রচলিত এসি ১.২ ইউনিট খরচ করে। মাসে ১৫০ ইউনিটের বদলে ১০০ ইউনিট খরচ হয়।

৫-স্টার এনার্জি রেটিং সহ এলজি এসি সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচ করে। BEE সার্টিফিকেশন দেখে কিনুন। দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ বিল অনেক কম আসবে।

এলজি এসি সার্ভিস সেন্টার

এলজি এসি সার্ভিস সেন্টার সারাদেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। ঢাকায় ১৫টিরও বেশি অথরাইজড সার্ভিস পয়েন্ট আছে। চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনায়ও পর্যাপ্ত সেন্টার রয়েছে।

প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ানরা সব ধরনের সমস্যার সমাধান করেন। আসল যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে মেরামত করা হয়। গ্যাস চার্জ, কম্প্রেসর পরিবর্তন সব সেবা পাওয়া যায়।

হটলাইন নম্বরে ফোন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন। ২৪ ঘণ্টা কাস্টমার সাপোর্ট উপলব্ধ। ওয়ারেন্টি পিরিয়ডে বিনামূল্যে সেবা পাবেন।

এলজি এসি কুলিং ক্ষমতা

এলজি এসি কুলিং ক্ষমতা অত্যন্ত কার্যকর এবং দ্রুত। হাই-পারফরমেন্স কম্প্রেসর ব্যবহার করে শক্তিশালী ঠান্ডা বাতাস তৈরি করে। ৩ মিনিটেই ঘরে আরামদায়ক তাপমাত্রা পৌঁছে যায়।

ডুয়াল ইনভার্টার কম্প্রেসর ১০ বছর পর্যন্ত একই পারফরমেন্স বজায় রাখে। কুলিং ক্যাপাসিটি কমে যায় না। চরম গরমেও স্থিতিশীল তাপমাত্রা বজায় থাকে।

মাল্টি-স্টেজ ফিল্ট্রেশন সিস্টেম বাতাসের মান উন্নত করে। হিট এক্সচেঞ্জার দক্ষতা ৯৫% এর বেশি। ফলে অল্প সময়েই সর্বোচ্চ কুলিং পাওয়া যায়।

এলজি এসি ডিসকাউন্ট অফার

এলজি এসি ডিসকাউন্ট অফার বছরের বিভিন্ন সময় পাওয়া যায়। গ্রীষ্মকাল শুরুর আগে সবচেয়ে ভালো অফার আসে। মার্চ থেকে মে মাসে ১০-২৫% ছাড় পাওয়া যায়।

ঈদ, পূজা এবং অন্যান্য উৎসবে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়। এক্সচেঞ্জ অফারও থাকে। পুরানো এসি দিয়ে নতুন কিনলে ৫-১০ হাজার টাকা কম দিতে হয়।

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আরও বেশি ছাড় পাওয়া যায়। দারাজ, চালডাল, আজকের দিল এর মতো সাইটে ক্যাশব্যাক অফার থাকে। ইএমআই সুবিধাও পাওয়া যায়।

এলজি এসি অনলাইন শপ

এলজি এসি অনলাইন শপ থেকে কেনা সহজ ও বিশ্বস্ত উপায়। দারাজ বাংলাদেশে রয়েছে এলজি এসির সবচেয়ে বড় কালেকশন, যেখানে সব মডেল ও ক্যাপাসিটি পাওয়া যায়।

অনলাইনে কিনলে বিস্তারিত স্পেসিফিকেশন দেখা যায়। কাস্টমার রিভিউ পড়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ। দাম তুলনা করার সুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন পেমেন্ট অপশন উপলব্ধ।

ফ্রি হোম ডেলিভারি এবং ইনস্টলেশন সেবা পান। ওয়ারেন্টি কার্ড সহ সব কাগজপত্র পাওয়া যায়। রিটার্ন পলিসিও সুবিধাজনক। ৭ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়া যায়।

এলজি এসি ইনস্টলেশন খরচ

এলজি এসি ইনস্টলেশন খরচ মডেল এবং স্থাপনার জটিলতার ওপর নির্ভর করে। সাধারণ স্প্লিট এসি লাগাতে ৩-৫ হাজার টাকা খরচ হয়। পাইপিং এবং ড্রেনেজ অন্তর্ভুক্ত থাকে।

দেয়াল ড্রিলিং, তারের কাজ সব মিলিয়ে খরচ হিসাব করা হয়। দূরত্ব বেশি হলে অতিরিক্ত পাইপ লাগতে পারে। প্রতি ফুট ৫০০ টাকা চার্জ হয়।

অনুমোদিত টেকনিশিয়ান দিয়ে লাগানো উচিত। ভুল ইনস্টলেশনে ওয়ারেন্টি বাতিল হতে পারে। গ্যাস লিকেজ এবং অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দক্ষ ব্যক্তির সাহায্য নিন।

এলজি এসি মেইনটেনেন্স

এলজি এসি মেইনটেনেন্স নিয়মিত করলে দীর্ঘস্থায়ী হয়। মাসে একবার ফিল্টার পরিষ্কার করুন। ধুলাবালি জমলে কুলিং কমে যায়। বিদ্যুৎ খরচও বেড়ে যায়।

বছরে ২ বার পেশাদার সার্ভিসিং করান। কম্প্রেসর, কন্ডেনসার পরিষ্কার করা জরুরি। গ্যাস চাপ এবং লিকেজ পরীক্ষা করা হয়। সব সংযোগ টাইট কিনা দেখা হয়।

নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণে ৮০% পর্যন্ত কম খরচ হয়। অকাল নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পায়। কুলিং পারফরমেন্স সর্বোচ্চ মাত্রায় বজায় থাকে। তাই অবহেলা না করে নিয়মিত মেইনটেনেন্স করুন।

এলজি এসি প্রযুক্তি

এলজি এসি প্রযুক্তি – আধুনিক ও শক্তিশালী এনার্জি সেভিং কুলিং সিস্টেম

এলজি এসি প্রযুক্তি বিশ্বমানের এবং ভবিষ্যতমুখী। টুইন রোটরি কম্প্রেসর প্রযুক্তি ব্যবহার করে শক্তি সাশ্রয় করে। ভেরিয়েবল স্পিড কন্ট্রোল দিয়ে নির্ভুল তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয়।

স্মার্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি বিদ্যুৎ ওঠানামায় এসি রক্ষা করে। ভোল্টেজ স্টেবিলাইজার লাগানোর প্রয়োজন হয় না। লো ভোল্টেজেও এসি চালু থাকে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর পছন্দ মনে রাখে। অটো ক্লিনিং ফাংশন নিজে নিজেই পরিষ্কার হয়। জার্ম প্রোটেকশন ফিল্টার ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।

এলজি এসি গ্যারান্টি

এলজি এসি গ্যারান্টি ব্যাপক এবং নির্ভরযোগ্য। সম্পূর্ণ পণ্যের ওপর ৩ বছরের গ্যারান্টি দেওয়া হয়। কম্প্রেসরের জন্য ১০ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি পাওয়া যায়।

ম্যানুফ্যাকচারিং ত্রুটি এবং যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে বিনামূল্যে পরিবর্তন করা হয়। লেবার চার্জও দিতে হয় না। তবে অবহেলা বা দুর্ঘটনায় ক্ষতি হলে গ্যারান্টি কাজ করবে না।

গ্যারান্টি দাবি করতে অরিজিনাল রশিদ এবং ওয়ারেন্টি কার্ড লাগবে। আসল যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে মেরামত করা হয়। নকল পার্টস ব্যবহার করলে গ্যারান্টি বাতিল হয়ে যায়।

এলজি এসি এনার্জি সেভিং

এলজি এসি এনার্জি সেভিং ফিচার উল্লেখযোগ্যভাবে বিদ্যুৎ খরচ কমায়। ৫-স্টার এনার্জি রেটিং পেয়েছে বেশিরভাগ মডেল। BEE সার্টিফাইড এনার্জি এফিসিয়েন্ট প্রোডাক্ট।

ইকো ফ্রেন্ডলি রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা হয়। পরিবেশের ক্ষতি করে না। গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমাতে সাহায্য করে। কার্বন ফুটপ্রিন্ট কম রাখে।

স্লিপ মোড ফিচার রাতে আরও বেশি শক্তি সাশ্রয় করে। তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে আরামদায়ক পরিবেশ বজায় রাখে। টাইমার ফাংশন দিয়ে প্রয়োজনমতো অন-অফ করা যায়। ফলে অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ খরচ হয় না।

এলজি এসি বাংলাদেশ রিভিউ

এলজি এসি বাংলাদেশ রিভিউ সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক। স্থানীয় জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা প্রশংসনীয়। উচ্চ আর্দ্রতা এবং ধুলাবালি সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে।

বাংলাদেশী ক্রেতারা দীর্ঘস্থায়িত্বে সন্তুষ্ট। ১০-১৫ বছর পর্যন্ত সমস্যা ছাড়াই চলে। যন্ত্রাংশ সহজলভ্য হওয়ায় মেরামত করা সুবিধাজনক। সার্ভিস নেটওয়ার্ক সারাদেশে বিস্তৃত।

কিছু ক্রেতা প্রাথমিক দাম নিয়ে অভিযোগ করেন। তবে দীর্ঘমেয়াদি সাশ্রয় বিবেচনা করলে লাভজনক। রিসেল ভ্যালুও ভালো থাকে। তাই বিনিয়োগ হিসেবে এলজি এসি উত্তম পছন্দ।

উপসংহার

এলজি এসি বাংলাদেশে একটি নির্ভরযোগ্য এবং মানসম্পন্ন ব্র্যান্ড। উন্নত প্রযুক্তি, শক্তি সাশ্রয়ী ফিচার এবং দীর্ঘস্থায়িত্ব এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন ক্যাপাসিটি এবং মডেল রয়েছে সব ধরনের প্রয়োজন মেটানোর জন্য।

দাম একটু বেশি মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে খরচ সাশ্রয় হয়। বিদ্যুৎ বিল কম আসে এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচও কম। পর্যাপ্ত সার্ভিস নেটওয়ার্ক এবং গ্যারান্টি সুবিধা রয়েছে।

এলজি এসি কেনার আগে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করুন। রুমের আকার মাপুন এবং সঠিক টনেজ বেছে নিন। বিভিন্ন মডেলের দাম তুলনা করে সিদ্ধান্ত নিন। অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দিয়ে ইনস্টলেশন করান এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করুন।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী(FAQs)

এলজি এসি কত বছর চলে?

নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করলে এলজি এসি ১০-১৫ বছর পর্যন্ত চলে। কম্প্রেসরে ১০ বছরের গ্যারান্টি থাকে। মানসম্পন্ন যন্ত্রাংশ ব্যবহার করায় দীর্ঘস্থায়ী হয়।

এলজি এসি কেন বেছে নেব?

এলজি এসি উন্নত প্রযুক্তি, কম বিদ্যুৎ খরচ এবং দীর্ঘস্থায়িত্বের জন্য বিখ্যাত। পর্যাপ্ত সার্ভিস নেটওয়ার্ক এবং গ্যারান্টি সুবিধা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ব্র্যান্ড হিসেবে নির্ভরযোগ্য।

এলজি এসির সার্ভিস কোথায় পাব?

বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে এলজি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। ঢাকায় ১৫টির বেশি অথরাইজড পয়েন্ট আছে। হটলাইনে ফোন করে নিকটতম সেন্টারের ঠিকানা জানতে পারবেন।

এলজি ইনভার্টার এসি কি সাশ্রয়ী?

হ্যাঁ, এলজি ইনভার্টার এসি প্রচলিত এসির চেয়ে ৪০% পর্যন্ত কম বিদ্যুৎ খরচ করে। প্রাথমিক দাম বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়ী। মাসিক বিদ্যুৎ বিল অনেক কম আসে।

কত টনের এসি কিনব?

রুমের আকার অনুযায়ী এসি কিনুন। ১০০-১৫০ বর্গফুটে ১ টন, ১৫০-২৫০ বর্গফুটে ১.৫ টন এবং ২৫০+ বর্গফুটে ২ টন এসি উপযুক্ত। বেশি ক্যাপাসিটি নিলে অপ্রয়োজনীয় খরচ বাড়বে।

এলজি এসির গ্যারান্টি কত বছর?

এলজি এসিতে সাধারণত ৩ বছরের কমপ্রিহেনসিভ ওয়ারেন্টি থাকে। কম্প্রেসরের জন্য ১০ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি পাওয়া যায়। মডেল ভেদে গ্যারান্টি পিরিয়ড ভিন্ন হতে পারে।

এলজি এসি কোথায় কিনব?

অথরাইজড ডিলার বা শোরুম থেকে কিনুন। দারাজ, চালডালের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও পাওয়া যায়। বিল এবং ওয়ারেন্টি কার্ড নিশ্চিত করুন। নকল পণ্য থেকে সাবধান থাকুন।

এলজি এসির দাম কেমন?

এলজি এসির দাম ক্যাপাসিটি এবং ফিচার অনুযায়ী ৪৫,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত। বেসিক মডেল কম দামে পাওয়া যায়। প্রিমিয়াম ফিচারসহ মডেল বেশি দামে বিক্রি হয়।

এলজি এসির রক্ষণাবেক্ষণ কেমন?

এলজি এসির রক্ষণাবেক্ষণ সহজ এবং কম খরচে হয়। মাসে একবার ফিল্টার পরিষ্কার করুন। বছরে ২ বার পেশাদার সার্ভিসিং করান। নিয়মিত যত্নে দীর্ঘস্থায়ী হয়।

এলজি এসি কি পরিবেশবান্ধব?

হ্যাঁ, এলজি এসি পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করে। ওজোন স্তর ক্ষতি করে না। এনার্জি এফিশিয়েন্ট হওয়ায় কার্বন ফুটপ্রিন্ট কম। পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখে।

🔥 পোস্টটি শেয়ার করুনঃ 🌍

Scroll to Top